বর্তমান বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের গণতান্ত্রিক সরকার। গণতন্ত্রের মূলনীতি হচ্ছে শতকরা ৫১ জন ব্যক্তির মতামত বাস্তবায়ন। অর্থাৎ শতকরা ৫১ জন ব্যক্তি যে মতের উপর রায় দিবে সেটাই বাস্তবায়ন হবে। এদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান। আর মুসলমান উনারা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে খলিক্ব মালিক রব মানে। খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন (ধর্ম) ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন তর্জ-তরীকা তালাশ করবে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি কখনোই গ্রহণ করবেন না এবং সেই ব্যক্তি অবশ্যই পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের (জাহান্নামী) অন্তর্ভুক্ত হবে। (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ)
উপরোক্ত কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন (ধর্ম) নিয়ম-নীতি গ্রহন করবেন না। তাহলে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে মুসলমানগণ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনাকে ছাড়া অন্যকিছুকে মানবেন কিভাবে।
১৯৫২ সালের শাসকরা এদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে এদেশের রাষ্ট্রভাষা করতে চায়। তখন এদেশের মুসলমানগণের দুর্বার আন্দোলনের কাছে শাসক সম্প্রদায় রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নানা রকম উন্নয়নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। সরকারের নানা রকম উন্নয়নমুখী কার্যক্রমকে নস্যাৎ করতে, বাধাগ্রস্ত করতে কিছু দেশী এবং আন্তজার্তিক অপশক্তি বিভিন্ন কুটকৌশল গ্রহন করেছে। এই কূটকৌশলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রর্ধম ইসলাম বাদ দিয়ে এদেশের পরিবেশ, পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান উন্নয়নমূখী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কিন্তু দেশী এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তি তাদের কূট-কৌশলে ভুল করেছে। কারণ বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনার স্বপক্ষের সরকার। তাই আমরা শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমানরা অত্যন্ত আশাবাদী যে- ১৯৫২ সালে মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে বাতিল করতে দেয়নি, আর এবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উনাকে বাতিল করতে দিবে না। ইনশাআল্লাহ!
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন