728x90 AdSpace

  • Latest News

    পবিত্রর রজব মাস মহাসম্মানিত মাস। ১লা রজব এবং রজব মাসের ১ম জুমুয়ার রাত্র (লাইলাতুর রাগায়িব) দোয়া কবুলের রাত্র।


    রজব মাস মহাসম্মানিত মাস। এ মাসের অনেক গুরূত্ব ফযীলত রয়েছে। এমাসে রয়েছে ১লা রজব দোয়া কবুলের রাত্র, লাইলাতুর রগাইব, মি’রাজ শরীফ, ৬ই রজব হযরত খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ, ১৪ ই রজব হযরত  ইমাম জাফর সাদিক  আলাইহিস সালাম  উনার বিলাদত শরীফ, ১৪ ই রজব হযরত খাজ ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফ।

    হারাম বা সম্মানিত রজব মাস উপনীত  হলে নূরে মাজাসসাম , হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে পড়তে বলতেন,
    اللهم بارك لنا في رجب وشعبان، وبلغنا رمضان
    “আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফী রজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রমাদ্বান।”
    অর্থ: “হে আল্লাহ পাক আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমযান শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।”
    রজব মাস হারাম বা সম্মানিত মাসের অন্তর্ভূক্ত। এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে এসেছে——-
    হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন—– إن الزمان قد استدار كهيئته يوم خلق السما وات والأرض، السنة اثنا عشر شهراً، منها أربعة حرم، ثلاث متواليات: ذوالقعدة وذو الحجة والمحرم، ورجب مضر، الذي بين جمادى وشعبان. (رواه البخاري و مسلم)
    অর্থ: যমানা কাল-চক্রাকারে ঘুরে আসমান-জমিন সৃষ্টির প্রথম দিনের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বারো মাসে বৎসর, তার ভেতর চারটি সম্মানিত। তিনটি একসাথে-জিলকদ, জিলহজ, মুহররম। অপরটি-মুদার সম্প্রদায়ের পঞ্জিকা মতে-জুমাদা ও শাবানের মধ্যবর্তী রজব। (বোখারি শরীফ-মুসলিম শরীফ)
    রজব মাসের মর্যাদা সম্পর্কে হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
    إن في رجب نهرا يقال له رجب، ماؤه أشد بياضاً من الثلج وأحلى من العسل، من صام يوما من رجب شرب منه.
    অর্থ:রজবে রয়েছে একটি নহর, যার পানি বরফের তুলনায় সফেদ-শুভ্র, মধুর তুলনায় মিষ্ট, রজব মাসে যে একটি রোজা রাখবে, সে তা হতে পান করবে।

    হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
    فضل شهر رجب على الشهور كفضل القرآن على سائر الكلام
    অর্থ : রজম মাসের ফজিলত অন্যসব মাসের তুলনায় তেমন, যেমন কুরআন শরীফের ফজিলত অন্যসব কালামের ওপর।
    নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেন,
    لا تغفلوا عن أول جمعة من رجب فإنها ليلة تسميها الملائكة الرغائب …..
    অর্থ : রজবের প্রথম জুমার ব্যাপারে তোমরা উদাসীন থেকো না, কারণ, তা এমন একটি রাত, ফেরেশতারা যার নামকরণ করেছে রাগায়েব হিসেবে …।
    রজব মাসের ফযীলত সম্পর্কে  নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেন,
    رجب شهر الله وشعبان شهري ورمضان شهر أمتي
    অর্থ : রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস আর রমজান আমার উম্মতের মাস।

    অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
    – رجب شهرعظيم ، يضاعف الله فيه الحسنات، فمن صام يوما من رجب فكأنما صام سنة، ومن صام منه سبعة أيام غلقت عنه سبعة أبواب جهنم، ومن صام منه خمسة عشر يوما نادى مناد في السماء قد غفر لك ما مضى فاستأنف العمل، ومن زاد زاده الله.
    অর্থ : রজব এক মহত ও মহান মাস। আল্লাহপাক তাতে পুণ্য দ্বিগুণ করে দেন। যে রজবের এক দিন রোজা রাখবে সে যেন পুরো বছরই রোজা পালন করল। আর যে সাত দিন রোজা রাখবে তার জন্য জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর ব্যক্তি পনেরো দিন রোজা পালন করবে, আকাশের একজন ঘোষক তাকে ডেকে বলবেন-তোমার ইতিপূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, সুতরাং নতুনরূপে আমলের সূচনা কর। আর যে এরও অধিক করবে, আল্লাহপাক তাকে আরো অধিক পুরস্কারে ভূষিত করবেন।
    আর কুরআন শরীফেও রজব মাসের সম্মানের কথা উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা পবিত্র কোরানে এরশাদ করেন-
    إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ و قاتلو المشركين كافة كما يقاتلونكم كافة واعلموا أن الله مع المتقين . (التوبة:36)
    আসমান-জমিনের সৃষ্টি ও সূচনা লগ্ন হতেই আল্লাহর বিধান মতে মাসের নিশ্চিত সংখ্যা বারটি। তার মাঝে চারটি সম্মানিত। এ অমোঘ ও শাশ্বত বিধান ; সুতরাং এর মাঝে তোমরা (অত্যাচার-পাপাচারে লিপ্ত হয়ে) নিজেদের ক্ষতি সাধন করো না। তোমরা সম্মিলিতভাবে মুশরিকদেরকে প্রতিহত কর, যেভাবে তারা সম্মিলিতভাবে তোমাদের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।
    ১লা রজব: ১লা রজব দোয়া কবুলের রাত্র।হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘রজবুল হারাম মাস মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসকে সম্মান করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।’ হাদীছ শরীফ-এ আর ও ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে (বিশেষভাবে) দোয়া কবুল হয়। ১. রজব মাসের পহেলা রাত ২. শবে বরাত বা বরাতের রাত ৩. শবে ক্বদর বা ক্বদরের রাত ৪. ঈদুল ফিতরের রাত ও ৫. ঈদুল আদ্বহার রাত।” পাঁচটি রাত্র মুবারক-এর মধ্যে রজব মাসের পহেলা তারিখের মর্যাদা-মর্তবা অন্যতম। ১লা রজব রাতের প্রতিটা মূহুর্তকে আমাদের প্রত্যেকের উচিত কাজে লাগানো। পহেলা রজব রাত্রে যিকির, ফিকির, দরূদ শরীফ, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, দোয়া-কালামের মাধ্যমে সারা রাত জাগ্রত থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সকলের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আর এজন্য সরকারিভাবে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যরত কর্মীদের কমপক্ষে ২ (দুই) দিনের ছুটি দেয়াও অপরিহার্য কর্তব্য। এতে করে মানুষ ইতমিনানের সাথে উক্ত রাত্রে ইবাদত-বন্দিগী, দোয়া-কালাম করতে পারবে।আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য এদিনের ফযীলতকে কাজে লাগিয়ে কামিয়াবী অর্জন করা। তথা আল্লাহ পাক এবং হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
    লাইলাতুর রগাইব: পবিত্র লাইলাতুর রগাইব’ হচ্ছে রজব মাসের পহেলা জুমুয়ার রাত্রি। এ পবিত্র রাত্রিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা হযরত আমিনা আলাইহাস্ সালাম উনার মুবারক রেহেম শরীফ-এপবিত্র লাইলাতুর রগাইব’ হচ্ছে রজব মাসের পহেলা জুমুয়ার রাত্রি। এ পবিত্র রাত্রিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা হযরত আমিনা আলাইহাস্ সালাম উনার মুবারক রেহেম শরীফ-এ কুদরতীভাবে তাশরীফ নেন। ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর মর্যাদা শবে বরাত, শবে ক্বদরের চেয়েও বেশি। সুবহানাল্লাহ। ‘লাইলাতুর রগাইব’ এমন ফযীলতপূর্ণ রাত্রি, যে রাত্রিটি হচ্ছে তাসবীহ-তাহলীল, দোয়া-দুরূদ, ছলাত-সালাম, যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম, ছদকা-খইরাত, নামায-কালাম পাঠের রাত্রি। সর্বোপরি এ রাত্রিটি হচ্ছে রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত হাছিল করার ও দোয়া কবুলের রাত্রি। কুদরতীভাবে তাশরীফ নেন। ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর মর্যাদা শবে বরাত, শবে ক্বদরের চেয়েও বেশি। সুবহানাল্লাহ। ‘লাইলাতুর রগাইব’ এমন ফযীলতপূর্ণ রাত্রি, যে রাত্রিটি হচ্ছে তাসবীহ-তাহলীল, দোয়া-দুরূদ, ছলাত-সালাম, যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম, ছদকা-খইরাত, নামায-কালাম পাঠের রাত্রি। সর্বোপরি এ রাত্রিটি হচ্ছে রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত হাছিল করার ও দোয়া কবুলের রাত্রি।
    গুরুত্ব: এ মুবারক রাত্রির ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে হাম্বলী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ঘোষণা করলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুর রগাইব’-এর ফযীলত হচ্ছে লাইলাতুল ক্বদর ও লাইলাতুল বরাত অর্থাৎ শবে ক্বদর, শবে বরাত এবং অন্যান্য ফযীলতপূর্ণ রাত্রি অপেক্ষা বেশি।” সুবহানাল্লাহ! তখন সমসাময়িক ইমাম ও ফক্বীহগণ উনার নিকট জানতে চাইলেন, “হে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি! লাইলাতুল ক্বদর এবং লাইলাতুল বরাতের ফযীলত সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ বর্ণনা করেছেন। কিন’ ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর ফযীলত সম্পর্কে কোথাও বর্ণনা করা হয়নি। তাহলে আপনি কিসের ভিত্তিতে ঘোষণা (ফতওয়া) দিলেন যে, ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর ফযীলত উক্ত ফযীলতপূর্ণ রাত্রিগুলো অপেক্ষা বেশি?” হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জবাবে বলেন, “লাইলাতুল ক্বদর ও লাইলাতুল বরাত”-এর ফযীলত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে সত্যিই; কিন্তু’ লাইলাতুল ক্বদর ও লাইলাতুল বরাত এবং অন্যান্য ফযীলতপূর্ণ রাত্রির সৃষ্টি হয়েছে লাইলাতুর রগাইবের উসীলায়। অর্থাৎ ‘লাইলাতুর রগাইব’ না হলে ‘লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুল বরাতসহ’ ফযীলতপূর্ণ কোন রাত্রির সৃষ্টিই হতো না। এ কারণেই এ রাত্রির ফযীলত সমস্ত ফযীলতপূর্ণ রাত্রির চেয়ে বেশি। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক-এর ‘সূরা কাওছার’-এর ১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার হাদিয়া করেছি।” সুবহানাল্লাহ! ‘কাওছার’-এর ব্যাখ্যায় একাধিক অর্থ উল্লেখ করা হয়- প্রথমতঃ ‘কাওছার’ বলা হয়েছে, হাউজে কাওছারকে। যা খাছ করে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন এবং এটা পান করলে জান্নাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পানির পিপাসা লাগবে না। সুবহানাল্লাহ! দ্বিতীয়তঃ কাওছার-এর আরেকটি অর্থ হলো, খইরে কাছীর। অর্থ- যা অতি উত্তম, অনেক ভাল। অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যা কিছু হাদিয়া দিয়েছেন তা সর্বকালের জন্য, সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। শুধু তাই নয়, এমনকি যা কিছু আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংস্পর্শে এসেছে সেটাও সবচেয়ে মহান হয়ে গেছে। যেমন, সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একমত হয়েছেন অর্থাৎ ইজমা হয়েছেন যে, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে রওজা শরীফ-এ তাশরীফ রেখেছেন সে রওজা শরীফ-এর যে মাটি মুবারক উনার পা মুবারকে বা                    শরীর মুবারকে স্পর্শ করে আছে; তার মর্যাদা আরশে আযীমের চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!     প্রকৃতপক্ষে মাটির কোন ক্বদর বা মূল্য ছিল না। কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শের কারণে আরশে আযীমের চেয়ে মূল্যবান, ফযীলতপ্রাপ্ত ও সম্মানিত হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাজারে অনেক তরিতরকারী রয়েছে দেশে বিদেশে। কোন তরিতরকারীর সাথে ঈমানের কোন সম্পর্ক নেই। তবে কদুর সাথে ঈমানের সম্পর্ক রয়েছে। তার কারণ হলো এই যে, স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদুকে পছন্দ করেছেন ও খেয়েছেন। সেজন্য কুরআন-সুন্নাহ মুতাবিক ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা ফতওয়া দিয়েছেন, কেউ যদি বলে ‘আমি কদুকে পছন্দ করি না, তাহলে সে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে।’ প্রকৃতপক্ষে কদুর কোন মর্যাদা ছিল না। একমাত্র আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কদুর সম্পর্কের কারণে কদু যেহেতু মর্যাদাবান, ফযীলতপূর্ণ হয়েছে সেহেতু কদুকে পছন্দ করা, মুহববত করা ঈমানের শর্ত হিসেবে আরোপ করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব শবে ক্বদর, শবে বরাত ও অন্যান্য ফযীলতপূর্ণ রাত্রের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণ হলো, ‘লাইলাতুর রগাইব’-এর সম্পর্ক সরাসরি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে।
    আমল: লাইলাতুর রগাইব’ রাত্রিতে তাসবীহ-তাহলীল, দোয়া-দুরূদ, ছলাত-সালাম, যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম, ছদকা-খইরাত, নামায-কালাম পাঠ করা উচিত । মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক মুসলমান সরকারের তো অবশ্যই এমনকি গায়ের মুসলমান (অমুসলিম) সরকারেরও উচিত ইসলামী ঐতিহ্য ও ফযীলতযুক্ত দিবসগুলোর মর্যাদা অনুধাবনে ও ফযীলত আহরণের সুবিধার্থে সেদিনগুলোতে সরকারিভাবে ছুটির দিন ঘোষণা  করা।
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: পবিত্রর রজব মাস মহাসম্মানিত মাস। ১লা রজব এবং রজব মাসের ১ম জুমুয়ার রাত্র (লাইলাতুর রাগায়িব) দোয়া কবুলের রাত্র। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top