আদব অর্থ স্বাভাবিকতা। অর্থাৎ যা স্বাভাবিক তাই আদব। আর আদব শিক্ষার অর্থ নিজের মধ্যে সচ্চরিত্রের সমাবেশ ঘটানো এবং তা রক্ষা করা। যার মধ্যে উত্তম স্বভাব বিদ্যমান, সে চরিত্রবান ও ভদ্র।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে আগুন হতে রক্ষা করো।” (পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
অর্থাৎ তাদেরকে এমন আদব শিক্ষা দাও, যার ফলে তারা দোযখ হতে নিষ্কৃতি লাভ করতে পারে।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উত্তম আদব হলো ঈমানের অংশ।” অর্থাৎ উত্তম আদবই ঈমান।
একজন কবি বলেছেন, “আদব রক্ষা করার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানকে কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র দিয়ে সাজিয়েছেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানকে যখন বলেছিলেন, হে আসমান, তুমি কোনো স্তম্ভ ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকো, তখন সে কোনো অভিযোগ ছাড়াই দাঁড়িয়ে ছিল।” সুবহানাল্লাহ!
কবি আরো বলেন, “ আদব হলো মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত উনার টুপি। কাজেই তুমি যে কোনো স্থানে যাও না কেন, তা তোমার মাথার উপরে রাখো।” (মাকতুবাতে ইমামে রাব্বানী)
সুতরাং যার আদব নাই, তার কিছুই নাই।
হযরত মাওলানা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদব তলব করেছি, কারণ বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত।” (মসনবী শরীফ)
অতএব, আমাদের আদবের প্রতি খুবই খেয়াল রাখা উচিত। আদবের অনেক শ্রেণী বিভাগ রয়েছে,
১। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আদব
২। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আদব
৩। নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে আদব
৪। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের প্রতি আদব
৫। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাহিমগণ উনাদের সাথে আদব
৬। ইনসান ও জিনের প্রতি আদব
৭। মাখলুকাতের প্রতি আদব
৮। দ্বীন-ইসলাম উনার প্রতি আদব
৯। ইলম উনার প্রতি আদব
তাহলে এখানে বুঝার বিষয়, আমাদের কথা বার্তার ক্ষেত্রে, চলা-ফেরার ক্ষেত্রে কতটুকু আদব বজায় রাখতে হবে। এখনকার সমাজে দেখা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনাকে আপনি না বলে তুমি বলে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আপনি না বলে তুমি বলে,
পিতা-মাতা, স্বামী এমনকি বড়দেরকে পর্যন্ত আপনি না বলে তুমি বলে থাকে।
অথচ আমরা জানি তুই, তুমি শব্দের চেয়ে ‘আপনি’ শব্দটার দ্বারাই আদব রক্ষা হয়।
তাছাড়া অনেক বিষয়ের মধ্যে আরেকটা কথা না বললেই নয়। অনেকের কাছে শুনে থাকি, তারা যদি কোনো বিপদে পড়ে, তাহলে তারা বলে- মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ভুলে গেছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ভুলে গেছেন। নাউযুবিল্লাহ!
এখন তাদের জন্য বলতে হয়, এমন ধারণা থেকে তারা যেন এখনই তওবা করে নেয়। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি অসীম দয়ালু। তিনি কখনোই কাউকে ভুলেন না, বরং বান্দাই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যায়। অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন- তারা যেন শয়তানের ধোঁকায় না পড়ে, ভুল না করে, দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের নিয়মনীতি গ্রহণ না করে। কিন্তু বান্দা কি মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ মানে? হায় আফসুস!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণাদি (দলিল-প্রমাণ) আসার পরও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার থেকে বের হয়েছে বা পৃথক হয়ে গেছে তাদের মতো হইও না। তাদের জন্য রয়েছে বিরাট বা মহা শাস্তি।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে কি বলব- তিনি কি কখনো উম্মতকে ভুলে থাকতে পারেন?
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উত্তম আদব হলো ঈমানের অংশ।” অর্থাৎ উত্তম আদবই ঈমান।
একজন কবি বলেছেন, “আদব রক্ষা করার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানকে কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র দিয়ে সাজিয়েছেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানকে যখন বলেছিলেন, হে আসমান, তুমি কোনো স্তম্ভ ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকো, তখন সে কোনো অভিযোগ ছাড়াই দাঁড়িয়ে ছিল।” সুবহানাল্লাহ!
