‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ বা ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতি ইহুদী-নাছারাদের একটি গভীর ষড়যন্ত্র।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি কি আপনাদের মহান রব তায়ালা নই? রূহ সম্প্রদায় বললেন, হ্যাঁ- আপনি আমাদের মহান রব তায়ালা।’ অর্থাৎ সকল রূহ একসাথেই সৃষ্টি হয়ে গেছে। যারা সৃষ্টি হয়েছে তারা আসবেই তাদেরকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। তাহলে ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ’ বা ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’-এর কি প্রয়োজন থাকতে পারে? প্রকৃতপক্ষে ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ বা ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতি ইহুদী-নাছারাদের একটি গভীর ষড়যন্ত্র। যার মাধ্যম দিয়ে তারা মুসলমান উনাদের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি চরিত্র হননেরও অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সর্বপ্রকার প্রচারণা বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে তাদের ঈমান ও আমল হিফাযতে সহযোগিতা করা। যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণকে বার্থকন্ট্রোল বা ফ্যামিলি প্ল্যানিং শব্দ দ্বারাও বুঝানো হয়ে থাকে। জন্মনিয়ন্ত্রণকে ম্যালথাসবাদও বলা হয়। কারণস্বরূপ বলা হয় যে, গুমরাহ ও মূর্খ ড. টমাস ম্যালথাস নামক ইংল্যান্ডের এক অর্থনীতিবিদ ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- লোকসংখ্যা এভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গার সঙ্কুলান হবে না। তার এ বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু উলামায়ে ‘সূ’ (দুনিয়াদার মালানা) জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে ফতওয়া দেয়। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এখন আমরা প্রথমে গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের উপরোক্ত বিবৃতিকে আক্বলী দলীলের দ্বারা আলোচনা করবো যে, তা কতটুকু শুদ্ধ অথবা অশুদ্ধ। গুমরাহ ও মূর্খ ড. টমাস ম্যালথাস ১৭৯৮ সালে বিবৃতি দিয়েছিল- একশত বছর পরে পৃথিবীতে লোকের জায়গা ধরবে না। কিন্তু বর্তমানে একশত বছর অতিক্রম হয়ে দুইশত বছরের বেশি অতীত হয়ে গেছে। তারপরও দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অনেক জায়গাই খালি রয়েছে। বর্তমানে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে লোকসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৬ কোটি। আর তার আয়তন হচ্ছে প্রায় ৫৭ হাজার বর্গমাইল। বর্তমানে পৃথিবীর লোকসংখ্যা আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় সাতশ কোটি। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এখন যদি বাংলাদেশের আয়তন ও তার লোকসংখ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আয়তন ও লোকসংখ্যার পর্যালোচনা করি, তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন- সউদী আরব যা একটি মুসলিম দেশ। যার আয়তন হচ্ছে প্রায় ৯ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তনের হিসেবে প্রায় ১৬গুণ। অথচ সউদী আরবের লোকসংখ্যা হচ্ছে- তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২.২৫ কোটি মাত্র। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী যদি সউদী আরবের জনবসতি হিসাব করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে, এক সউদী আরবেই দুইশত পঞ্চাশ কোটিরও বেশি লোকের সঙ্কুলান হবে। সুবহানাল্লাহ! এরূপ অস্ট্রেলিয়া একটি মহাদেশ। যার আয়তন হচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গমাইল। আর যা বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি। অথচ তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লোকসংখ্যা হচ্ছে প্রায় মাত্র ২ হতে ২.২৫ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক অস্ট্রেলিয়াতেই পৃথিবীতে বর্তমানে যে লোকসংখ্যা রয়েছে, তার সঙ্কুলান হওয়ার পরও অনেক জায়গা খালি থাকবে। অর্থাৎ একমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই প্রায় ৮০০ কোটি লোক সংকুলান হবে। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ আমেরিকা একটি মহাদেশ। যার আয়তন হচ্ছে প্রায় ৩৭ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তনের ৬৫গুণেরও বেশি। অথচ তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লোকসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক আমেরিকাতেও বর্তমান পৃথিবীতে যত লোক রয়েছে তার প্রায় দেড়গুণ লোক জায়গা নিবে। অর্থাৎ একমাত্র আমেরিকাতেই প্রায় ১০০০ কোটিরও বেশি লোক সংকুলান হবে। সুবহানাল্লাহ! আর যে রাশিয়া ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেলো তার আয়তন ছিল প্রায় ৮৬ লক্ষ বর্গমাইল। বাংলাদেশের আয়তন থেকে প্রায় দেড়শগুণের বড়। যার লোক সংখ্যা ছিল মাত্র প্রায় ২৮ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী এক রাশিয়াতেই বর্তমানে পৃথিবীতে যত সংখ্যক লোক রয়েছে, তার তিনগুণের বেশি সংখ্যক লোকের জায়গা নিবে। অর্থাৎ একমাত্র রাশিয়াতেই প্রায় ২৪০০ কোটি লোক সংকুলান হবে। সুবহানাল্লাহ! এরপর রয়েছে- কানাডা। এটা এমন একটি দেশ, যার আয়তন প্রায় ৩৮ লক্ষ বর্গমাইল। যা বাংলাদেশের আয়তন থেকে প্রায় ৬৬গুণেরও বেশি। অথচ তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লোকসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি। বাংলাদেশের জনবসতি অনুযায়ী শুধুমাত্র কানাডাতেই প্রায় ১১০০ কোটি লোকের সংকুলান হবে। সুবহানাল্লাহ! এছাড়া ইউরোপ, মিডিল ইস্ট। আরও রয়েছে আফ্রিকা ইত্যাদি দেশসমূহ। উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীতে ৭০০ কোটি নয়; বরং ৭০০০ কোটিরও বেশি লোক সংকুলান হবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, এটাই সাব্যস্ত হলো যে, গুমরাহ ও মূর্খ ড. ম্যালথাসের বিবৃতি সম্পূর্ণ ভুল, অশুদ্ধ, মূর্খতাসূচক ও বিভ্রান্তিমূলক। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ আলাইহিস সালাম আলী তিনি বলেন, এখন আমরা নক্বলী দলীল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণকে জায়িয বলে, তারা দলীলস্বরূপ যে পবিত্র আয়াত শরীফ পেশ করে, তারা সে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ করে থাকে- “অধিক সম্পদ এবং অধিক সন্তান বিপদের কারণ।” (পবিত্র সূরা তাগাবুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)। অথচ তাদের এ অর্থ সম্পূর্ণরূপে ভুল। সঠিক অর্থ হলো- “সম্পদসমূহ ও সন্তানসমূহ বিপদের কারণ বা পরীক্ষাস্বরূপ।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এখন যদি আমরা উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ তাদের কথা মোতাবেক ভুলটাই ধরে নেই, তাহলে আরও একটি পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করতে হয়। যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ৮৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ মানবে, আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করবে (কিছু মানবে, কিছু অস্বীকার করবে), দুনিয়ায় তাদের বদলা বা শাস্তি হচ্ছে- লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন শাস্তির দিকে ধাবিত করা হবে।” অর্থাৎ কোনো ঈমানদার কিতাবের বা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার কিছু মানবে আর কিছু মানবে না অর্থাৎ অস্বীকার করবে তা হবে না। তাকে সম্পূর্ণটাই মানতে হবে। যদি সে খালিছ ঈমানদার হয়ে থাকে। তাদের অর্থ মুতাবিক অধিক সন্তান ও অধিক সম্পদ বিপদের কারণ। এ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তারা সন্তান কমানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। বিপদ থেকে বাঁচার জন্য যদি সন্তান কমানো হয়, তাহলে অনুরূপ বিপদ থেকে বাঁচার জন্য সম্পদও তো কমিয়ে দিতে হবে। কাজেই যারা চাকরি করে থাকে, তারা ইনক্রিমেন্ট নিতে পারবে না। যারা ব্যবসা করে থাকে, তারা পুঁজি ও দোকান-পাঠ বাড়াতে পারবে না এবং যারা চাষাবাদ করে থাকে, তারা জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর ইত্যাদি বাড়াতে পারবে না। বরং সবকিছু কমিয়ে দিতে হবে। কারণ তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সম্পদ বাড়লে বিপদে পড়তে হবে তাই সম্পদও কমিয়ে দিতে হবে। কমাতে কমাতে একদিন দেখা যাবে যে, সে বা তারা সকলেই শূন্য অর্থাৎ নিঃশেষ হয়ে যাবে। অতএব, তাদের এ অর্থ সম্পূর্ণরূপেই ভুল। অর্থ হবে- “সম্পদসমূহ এবং সন্তানসমূহ বিপদের কারণ বা পরীক্ষাস্বরূপ।” তা অল্প সম্পদও হতে পারে, বেশি সম্পদও হতে পারে। আবার সন্তান একটাও হতে পারে, দশটিও হতে পারে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়িয করতে যেয়ে উলামায়ে ‘সূ’রা একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফও বলে থাকে, ‘জাহাদুল বালা’-এর অর্থ- অধিক সন্তান, অল্প সম্পদ। যারা জন্মনিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলে থাকে, তারা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলে থাকে- “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিক সন্তান ও অল্প সম্পদ থেকে পানাহ চেয়েছেন।” মূলত, এর ছহীহ বা সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই দোয়া করেছেন এবং দোয়ার তরতীব শিক্ষা দিয়েছেন। এখন যদি কারও সন্তান বেশি হয়, আর সম্পদ কম হয়, তাহলে সে যেন দোয়া করে- সম্পদ বেশি হওয়ার জন্য। কারণ সন্তান বেশি হলে আর সম্পদ কম হলে এটা তার জন্য কষ্টের কারণ হবে। এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ জন্মনিয়ন্ত্রণ নয়। অর্থ হচ্ছে- সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করা ও মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী থাকা। যেমন অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, “তোমরা একটা জুতার ফিতার দরকার হলেও তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চেও।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এখন আমরা এমন একটি পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করবো, যে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পবিত্র তাফসীর শরীফ উনার মধ্যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এবং সকল হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সকলেই একমত হয়েছেন। কারণ এ তাফসীর শরীফ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই করেছেন। পবিত্র আয়াত শরীফ হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ উনার ১৭২ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি কি আপনাদের মহান রব তায়ালা নই? উনারা (রূহ সম্প্রদায়) সকলেই বললেন, হ্যাঁ (আপনি আমাদের মহান রব তায়ালা)।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কাদেরকে কখন সম্বোধন করা হয়েছে? তার তাফসীরে সমস্ত তাফসীর শরীফ উনার কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি রোজ-আযলে (সৃষ্টির শুরুতে) সকল রূহ সম্প্রদায়কে একসাথে সৃষ্টি করে রূহ সম্প্রদায় উনাদেরকে সম্বোধন করে বলেছিলেন, “আমি কি আপনাদের মহান রব তায়ালা নই?” উনারা সকলেই জাওয়াব দিয়েছিলেন, “হ্যাঁ, আপনি আমাদের মহান রব তায়ালা।” অর্থাৎ সমস্ত রূহ্ একসাথে সৃষ্টি করে আলমে আরওয়াহতে (রূহ জগতে) অবস্থানের স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ রূহ সব একসাথে সৃষ্টি হয়েছে। রূহ আগে বা পরে সৃষ্টি হয়নি বা হয় না। কাজেই যাদের রূহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা তো আসবেই। অতএব, রূহ যদি সব একসাথে সৃষ্টিই হয়ে থাকে, আর নতুন করে সৃষ্টি না হয়, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অবলম্বন করার কি প্রয়োজন থাকতে পারে বা অবলম্বন করে কি হবে? মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- অতএব, কেউ যদি থাকা, খাওয়া, পরার অভাব মনে করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা কুফরী হবে। অর্থাৎ সে কাফির হবে। কারণ থাকা-খাওয়া, পরা ইত্যাদি সবকিছুর মালিক হলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। যা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “যমীনে যত প্রাণী রয়েছে, তাদের সকলের রিযিকের একমাত্র জিম্মাদার হলেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি।” সুবহানাল্লাহ! আর যদি কেউ সাধারণভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা হবে মাকরূহ তাহরীমী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ এতে অপচয় করা হয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা হচ্ছে- শয়তানের ভাই।” নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সকল রূহ একসাথেই সৃষ্টি হয়ে গেছে, যারা সৃষ্টি হয়েছে তারা আসবেই তাদেরকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। তাহলে জন্মনিয়ন্ত্রণ বা ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’-এর কি প্রয়োজন থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ বা ‘জন্মনিয়ন্ত্রণ’ পদ্ধতির মাধ্যম দিয়ে তারা মুসলমান উনাদের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি চরিত্র হননেরও অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। যা ইহুদী-নাছারাদের একটি গভীর ষড়যন্ত্র। তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সর্বপ্রকার অপপ্রচারণা বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে তাদের পবিত্র ঈমান ও আমল হিফাযতে সহযোগিতা করা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন