728x90 AdSpace

  • Latest News

    রোযা রোযা ভঙ্গ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক উলামায়ে ‘সূ’র বক্ত্যবের জবাব

    গত ১২ই রমাদ্বান শরীফ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ৪র্থ পাতার ধর্ম নামক কলামে মুফতে মুতীউর রহমান নামে এক উলামায়ে ‘সূ’ রোযা ভঙ্গ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে কতগুলো ভুল ও কুফরীমুলক বক্তব্য পেশ করেছে। তার সেই ভুল ও কুফরীমুলক বক্তব্যগুলোর দলীলভিত্তিক জবাব তুলে ধরলাম:
    উল্লেখ্য প্রথমেই জানিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, মুফতে মুতীউর রহমানের প্রদত্ত সুওয়ালের জওয়াবে প্রদত্ত দলীলসমূহ শুদ্ধ নয়।
    ১) বক্তব্য: বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে। বা কোনো রোগীকে রক্ত দিলে অথবা নিজে রক্ত নিলে রোযা ভাঙা হয় না। সুতরাং রোযা অবস্থায় রক্ত দিতে বা নিতে কোনো সমস্যা নেই। (বোখারি, হাদিস নং-১৯৩৮)।
    জবাব: রোযাবস্থায় রক্ত নিলে রোযা ভঙ্গ হবে কারণ হাদীছ শরীফ মোতাবেক শরীয়তের সাধারণ উসুল হলো “শরীরের ভিতর থেকে কোনো কিছু বের হলে ওযূ ভঙ্গ হয় এবং বাইর থেকে কোনো কিছু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়।”
    সুতরাং, রোযা রেখে রক্ত গ্রহণ করলে অবশ্যই রোযা ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু রোযা রেখে কেউ রক্তদান করলে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। কেননা প্রথম অবস্থায় রক্ত শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে। রোযা অবস্থায় শরীরে কিছু প্রবেশ করলে অবশ্য রোযা ভঙ্গ হবে।

    কিন্তু দ্বিতীয় অবস্থায় রক্ত বের হয়েছে । শরীর থেকে সাধারণভাবে কিছু বের হলে রোযা ভঙ্গ হয় না। (সমূহ ফিকাহের কিতাব)
    ২) বক্তব্য: ইনজেকশন বা ইসুলিন নিলেও রোযা ভাঙা হয় না। সুতরাং রোযা অবস্থায় প্রয়োজনে ইনজেকশন বা ইনসুলিন নেওয়া যাবে। (আলমগীরী ১/২০৭)।
    জবাব: হাদীছ শরীফ মোতাবেক শরীয়তের সাধারণ উসুল হলো “শরীরের ভিতর থেকে কোনো কিছু বের হলে ওযূ ভঙ্গ হয় এবং বাইর থেকে কোনো কিছু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়।”(সমূহ ফিকাহের কিতাব)
    রোযার ব্যাপারে ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাাহি আলাইহি উনার উসুল হচ্ছে -“বাইরে থেকে রোযাবস্থায় যে কোনো প্রকারে বা পদ্ধতিতে
    শরীরের ভিতর কিছু প্রবেশ করলে, যদি তা পাকস্থলী অথবা মগজে প্রবেশ করে, তবে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।”
    “হিদায়া মা’য়াদ দিরায়া” কিতাবের ১ম খন্ডের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
    ومن احتقن … افطر لقوله صلى الله عليه وسلم الفطر مما دخل
    অর্থ: “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় … তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- “কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।”
    “বাহরুর রায়িক” কিতাবের ২য় খন্ডের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
    واذا احتقن … افطر لقوله عليه السلام الفطر مما دخل وليس مما خرج
    অর্থ: “যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় … তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবেনা।”
    “ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাবের ১ম খন্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
    ومن احتقن .. افطر
    অর্থ: “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয় … তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে।” অনুরূপ “ফতওয়ায়ে শামীতে”ও উল্লেখ আছে।”
    অতএব, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, ইনজেকশন নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে।
    এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২১, ২২, ৪৬ ও ৪৭তম সংখ্যা পাঠ করুন।
    ৩) বক্তব্য: ….. যদি পেটে ওষুধ প্রবেশ করানো হয় তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
    জবাব: হাদীছ শরীফ মোতাবেক শরীয়তের সাধারণ উসুল হলো “শরীরের ভিতর থেকে কোনো কিছু বের হলে ওযূ ভঙ্গ হয় এবং বাইর থেকে কোনো কিছু শরীরের ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হয়।”
    রোযার ব্যাপারে ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি– উনার উসুল হচ্ছে – “বাইরে থেকে রোযাবস্থায় যে কোনো প্রকারে বা পদ্ধতিতে শরীরের ভিতর কিছু প্রবেশ করলে, যদি তা পাকস্থলী অথবা মগজে প্রবেশ করে, তবে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।”
    সুতরাং যদি পেটে ওষুধ প্রবেশ করানো হয় তাহলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে।
    মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদেরকে মুফতে মুতীউর রহমানের মতো উলামায়ে ‘ছুদের কুফরী ফতোয়া থেকে বেঁচে থেকে সঠিক আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: রোযা রোযা ভঙ্গ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক উলামায়ে ‘সূ’র বক্ত্যবের জবাব Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top