পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা কোনো গুনাহকেই ছোট মনে করো না।’ পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার এই নির্দেশ মুবারক উপলব্ধি করতে সক্ষম না হওয়াতে শুধু ছবির কারণেই লক্ষ-কোটি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে; যার ফলে সকলেই লা’নতগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো গুনাহ ছোট বা ছগীরা নয়। তবে তুলনামূলক কোনোটা ছগীরা বা ছোট গুনাহ আর কোনোটা কবীরা বা বড় গুনাহ। তবে ছগীরা বা ছোট গুনাহ বা অপরাধ মানুষকে বড় গুনাহ বা বড় অপরাধ করতে প্রলুব্ধ করে। অতএব, ক্যামেরা-সিসিটিভিসহ সার্বিকভাবে ছবির ব্যবহার এখনই বন্ধ করতে হবে। যদিও শুরুতেই বন্ধ করা ফরয ছিলো। আর বন্ধ করা না হলে আগামীতে এর কারণে অপরাধ এবং গুনাহর পরিমাণ হাজারগুণে বাড়তেই থাকবে। নাউযুবিল্লাহ! যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা কোনো গুনাহকেই ছোট মনে করো না।’ পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরা গুনাহ। ইসলামী শরীয়ত উনার এই নির্দেশ মুবারক উপলব্ধি করতে সক্ষম না হওয়াতে আজকের পৃথিবীতে শুধু ছবির কারণে লক্ষ-কোটি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে; যার ফলে পার্থিব শান্তি বিঘিœত হচ্ছে ও সকলেই লা’নতগ্রস্ত হচ্ছে। কোনো গুনাহ ছোট বা ছগীরা নয়। তবে তুলনামূলক কোনোটা ছগীরা বা ছোট গুনাহ আর কোনোটা কবীরা বা বড় গুনাহ। তবে ছগীরা বা ছোট গুনাহ বা অপরাধ মানুষকে বড় গুনাহ বা বড় অপরাধ করতে প্রলুব্ধ করে। অতএব, ক্যামেরা ও সিসিটিভিসহ সার্বিকভাবে ছবির ব্যবহার এখনই বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করা না হলে আগামীতে এর কারণে অপরাধ এবং গুনাহর পরিমাণ হাজারগুণে বাড়তেই থাকবে। নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ক্যামেরার ব্যবহার কখনোই সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত নয়; পূর্বে ক্যামেরার ব্যবহার সীমিত ও সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে থাকায় অপরাধ ও ক্ষতির বিষয়টা মানুষ সহজে বুঝতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে সিসিটিভি, ক্যামেরা, মোবাইল ক্যামেরাসহ ছবির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়াতে অপরাধের ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। প্রায়শই পত্রিকায় আসছে, গোপনে সিসিটিভি এবং মোবাইল ক্যামেরায় অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এসব কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। (নাউযুবিল্লাহ!)। এছাড়া গোপনে ছবি তুলে জিম্মি করে, ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনাও অহরহ ঘটছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সরকার তথা কোনো মানবরচিত তন্ত্র-মন্ত্র বা নিয়মনীতি কখনোই এসব অপরাধের কোনো সমাধান দিতে পারবে না। উল্লেখ্য, এসব হারাম উপকরণ ব্যবহার বন্ধের মধ্যেই রয়েছে একমাত্র সমাধান; যা একমাত্র সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যেই প্রদান করেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পূর্বে মানুষ ছবি তুলতে গিয়ে গুনাহর ভয় করতো; কিন্তু বর্তমানে যত্রতত্র ক্যামেরার কারণে মানুষের উপলব্ধি থেকে গুনাহর ভয় উঠে যাচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ!)। পরিণামে মুসলমানগণ দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- সিসিটিভি, ক্যামেরা ও মোবাইল ক্যামেরা বা ছবি তোলার পদ্ধতি যতই আধুনিক হোক না কেন; ছবি তোলা কখনোই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার সম্মত হবে না। সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে অপরাধ দমনে পশ্চিমাবিশ্ব কোনো প্রকার সাফল্য লাভ করতে পারেনি। বরং সাফল্যের চেয়ে তাদের ব্যর্থতার পরিমাণ বেশি। আর বিশ্বের মুসলমানদের সাফল্য আর ব্যর্থতার কারণে নয়; বরং ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি হারাম ও কবীরা গুনাহ হওয়ার কারণেই এর থেকে দূরে থাকা উচিত ছিলো। অর্থাৎ ফরয ছিলো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমস্ত মুসলিম বিশ্বে হারাম সিসিটিভি ক্যামেরা, মোবাইল ক্যামেরাসহ সর্বপ্রকার ছবির ব্যবহার বন্ধে আরও সচেতন ও দৃঢ় হতে হবে; নতুবা মুসলমানগণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে কাফির-মুশরিকদের মতো কঠিন গুনাহে গুনাহগার ও ক্ষেত্র বিশেষে ঈমানহারা হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন