সম্মানিত রজব মাস এত বরকতপূর্ণ যে, এ সম্মানিত মাস উনার চাঁদ দেখার সাথে সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বলে দোয়া মুবারক করতেন যে,اللهم بارك لنا فى رجب وشعبان وبلغنا رمضان
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফী রজাবিঁও ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগ্না রমাদ্বান।”
অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে সম্মানিত রজব ও শা’বান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমাদ্বান শরীফ মাস পর্যন্ত পৌছার তাওফীক দান করুন। সুবহানাল্লাহ!
বর্ণিত রয়েছে, সম্মানিত রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে উপস্থিত হওয়ার মাস, শাবান মাস হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক হাছিলের মাস এবং রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার বা সাক্ষাৎ মুবারক হাছিলের মাস। সুবহানাল্লাহ!
আরো বর্ণিত রয়েছে যে, সম্মানিত রজব মাস হচ্ছে বীজ বপনের মাস, শা’বান শরীফ মাস হচ্ছে পানি সেচনের মাস আর রমাদ্বান শরীফ হচ্ছে ফসল কাটার মাস। অতএব, যে ব্যক্তি সম্মানিত রজব মাসে ইবাদতের বীজ বপন বা রোপন করবে না, শা’বান শরীফ মাসে চোখের পানি দ্বারা সেচ করবে না, সে কিভাবে রমাদ্বান শরীফ মাসে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের ফসল কাটবে?
কাজেই, সম্মানিত রজব মাসেই অতীত জীবনের সমস্ত গুনাহ থেকে খালিছভাবে তওবা ইস্তিগফার করে নেক কাজে নিয়োজিত হতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=10867
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন