728x90 AdSpace

  • Latest News

    ‘সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম।’

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের ইত্বায়াত বা অনুসরণ ও অনুকরণ করো না।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম।’ সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হচ্ছে কাফির, মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা। তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশে কী করে হারাম খেলাধুলা জারি থাকতে পারে? অতএব, কোনো মুসলমান কোনো প্রকার খেলাধুলা, যা হারাম ও নাজায়িয- তাতে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। একইভাবে শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এ দেশের সরকারও তা অনুষ্ঠিত হতে দিতে পারে না। কাজেই সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলাধুলাসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ বন্ধ করে দেয়া।

        যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলত্বানুল নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। তারা সবাই আমলদার না হলেও ঈমানদার। তারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ যথাযথ পালন না করলেও পরিপূর্ণ বিশ্বাস করে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের ইত্বায়াত বা অনুসরণ ও অনুকরণ করো না।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম।’ কারণ সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হচ্ছে কাফির, মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা। তাহলে ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশে কী করে হারাম খেলাধুলা জারি থাকতে পারে? আগামী ১৬ই মার্চ-২০১৪ ঈসায়ী থেকে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য হারাম ‘টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট’ খেলার আয়োজন করা কোনো মতেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত সম্মত নয়; সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারসহ জনগণকে নছীহত প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে, গুরুত্বের বিচারে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ এক অনন্য মযার্দাসম্পন্ন পবিত্র সূরা শরীফ। পবিত্র কুরআন শরীফ আরম্ভ হয়েছে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ দ্বারা। অবতরণের দিক দিয়ে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ পবিত্র সূরা শরীফ। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি সমগ্র পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সংক্ষিপ্ত সারমর্ম। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অবশিষ্ট পবিত্র সূরা শরীফগুলো মূলত পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনারই বিস্তৃত ব্যাখ্যা। গুমরাহীর পথ ছেড়ে ‘ছিরাতুল মুস্তাক্বীম’ উনার পথে পরিচালিত হওয়াই সমগ্র পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মূল কথা। আর পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে সে বিষয়টিই দোয়ারূপে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণভাবে।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সর্বাধিক পঠিত পবিত্র সূরা শরীফ হিসেবে সে দোয়া সারা মুসলিম জাহান উচ্চারণ করছেন প্রতিনিয়ত, অহরহ- “আমাদেরকে সরল পথ দান করুন, ওই সমস্ত লোকের পথ, যাঁদের নিয়ামত দান করা হয়েছে। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি গযব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।”  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নিয়ামতপ্রাপ্ত ও গযবপ্রাপ্তদের বর্ণনা কিন্তু পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যেই রয়ে গেছে। যাঁদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, উনাদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহপ্রাপ্ত উনারা হচ্ছেন- হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছিদ্দীক্বীন, হযরত শুহাদা এবং হযরত ছালিহীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত বলতে ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, মুনাফিক তথা বিধর্মীদেরকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক তথা বিধর্মীদের পথ পরিহার করে হযরত নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ এবং ছালিহীনগণ উনাদের পথে পরিচালিত হওয়াই পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার কথা, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার শিক্ষা।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে বিজাতীয় ও বিধর্মীদের দ্বারা প্রবর্তিত। পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ তিলাওয়াতকারী কোনো মুসলমান খেলাধুলা করতে পারে না এবং খেলা দেখতেও পারেন না। খেলার সমর্থনে কোনো আলোচনাও করতে পারেন না। খেলা সমর্থনও করতে পারেন না এবং পবিত্র ঈমান উনার আলোকে বরদাশতও করতে পারেন না। কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ’ উনার ১৬ ও ১৭ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আসমান-যমীন ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হতো।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব ‘মুস্তাদরেকে হাকিম’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সমস্ত খেলাধুলাই হারাম।” অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সর্বপ্রকার খেলাধুলাকেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকেও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলার আয়োজন সবসময়ের জন্যই বন্ধ রাখতে হবে। নচেৎ তারা ওয়াদা খিলাফকারী ও সংবিধান খেলাফকারী বলে বিবেচিত হবে। কারণ, সংবিধানের ২(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম। আর খেলাধুলা সরাসরি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী।

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ‘সমস্ত প্রকার খেলাধুলাই হারাম।’ Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top