সপ্তম হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৬
৩৩ হিজরী সনের পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ৬ তারিখ মুবারক-এ এই যমীন থেকে বিদায় নেন। মুবারক দিনটি ছিলো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। তিনি সেই মহান মুজাদ্দিদ এবং ওলীআল্লাহ- যিনি এই উপমহাদেশের তৎকালীন হিন্দু মজুসী-মুশরিকদের বাতিল ধর্ম-মতকে তছনছ করে দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ব্যাপকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উনার পবিত্র হাত মুবারক-এ এক কোটিরও বেশি হিন্দু মুশরিক মজুসী তাদের বাতিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম ছেড়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে নিজেকে ধন্য করেছিল। তিনি এই উপমহাদেশের সকল শ্রেণীর নিকট ‘খাজায়ে খাঁজেগা’ ‘গরীবে নেওয়াজ’ নামেই অধিক মশহুর।
তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এমন এক মকবুল ওলী- যাঁকে স¦য়ং আখিরী রসূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘সুলত্বানুল হিন্দ’ তথা হিন্দুস্তানের কুতুব লক্বব মুবারক দিয়ে এই উপমহাদেশের বিভ্রান্ত-পথহারা মানুষের হিদায়েতের জন্য পাঠান।
সেই সময় হিন্দুস্তানের মুসলমানদের অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এসে মুসলমানদের মাঝে আবার সেই লুপ্ত পবিত্র সুন্নাহ জাগ্রত করে তাদের মুসলমানিত্বকে ফুটিয়ে তুলেন। যে কারণে বলা হয়ে থাকে- তিনি যদি সেই সঙ্কটময় অবস্থায় মুসলমানদের মাঝে হিন্দুস্তানে না আসতেন তাহলে উপমহাদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার অত্যন্ত কঠিন হতো।
তিনি এই তাজদীদী সিলসিলায় ইলমে শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ তথা ইলমে মা’রিফাত উনাদের সিলসিলাও এই মুসলিম উম্মাহর মাঝে জাগ্রত করেন; যে পবিত্র ইলম উনার মাধ্যমে একজন মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত নিসবত হাছিল করে থাকে। উনার এই মকবুল ও মশহুর তরীক্বার নাম হচ্ছে ‘চীশতিয়া তরীক্বা’; যা সারা পৃথিবীর মশহুর বিখ্যাত চার তরীক্বার একটি। সর্বোপরি তিনি এমন এক মহান মুজাদ্দিদ ও ওলীআল্লাহ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জন্য উনার জাহিরী-বাতিনী খিদমত এতই মকবুল ছিলো যে, তিনি যখন বিদায় নেন তখন উনার কপাল মুবারক-এ নূরানী অক্ষরে লিখা ফুটে উঠেÑ “হা-যা হাবীবুল্লাহ, মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ”। অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিদায় গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার এই মহান ওলী ৫৩৬ হিজরী সনের পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম মাস উনার ১৪ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এবং তিনি ৬৩৩ হিজরী সনের পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ৬ তারিখ মুবারক-এ ৯৭ বছর বয়স মুবারক-এ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মাযার শরীফ ভারতের আজমীর শরীফ-এ অবস্থিত।
৩৩ হিজরী সনের পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ৬ তারিখ মুবারক-এ এই যমীন থেকে বিদায় নেন। মুবারক দিনটি ছিলো ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। তিনি সেই মহান মুজাদ্দিদ এবং ওলীআল্লাহ- যিনি এই উপমহাদেশের তৎকালীন হিন্দু মজুসী-মুশরিকদের বাতিল ধর্ম-মতকে তছনছ করে দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ব্যাপকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উনার পবিত্র হাত মুবারক-এ এক কোটিরও বেশি হিন্দু মুশরিক মজুসী তাদের বাতিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম ছেড়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে নিজেকে ধন্য করেছিল। তিনি এই উপমহাদেশের সকল শ্রেণীর নিকট ‘খাজায়ে খাঁজেগা’ ‘গরীবে নেওয়াজ’ নামেই অধিক মশহুর।
তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এমন এক মকবুল ওলী- যাঁকে স¦য়ং আখিরী রসূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘সুলত্বানুল হিন্দ’ তথা হিন্দুস্তানের কুতুব লক্বব মুবারক দিয়ে এই উপমহাদেশের বিভ্রান্ত-পথহারা মানুষের হিদায়েতের জন্য পাঠান।
সেই সময় হিন্দুস্তানের মুসলমানদের অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি আজমিরী সানজিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এসে মুসলমানদের মাঝে আবার সেই লুপ্ত পবিত্র সুন্নাহ জাগ্রত করে তাদের মুসলমানিত্বকে ফুটিয়ে তুলেন। যে কারণে বলা হয়ে থাকে- তিনি যদি সেই সঙ্কটময় অবস্থায় মুসলমানদের মাঝে হিন্দুস্তানে না আসতেন তাহলে উপমহাদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার অত্যন্ত কঠিন হতো।
তিনি এই তাজদীদী সিলসিলায় ইলমে শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ তথা ইলমে মা’রিফাত উনাদের সিলসিলাও এই মুসলিম উম্মাহর মাঝে জাগ্রত করেন; যে পবিত্র ইলম উনার মাধ্যমে একজন মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত নিসবত হাছিল করে থাকে। উনার এই মকবুল ও মশহুর তরীক্বার নাম হচ্ছে ‘চীশতিয়া তরীক্বা’; যা সারা পৃথিবীর মশহুর বিখ্যাত চার তরীক্বার একটি। সর্বোপরি তিনি এমন এক মহান মুজাদ্দিদ ও ওলীআল্লাহ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জন্য উনার জাহিরী-বাতিনী খিদমত এতই মকবুল ছিলো যে, তিনি যখন বিদায় নেন তখন উনার কপাল মুবারক-এ নূরানী অক্ষরে লিখা ফুটে উঠেÑ “হা-যা হাবীবুল্লাহ, মা-তা ফি হুব্বিল্লাহ”। অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে বিদায় গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার এই মহান ওলী ৫৩৬ হিজরী সনের পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছাম্ম মাস উনার ১৪ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। এবং তিনি ৬৩৩ হিজরী সনের পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ৬ তারিখ মুবারক-এ ৯৭ বছর বয়স মুবারক-এ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মাযার শরীফ ভারতের আজমীর শরীফ-এ অবস্থিত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন