কিতাবে উল্লেখ করা হয়, আল্লামা সাঈদ হুসাইন আহমদ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এক বুযূর্গ ব্যক্তি মদীনা শরীফ-এ খাদ্য খাচ্ছিলেন। খাদ্যের মধ্যে ছিল দই। যা ছিল কিছুটা টক। সে দরবেশ ব্যক্তি এক পর্যায়ে বলে ফেলল যে, ‘মদীনা শরীফ-এর দই টক’। সেই রাতে দরবেশ সাহেব স্বপ্নে দেখলেন ‘তার ঘরে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত রাগান্বিত অবস্থায় তাশরীফ আনলেন এবং বললেন, “তুমি আমার মদীনা শরীফ-এর দইকে টক বলেছো, তুমি এখনই মদীনা শরীফ থেকে বের হয়ে যাও।
মদীনা শরীফ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ের সাথে এমন কোন আচরণ করা যাবে না যা আদবের খিলাফ। কারণ মদীনা শরীফ-এর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বিষয়ই আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট।
আর রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার যিনি সাম্মানীত শায়খ মামদূহ, মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরা সরি খাছ আউলাদ, এবং খাছ লক্ষস্থল এবং হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে পাওয়ার একমাত্র উসিলা -মাধ্যম, তাই রাজারবাগ শরীফ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে সম্মান-মর্যাদা ও আদব উনার খিলাফ কোন কিছু বল্লে তার আমল বরবাদ হয়ে জাবে, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসন্তুষ্টির কারণ হবে, যা একজন মানুষের জীবণ বরবাদের কারণ।
স্মরণীয়, সম্মানীত মদীনা শরীফ উনার এবং রাজারবাগ শরীফ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে তা’যীম-তাকরীম, সম্মান-ইজ্জত, মর্যাদা-মর্তবা, আদব-শিষ্টাচার ইত্যাদি যথাযথ আদায় করতে হলে প্রয়োজন যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনারছোহবত ও মুবারক ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহ।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বর্তমান যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহ ছোহবতের মাধ্যমে মদীনা এবং রাজারবাগ শরীফসহ সকল বিষয়ের প্রতি হুসনে যন (বিশুদ্ধ আক্বীদা)ও যথাযথ তা’যীম-তাকরীম প্রদর্শন করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন