728x90 AdSpace

  • Latest News

    মাত্র প্রায় ১.৫ ভাগ হিন্দুর জন্য ৯৮ ভাগের বেশি বিশাল জনগোষ্ঠীকে অলস বসিয়ে রাখা সরকারের ছুটি ব্যবস্থাপনায় অপরিপক্কতা ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পায়

    একটি রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হলে তাকে ছুটি দেয়ার সময় অবশ্যই লাভ-ক্ষতির হিসেব কষতে হবে। দেশের সামান্য কিছু লোকের ছুটির প্রয়োজনে গোটা দেশের মানুষের ছুটি দিয়ে দিলে নিয়ম-শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না। কেননা একদিন ছুটি দেয়া মানে দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরি অবশ করে রাখা। হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা। শুধু তাই নয়, একদিনের ছুটির প্রভাবটি পড়বে দেশের সামগ্রীক জিডিপি’র উপর। ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে অর্থনীতি।

    দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে ছুটি নিয়ে কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে। যেমন- (১) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজার সময় রাষ্ট্রের মাত্র (প্রায়) ১.৫ শতাংশ হিন্দুর জন্য বাকি ৯৮.৫ শতাংশ জনগণকে বসিয়ে রাখা হয়। (২) কল্পিত জন্মষ্টমীর সময় রাষ্ট্রের মাত্র (প্রায়) ১.৫ হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জন্য বাকি ৯৮.৫% জনগণকে বসিয়ে রাখা হয়। (৩) খ্রিস্টানদের ক্রিস্টমাসের সময় রাষ্ট্রের মাত্র ০.৩ ভাগেরও কম সংখ্যক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর জন্য বাকি ৯৯.৭% জনগণকে বসিয়ে রাখা হয়। (৪) বৌদ্ধ পূর্ণিমার সময় রাষ্ট্রের মাত্র ০.৩ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর জন্য বাকি ৯৯.৭% জনগণকে বসিয়ে রাখা হয়।
    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছুটি প্রয়োজন হলে অবশ্যই তারা ছুটি নিবে; তবে সেটা হতে হবে ঐচ্ছিক ছুটি, গোটা জাতির জন্য সরকারি ছুটি নয়। কারণ ঐ দিনগুলোতে তো মুসলমানদের পূজা, পূর্ণিমা কিংবা ক্রিসমাস পালন করতে হয় না, তবে কেন মুসলমানরা ঐ দিন বসে বসে ছুটি উপভোগ করবে?
    তাই ছুটি নিয়ে সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে নয়, বরং উন্নত নীতি অনুসরণে অর্থনীতির চাকা গতিশীল করতেই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ছুটি ঐচ্ছিক করা জরুরী। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে আশু পদক্ষেপ নিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=13342
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: মাত্র প্রায় ১.৫ ভাগ হিন্দুর জন্য ৯৮ ভাগের বেশি বিশাল জনগোষ্ঠীকে অলস বসিয়ে রাখা সরকারের ছুটি ব্যবস্থাপনায় অপরিপক্কতা ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পায় Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top