মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যমীনে যা হালাল তা ভক্ষণ করো।’ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল কামাই করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয। হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হালাল রিযিককে গুরুত্ব দেয়া ও হালাল খাদ্য খাওয়ার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ঘরে গাউছুল আ’যম সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতো ওলীআল্লাহ উনাকে পাঠিয়েছেন। যার থেকে সকলকেই ইবরত-নছীহত হাছিল করতে হবে। অর্থাৎ সকলকেই হালাল কামাই করতে হবে এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খেতে হবে। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছূল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সেই যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ থেকে পবিত্র বিছাল শরীফ পর্যন্ত পুরো হায়াত মুবারক মুসলমানদের জন্য রয়েছে নছীহত, ইবরত। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি। (যেহেতু তিনি জিহাদপ্রিয় ছিলেন, সেহেতু উনাকে জঙ্গীদোস্ত বলা হয়) হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন যুবক ছিলেন, তখন একদিন তিনি ক্ষুধার্ত অবস্থায় দজলা নদীর তীর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন দজলা নদীর মধ্যে একটি ছেব বা আপেল ফল ভাসমান অবস্থায় দেখে ক্ষুধার তাড়নায় খেয়ে ফেললেন। তিনি রাত্রে বিছানায় শুয়ে চিন্তা করতে লাগলেন এ ছেব বা আপেল ফল খাওয়া কতটুকু জায়িয হলো? (যদিও ইসলামী শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো কোনো ব্যক্তি যদি তিন দিন না খেয়ে থাকে তখন তার জন্য জরুরত আন্দাজ হারামটা মুবাহ হয়ে যায়) মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরদিন সকালে দজলা নদীর তীর দিয়ে হাঁটতে লাগলেন, যেদিক থেকে ছেব বা আপেল ফলটি ভেসে আসছিল। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন, নদীর কিনারায় একটি ছেব বা আপেল ফলের বাগান। বাগানের কয়েকটি গাছের কয়েকটি ডালা ফলসহ নদীর উপর ঝুলন্ত অবস্থায়। আর তার কিছু ফল পানিতে ভেসে আছে। তখন তিনি নিশ্চিত হলেন যে, নিশ্চয়ই আমি এই বাগানের গাছের ফলই খেয়েছি। অতঃপর তিনি বাগানের মালিকের বাড়িতে গেলেন। বাড়িতে গিয়ে উনার সাথে বাগানের মালির সাথে দেখা হয়। মালি উনাকে অপেক্ষা করার জন্য বললো। কারণ তিনি কোথাও গিয়েছেন। বাগানের মালিক হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাড়িতে আসার পর মালি হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বাগানের মালিকের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। তখন হযরত জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হুযূর! আমি না বলে আপনার বাগানের একটি ছেব বা আপেল ফল ক্ষুধার তাড়নায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় পেয়ে খেয়ে ফেলেছি। তাই আমি তার মূল্য পরিশোধ করতে চাই, সেজন্য আমি এসেছি। একথা শুনার পর হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আশ্চর্য হলেন এবং মনে মনে ভাবলেন, কত লোকই তো আমার বাগানের কত ফল খেয়েছে কিন্তু কেউই এ পর্যন্ত দাম দিতে আসেনি। নিশ্চয়ই এ যুবক মহান আল্লাহ পাক উনার একজন খালিছ ওলী হবেন। বাগানের মালিক জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নিকট কত দিরহাম আছে? উত্তরে হযরত সাইয়্যিদ আবু ছালেহ মুসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, দিরহাম থাকলে তো আপনার ফলই খেতাম না। পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে কি দিয়ে মূল্য পরিশোধ করবেন? হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গিদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আপনার বাগানে কাজ করে ফলের মূল্য পরিশোধ করতে চাই। বাগানের মালিক হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, বেশ কাজ করতে থাকুন।
কিতাবে উল্লেখ আছে, উক্ত ফলের মূল্য পরিশোধ করে খাদ্যকে হালাল করার জন্য তিনি উনার বাগানে একাধারা মুখতালিফ বর্ণনায় কয়েক বৎসর কাজ করেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর থেকে আমাদের সকলকেই ইবরত-নছীহত হাছিল করতে হবে যে, সকলকেই সর্বদা হালাল রিযিক বা পবিত্র খাদ্য কামাই করতে হবে বা খেতে হবে। কারণ এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মানুষেরা! তোমরা যমীনে হালাল খাদ্য খাও আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম গেজা বা খাদ্য দ্বারা তৈরি হয়েছে।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শরীরের যে গোশতের টুকরাটি হারাম খাদ্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গিদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হালাল রিযিককে গুরুত্ব দেয়ার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ঘরে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতো ওলীআল্লাহ উনাকে পাঠিয়েছেন। যা সকলের জন্যই ইবরত-নছীহত হাছিল করার কারণ। অর্থাৎ কেউ যদি চায় যে, তার সন্তান নেককার বা আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হোক; তবে তার দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া।
কিতাবে উল্লেখ আছে, উক্ত ফলের মূল্য পরিশোধ করে খাদ্যকে হালাল করার জন্য তিনি উনার বাগানে একাধারা মুখতালিফ বর্ণনায় কয়েক বৎসর কাজ করেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর থেকে আমাদের সকলকেই ইবরত-নছীহত হাছিল করতে হবে যে, সকলকেই সর্বদা হালাল রিযিক বা পবিত্র খাদ্য কামাই করতে হবে বা খেতে হবে। কারণ এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মানুষেরা! তোমরা যমীনে হালাল খাদ্য খাও আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম গেজা বা খাদ্য দ্বারা তৈরি হয়েছে।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শরীরের যে গোশতের টুকরাটি হারাম খাদ্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।” মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত সাইয়্যিদ আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গিদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হালাল রিযিককে গুরুত্ব দেয়ার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ঘরে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতো ওলীআল্লাহ উনাকে পাঠিয়েছেন। যা সকলের জন্যই ইবরত-নছীহত হাছিল করার কারণ। অর্থাৎ কেউ যদি চায় যে, তার সন্তান নেককার বা আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হোক; তবে তার দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন