728x90 AdSpace

  • Latest News

    ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবসপালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী।

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।’ ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত কোনো দিবসই পালন করা জায়িয নেই। তা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ই হোক অথবা অন্য কোনো দিবস হোক সেটা পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে, ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে নিজে বিরত থাকা ও অন্যকে বিরত রাখা। 
    যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমান উনাদের জন্য ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। কারণ, ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি বা তর্জ-তরীক্বা। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস মূলত নোংরামী বিস্তারের দিবস। পাশ্চাত্যে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের পে¬ছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের ব্যবসায়িক স্বার্থ ও সুদূরপ্রসারী ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পশ্চিমাদের খাছ গোলাম, মুনাফিক শফিক রেহমান পশ্চিমাদের কাছে আরো প্রিয় এবং এদেশের হুজুগে বাঙালিদের কাছে একটি তথাকথিত সংস্কৃতির প্রচলনের প্রবক্তা সাজার উদ্দেশ্যে ও তার কাঙ্খিত বাহবা কুড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তার সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের প্রবর্তন ঘটিয়েছে। তবে শুধু শফিক রেহমানই নয়; তার সাথে এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ও ইসলামবিদ্বেষী মহলের বিবিধ স্বার্থ কাজ করেছে, করছে। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কথিত ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে ঞযব হবি ঊহপুপষড়ঢ়বধফরধ ইৎরঃধহহরপধ ও ঊহপুপষড়ঢ়বফরধ অসবৎরপধহধ-সহ আরো বহু বইপুস্তকে বর্ণিত রয়েছে, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন, সে ছিলো চিকিৎসা বিদ্যায় অভিজ্ঞ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ ঈসায়ীতে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। সে যখন বন্দি ছিলো তখন তার অনুসারী-ভক্ত তরুণ-তরুণীরা তাকে ভালোবাসা জানিয়ে জেলখানায় জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিতো। বন্দি অবস্থাতেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইন জেলারের অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়ার চিকিৎসা করে। মেয়েটির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। মৃত্যুর আগে মেয়েটিকে লেখা এক চিঠিতে সে লিখে যে, “ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।” ইত্যাদি কারণে পরবর্তীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্ণিত ইতিহাস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, তথাকথিত ভালোবাসা দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা; যা অনুসরণ করা মুসলমান উনাদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহ। এছাড়া তথাকথিত ভালোবাসা দিবসের নামে মূলত চলে বেপর্দা-বেহায়াপনার নির্লজ্জ উৎসব। যাতে ইবলিস শয়তানের ওয়াসওয়াসা থাকে ও নফস বা প্রবৃত্তির উদ্দামতা যুক্ত হয়; যা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ মুতাবিক শক্ত কবীরা গুনাহ এবং পরকালে এসব কাজের জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে তথা জাহান্নামে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অর্থাৎ যারা কথিত ভালোবাসা দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে। নাঊযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত কোনো দিবসই পালন করা জায়িয নেই। তা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবস’ই হোক অথবা অন্য কোনো দিবস হোক সেটা পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে, ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা পালন করা থেকে নিজে বিরত থাকা ও অন্যকে বিরত রাখা।
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ‘ভালোবাসা দিবসপালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top