কবি আরো বলেন, “ আদব হলো মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত উনার টুপি। কাজেই তুমি যে কোনো স্থানে যাও না কেন, তা তোমার মাথার উপরে রাখো।” (মাকতুবাতে ইমামে রাব্বানী)
সুতরাং যার আদব নাই, তার কিছুই নাই।
হযরত মাওলানা রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদব তলব করেছি, কারণ বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে বঞ্চিত।” (মসনবী শরীফ)
অতএব, আমাদের আদবের প্রতি খুবই খেয়াল রাখা উচিত। আদবের অনেক শ্রেণী বিভাগ রয়েছে,
১। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আদব
২। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আদব
৩। নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে আদব
৪। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের প্রতি আদব
৫। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাহিমগণ উনাদের সাথে আদব
৬। ইনসান ও জিনের প্রতি আদব
৭। মাখলুকাতের প্রতি আদব
৮। দ্বীন-ইসলাম উনার প্রতি আদব
৯। ইলম উনার প্রতি আদব
তাহলে এখানে বুঝার বিষয়, আমাদের কথা বার্তার ক্ষেত্রে, চলা-ফেরার ক্ষেত্রে কতটুকু আদব বজায় রাখতে হবে। এখনকার সমাজে দেখা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনাকে আপনি না বলে তুমি বলে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আপনি না বলে তুমি বলে,
পিতা-মাতা, স্বামী এমনকি বড়দেরকে পর্যন্ত আপনি না বলে তুমি বলে থাকে।
অথচ আমরা জানি তুই, তুমি শব্দের চেয়ে ‘আপনি’ শব্দটার দ্বারাই আদব রক্ষা হয়।
তাছাড়া অনেক বিষয়ের মধ্যে আরেকটা কথা না বললেই নয়। অনেকের কাছে শুনে থাকি, তারা যদি কোনো বিপদে পড়ে, তাহলে তারা বলে- মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ভুলে গেছেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ভুলে গেছেন। নাউযুবিল্লাহ!
এখন তাদের জন্য বলতে হয়, এমন ধারণা থেকে তারা যেন এখনই তওবা করে নেয়। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি অসীম দয়ালু। তিনি কখনোই কাউকে ভুলেন না, বরং বান্দাই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যায়। অসংখ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন- তারা যেন শয়তানের ধোঁকায় না পড়ে, ভুল না করে, দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের নিয়মনীতি গ্রহণ না করে। কিন্তু বান্দা কি মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ মানে? হায় আফসুস!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণাদি (দলিল-প্রমাণ) আসার পরও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার থেকে বের হয়েছে বা পৃথক হয়ে গেছে তাদের মতো হইও না। তাদের জন্য রয়েছে বিরাট বা মহা শাস্তি।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে কি বলব- তিনি কি কখনো উম্মতকে ভুলে থাকতে পারেন?
দুনিয়ার বুকে তাশরীফ আনার সাথে সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সিজদারত হন এবং উচ্চারণ করেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক! আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন।’ তাহলে কি করে এমন ধারণা হতে পারে যে তিনি ভুলে গেছেন। নাউযুবিল্লাহ!
তবে এটা সত্যি উনার কিছু কিছু উম্মত ভুলে থাকে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের কাছে তোমাদের জন্য একজন রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট উনার কাছে বেদনাদায়ক, তিনি তোমাদের ভালাই চান, মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।” (পবিত্র সূরা তাওবাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৮-১২৯)
এবং আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ওরা যদি আপনার কাছে এসে ক্ষমা চায় এবং আপনিও তাদের জন্য ক্ষমার সুপারিশ করুন, তাহলেই তারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাবে তওবা কবুলকারী দয়ালু হিসেবে।”
তাহলে কি করে এমন ধারণা হতে পারে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভুলে গেছেন। নাউযুবিল্লাহ !
সুতরাং আপনারাই ভাবুন কতটুকু আদব বজায় না থাকলে এমন সব ধারণা, কথার সৃষ্টি হতে পারে। অতএব, অবশ্যই আদব শিক্ষার প্রতি প্রত্যেকের যথেষ্ট যতœবান হতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সর্বত্র আদব বজায় রাখার তাওফীক দান করুন। আমীন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন