728x90 AdSpace

  • Latest News

    ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আহলে কিতাব তথা কাফির-মুশরিকরা চায় তোমরা পবিত্র ঈমান আনার পর তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দিতে।’ নাউযুবিল্লাহ! ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকরা সুকৌশলে মুসলমান উনাদের দ্বারা হারামকে হালাল, হালালকে হারাম বানিয়ে এবং হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করিয়ে মুসলমান উনাদের কাফিরে পরিণত করছে। নাউযুবিল্লাহ! ফলে মুসলমানদের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হচ্ছে, স্ত্রী তালাক হচ্ছে, সন্তান বৈধতা হারাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! যার কারণে দেখা যাচ্ছে যে, মুসলমান নামধারী হওয়ার পরও সে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাই প্রত্যেক মুসলমানকে এ বিষয়টি ভালভাবে ফিকির করতে হবে। পাশাপাশি ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সুলত্বানুল নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অসংখ্য স্থানে ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদেরকে মুসলমানদের চরম পরম শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ এককথায় সমস্ত কাফিররাই মুসলমানদের শত্রু। শত্রু হওয়ার কারণেই তারা চব্বিশ ঘণ্টা অর্থাৎ দায়িমীভাবে কোশেশ করে কি করে মুসলমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি করা যায়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আহলে কিতাব বা কাফিররা চায় তোমরা (মুসলমানরা) পবিত্র ঈমান আনার পর কি করে তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দেয়া যায়।’ নাউযুবিল্লাহ!  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইহুদী-নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকরা সুকৌশলে মুসলমানদের দ্বারা হারামকে হালাল, হালালকে হারাম বানিয়ে এবং হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করিয়ে মুসলমানদের কাফিরে পরিণত করছে। ফলে মুসলমানদের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হচ্ছে, স্ত্রী তালাক হচ্ছে, সন্তান বৈধতা হারাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! যার ফলে দেখা যাচ্ছে যে, মুসলমান নামধারী হওয়ার পরও সে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কথা বলছে।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে গান-বাজনা, ছবি ও খেলাধুলা সম্পূর্ণ হারাম। গান-বাজনা প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “গান শোনা গুনাহের কাজ; গানের মজলিসে বসা ফাসিকী কাজ আর গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।” ছবি প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা জাহান্নামী।” অর্থাৎ ছবি তোলা ও তোলানো উভয়টাই হারাম। খেলাধুলা প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক খেলাই হারাম”। অর্থাৎ গান-বাজনা, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম, খেলাধুলা ইত্যাদি পবিত্র ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণই হারাম ও নাজায়িয।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে উল্লেখ আছে, হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলা, হারাম বা গুনাহের কাজে খুশি প্রকাশ করা, হারাম বা গুনাহের কাজকে ভাল লেগেছে, ভাল বলে স্বাদ গ্রহণ করা বা তৃপ্তিবোধ করা এবং প্রশংসা করা প্রত্যেকটাই কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কেউ যদি কোন হারাম কাজকে হালাল এবং হালাল কাজকে হারাম বলে বা মনে করে হারাম কাজের স্বাদ গ্রহণ করে বা তৃপ্তি বোধ করে হারাম কাজের প্রশংসা করে তবে সে মুরতাদ তথা কাফির হয়ে যাবে। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক কোন মুসলমান যখন কুফরী করে তখন সে মুরতাদে পরিণত হয়ে যায়, ফলে তার পূর্ববর্তী জীবনের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যায়, হজ্জ করে থাকলে হজ্জ বাতিল হয়ে যায়। ওয়ারিছস্বত্বও বাতিল হয়ে যায়। বিবাহ করে থাকলে স্ত্রী তালাক হয়ে যায়, এমতাবস্থায় স্ত্রীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও অবস্থান করা অবৈধ ও কবীরা গুণাহ বলে গণ্য হবে, সন্তান হলে বৈধ বলে গণ্য হবে না। নাঊযুবিল্লাহ! যতক্ষণ পর্যন্ত তওবা করে বিবাহ না দোহরাবে।  মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানদের শত্রু কাফির, ইহুদী-মুশরিকগুলো মূলত একাজটাই সূক্ষ্মভাবে করে যাচ্ছে। তাই মুসলমানদের উচিত কাফির, ইহুদী-মুশরিকদের এসব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকা। অর্থাৎ সর্বদা হারামকে হারাম ও হালালকে হালাল জানা, হারাম কাজে স্বাদ গ্রহণ বা তৃপ্তিবোধ ও খুশি প্রকাশ না করা। এমতাবস্থায় কেউ হারাম কাজ করলেও তার ঈমান নষ্ট হবে না; তবে সে অবশ্যই ফাসিক বা গুনাহগার হবে। অতএব, প্রত্যেক মুসলমানকে এ বিষয়টি ভালভাবে ফিকির করতে হবে। পাশাপাশি ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ইহুদী-নাছারা, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top