728x90 AdSpace

  • Latest News

    অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের লক্ষ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপম আদর্শ মুবারক আলোচনা ও অনুসরণ: পবিত্র রমাদ্বান শরীফ আসার আগেই বেড়ে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। নিয়ন্ত্রণে নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন টিসিবি’কে কার্যকর এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত পরিকল্পনা।

    সব ছানা-ছিফত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; এমন ছানা-ছিফত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। অপরিসীম, অকৃত্রিম, অগণিত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি; এমন দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক যা তিনি পছন্দ করেন।পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস আসতে এখনো প্রায় দেড় মাস বাকি থাকলেও অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। প্রতি বছরের মতোই সক্রিয় ব্যবসায়ীদের বিশেষ সিন্ডিকেট। সাধারণত পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। কিন্তু এবার পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর বেশ আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার আশায় তাদের মধ্যে চলছে পণ্য মজুদ প্রতিযোগিতা। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি বা মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে, তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তাছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবি’র অপ্রতুল ভূমিকায়ও প্রশ্ন রয়েছে।
    পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের দেড় মাস আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চললেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত ইয়াওমুল খামীস বা বৃহস্পতিবারের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশী ও বিদেশী ডাল, রসুন ও চিনির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এক লাফে কেজিতে বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি গরুর গোশতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ঐদিন প্রতিকেজি গরুর গোশত ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৮০ টাকা। এদিকে মুরগির বাজারের চিত্রও একই। দেশী মুরগি গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করলেও গত পরশু এই মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫০-৩৮০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম প্রতি বস্তায় একশ’ টাকা এবং চালের দাম বস্তাপ্রতি গড়ে একশ’ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার পরিস্থিতি যেমন অস্থির অবস্থায় আছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর ঠিক আগে আগে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাবে।
    আসন্ন পবিত্র রমাদ্বান শরীফকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি হয়েছে চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি। দেশে ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার টনের মতো। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত তিন মাসেই (জানুয়ারি-মার্চ) পণ্যটি এসেছে ৫০ হাজার টনের বেশি। মে ও জুনের মধ্যে কমপক্ষে আরো ৭০-৮০ হাজার টন ছোলা আমদানি হবে স্থানীয় বাজারে। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ টন। এর বিপরীতে গত ৩ মাসে বন্দরে সয়াবিন ও পাম অয়েল খালাস হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টন। কাস্টম বন্ডেড ট্যাংকগুলোয় বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে।
    আমদানি ও মজুদের একই চিত্র চিনি, চাল, ডাল ও খেজুরের ক্ষেত্রেও। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ খেজুরের চাহিদা রয়েছে গড়ে ৩০ হাজার টন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪ মাসেই বন্দর দিয়ে খেজুর খালাস হয়েছে ৩০ হাজার টন। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ চিনির চাহিদা আড়াই থেকে তিন লাখ টন। বিপরীতে গত তিন মাসে (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) খালাস হয়েছে সমপরিমাণ চিনি। এপ্রিল-মে মাসে আসছে আমদানি করা আরো চিনি। তাছাড়া দেশীয় চিনিও রয়েছে। এনবিআরের হিসাবে চলতি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মসুর ডাল আমদানি হয়েছে, ১ লাখ ৩০ হাজার টন। এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে আরো ১ লাখ ৭ হাজার টনের। একইভাবে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদেরও ব্যাপক উৎপাদন এবং আমদানি হয়েছে। তারপরও পণ্যগুলোর সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
    উল্লেখ্য, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে সংঘবদ্ধ চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটায়। প্রতি বছর বাজারকে জিম্মি করে অপতৎপরতা চললেও সরকার নিয়ন্ত্রণ তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। সরকারি বিপণন সংস্থা- টিসিবি’র মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু টিসিবি বাজারের উপর কার্যকর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। টিসিবি’র দুর্বল ব্যবস্থাপনা এজন্য দায়ী। কারণ টিসিবি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর প্রকৃত চহিদা যেমন নিরূপণ করতে পারে না, তেমনি যোগানও দিতে পারে না। মোট চাহিদার সামান্য অংশ যোগান দেয় টিসিবি। আবার তাও আমদানির পরিবর্তে স্থানীয় বাজারের উপর নির্ভরশীল হয়ে।
    উল্লেখ্য, এবারের পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ ৩০ হাজার টন খেজুর, ৩০ হাজার টন ছোলা এবং ২ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকলেও টিসিবি মাত্র ৫০০ টন খেজুর, দেড় হাজার টন ছোলা এবং এক হাজার টন দেশীয় ভোজ্যতেল বিক্রি করবে। স্থানীয় বাজার থেকেই এসব সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি দেশের ১৭৫টি উপজেলায় নিজস্ব ডিলারের মাধ্যমে এবং মাত্র ১৭৪টি খোলা ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। দেশের ২০ কোটি জনগণের জন্য চাহিদার যৎসামান্য পণ্য সরবরাহ এবং ১৭৪টি ট্রাক দিয়ে খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের আশা করা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। এজন্য টিসিবি’র সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
    প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি, ট্যারিফ কমিশন, ক্যাবসহ অন্যান্য সব সংস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। স্থানীয় বাজারের পরিবর্তে টিসিবি’কে সরাসরি আমদানির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি সিন্ডিকেট দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে কাজে লাগাতে হবে।
    মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
    যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম দিচ্ছেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার মহামহিম নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
    খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের লক্ষ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপম আদর্শ মুবারক আলোচনা ও অনুসরণ: পবিত্র রমাদ্বান শরীফ আসার আগেই বেড়ে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। নিয়ন্ত্রণে নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন টিসিবি’কে কার্যকর এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত পরিকল্পনা। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top