এক দেশে চাঁদ দেখে সারা পৃথিবীতে আরবী মাস গণনা করা সম্মানিত শরীয়তসম্মত নয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ বা হিলাল সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ ও পবিত্র হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম।’এই পবিত্র আয়াত শরীফ অনুযায়ী বাঁকা চাঁদ দেখেই আরবী মাস নির্ধারণ করার স্পষ্ট নির্দেশনা মুবারক এসেছে।অর্থাৎ খালি চোখে বাঁকা চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা ফরয।আর এক দেশে চাঁদ দেখে সারা পৃথিবীতে আরবী মাস গণনা করা সম্মানিত শরীয়তসম্মত নয়।যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ বা হিলাল সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ ও পবিত্র হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম।’ এই পবিত্র আয়াত শরীফ অনুযায়ী বাঁকা চাঁদ দেখেই আরবী মাস নির্ধারণ করার স্পষ্ট নির্দেশনা মুবারক এসেছে। অর্থাৎ খালি চোখে বাঁকা চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করা ফরয।”বাঁকা চাঁদ দেখে হিজরী মাস শুরু নিয়ে নানা অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘তারা আপনাকে বাঁকা চাঁদ বা হিলাল সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলুন, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ ও পবিত্র হজ্জ উনার সময় ঠিক করার মাধ্যম’- এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় অনেকে বলে থাকে, ‘এগুলো (নতুন চাঁদসমূহ) সময়সমূহ (চান্দ্রমাসমূহ) আরম্ভ (হিসাব) করার মাধ্যম, পুরো মানবজাতির জন্য (লিন্ নাছ) এবং পবিত্র হজ্জ উনার জন্য।” তারা আরো বলে থাকে, “এটা সারা পৃথিবীর মানুষের (লিন্ নাছ) জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক, কোনো গোত্র বা দেশের জন্য নয়। তাই সারা পৃথিবীতে একক চন্দ্রমাস হিসাব করে একক হিজরী বৎসর গণনা করতে হবে।”মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার কোথাও বলা নেই, সারা পৃথিবীতে এক চান্দ্রমাস হিসাব করে একক হিজরী বৎসর গণনা করতে হবে। আবার ‘কোনো গোত্র বা দেশের জন্য নয়’- এই উক্তিটিও সঠিক নয়। কেননা সময় ঠিক করার মাধ্যম সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য এই ব্যাখ্যা সঠিক কিন্তু পবিত্র হজ্জ উনার জন্য হলে বিশেষভাবে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার চাঁদ দেখাকেই বোঝায়। কেননা পৃথিবীর কোথাও পবিত্র হজ্জ উনার তারিখটি ঠিক বা নির্দিষ্ট করা যাবে না। আবার বাঁকা চাঁদ সারা পৃথিবীর মানুষের সময় ঠিক করার মাধ্যম দ্বারা এটা কখনো বোঝায় না যে, সারা পৃথিবীর জন্য একক হিজরী পঞ্জিকা গণনা করতে হবে।মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু বাঁকা চাঁদ সকলের সময় ঠিক করার মাধ্যম, এর অর্থ সকল অঞ্চলের লোক বাঁকা চাঁদ দেখে বা মেঘলা থাকলে না দেখে আরবী মাস গণনা করতে হবে কিন্তু পৃথিবীর কোথাও দেখা গেলেই সারা পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য হবে এ ব্যাখ্যা সঠিক নয়।মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অনেকে আরো অপব্যাখ্যা করে এই বলে যে, ‘হেলাল বা নতুন চাঁদ উনার বহুবচন আহিল্লাত শব্দ ব্যবহার হয়েছে এখানে আহিল্লাত শব্দ মুবারক দ্বারা ১২ মাসে ১২ চান্দ্রমাস আরম্ভ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে এক চাঁদ অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে আরবী মাস গণনা করতে হবে।’ আসলে এ ব্যাখ্যাও সঠিক নয়। যেহেতু নতুন চাঁদ আকাশে উদিত হলেও সমস্ত অঞ্চলে দেখা যাবার সম্ভাবনা থাকে না, ফলে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল ভিন্নভাবে দেখে মাস শুরু করে থাকে, তাই হিলাল না বলে আহিল্লাত শব্দ মুবারক ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এক দেশে চাঁদ দেখে সারা পৃথিবীতে আরবী মাস গণনা করা সম্মানিত শরীয়তসম্মত নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন