হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে কতটুকু আদব রক্ষা করতে হবে, সে প্রসঙ্গে ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত ইমাম সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারকের একটি বিশেষ ওয়াকিয়া আলোচনা করা হয়। কিতাবে উল্লেখ করা হয়, তিনি একবার স্বপ্নে দেখেন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম উনাকে। দেখে প্রশ্ন করেছিলেন, হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম! আমরা জানি আপনার অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত অত্যন্তই প্রবল ছিল, তার পরও আপনি কি কারণে আপনার ছেলে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার জুদায়ীর (বিচ্ছেদের) কারণে উনার মুহব্বতে চল্লিশ বছর যাবৎ কেঁঁদে কেঁদে আপনার চক্ষু মুবারক নষ্ট করেছিলেন? একথা বলার সাথে সাথে গায়িব থেকে নেদা (আওয়াজ) হলো, ‘হে হযরত সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি! হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে সাবধানে কথা বলুন।’ এরপর হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত ইমাম সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে পেশ করা হলে তিনি দেখে বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান এবং এভাবে একাধারা তের দিন, তের রাত্রি বেঁহুশ থাকার পর হুঁশ ফিরে পান। তখন গায়িব থেকে পুনরায় নেদা হয়, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে এরকম কথা বললে এরূপই অবস্থা হয়ে থাকে।’ (তাযকিরাতুল আওলিয়া)
এ ওয়াকিয়ার আলোকে প্রতিভাত হয় যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ আদবের সাথে কথা বলতে হবে? সত্যিই তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। তাহলে উনারা ভুল-ত্রুটি বা গুনাহখতা করেছেন বলাটা উনাদের পবিত্র শান মুবারক উনার কী পরিমাণ খিলাফ ও বেয়াদবী তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
এ ওয়াকিয়ার আলোকে প্রতিভাত হয় যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ আদবের সাথে কথা বলতে হবে? সত্যিই তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। তাহলে উনারা ভুল-ত্রুটি বা গুনাহখতা করেছেন বলাটা উনাদের পবিত্র শান মুবারক উনার কী পরিমাণ খিলাফ ও বেয়াদবী তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন