আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اعطيت بجوامع الكلم
অর্থাৎ- “আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের ইলম হাদিয়া করা হয়েছে।”
ছয় বৎসর চেষ্টা করেও কুরাইশ কাফিররা যখন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার বন্ধ করতে ব্যর্থ হলো, তখন তারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার জন্য মনস্থ করলো। নাউযুবিল্লাহ!
এতদ্দর্শনে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও মুসলমান উনারা পবিত্র মক্কা শরীফ শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। কাফিররা একটি চুক্তিনামা তৈরি করলো। তাতে লিখা ছিল- “সামাজিক লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিবাহ-শাদীসহ যাবতীয় সামাজিক বিষয়ে বনী হাশেম ও বনী হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনাদেরকে বয়কট করা হলো।” কুরাইশদের সব সর্দার এতে স্বাক্ষর করলো। উক্ত চুক্তিনামা বাক্সে তালাবদ্ধ ও সীলগালা করে খানায়ে কা’বা উনার মধ্যে সংরক্ষণ করলো।
অর্থাৎ- “আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের ইলম হাদিয়া করা হয়েছে।”
ছয় বৎসর চেষ্টা করেও কুরাইশ কাফিররা যখন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার বন্ধ করতে ব্যর্থ হলো, তখন তারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার জন্য মনস্থ করলো। নাউযুবিল্লাহ!
এতদ্দর্শনে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও মুসলমান উনারা পবিত্র মক্কা শরীফ শিয়াবে আবি তালেব নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। কাফিররা একটি চুক্তিনামা তৈরি করলো। তাতে লিখা ছিল- “সামাজিক লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিবাহ-শাদীসহ যাবতীয় সামাজিক বিষয়ে বনী হাশেম ও বনী হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনাদেরকে বয়কট করা হলো।” কুরাইশদের সব সর্দার এতে স্বাক্ষর করলো। উক্ত চুক্তিনামা বাক্সে তালাবদ্ধ ও সীলগালা করে খানায়ে কা’বা উনার মধ্যে সংরক্ষণ করলো।
একাধারে তিন বৎসর খাদ্যের অভাবে মুসলমানগণ ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিসহ আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কষ্ট চরম সীমায় পৌঁছলেন।
একদিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চাচা আবু তালেব উনাকে বললেন- “চাচাজান! কুরাইশদের চুক্তিনামার কার্যকারিতা আর নেই। কেননা, উই পোকায় চুক্তিনামায় মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক ছাড়া আর সব কিছু খেয়ে ফেলেছে।”
আবু তালেব তিনি আবু জাহেলের নিকট গিয়ে বললেন, আমার ভাতিজা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি গইব সংবাদ দিয়েছেন যে, “তোমাদের চুক্তিনামার সব শর্তাবলী উই পোকায় খেয়ে ফেলেছে। কেবলমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকটুকুই অক্ষত রয়েছে। যদি আমার ভাতিজা উনার কথা সত্য না হয়, তাহলে আমি নিজে উনাকে তোমাদের হাতে সোপর্দ করে দেবো। আর যদি উনার কথা সত্য হয়, তবে উনাকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি?”
একথা শুনে আবু জাহেল আনন্দে লাফিয়ে উঠলো; এই তো সুযোগ। কাফিরদের সব সর্দারকে ডেকে এনে আবু জাহেল বাক্স খুলে ফেললো। দেখলো- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। সুবহানাল্লাহ! তখনই তাদের পরস্পরের মধ্যে মতানৈক্য শুরু হয়ে গেল। ফলে সম্মানিত নুবুওওয়াত আনুষ্ঠানিক প্রকাশের সপ্তম বৎসর থেকে তিন বৎসর পর দশম বৎসরে সামাজিক বয়কট প্রত্যাহার করতে কুরাইশ কাফিররা বাধ্য হলো।
সম্মানিত নুবুওওয়াত আনুষ্ঠানিক প্রকাশের দশম বৎসরে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিয়ারে আবু তালেব থেকে বের হয়ে আসলেন। চতুর্দিকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মু’জিযা ও পবিত্র ইলমে গাইব উনার কথা বিদ্যুৎ বেগে ছড়িয়ে পড়লো। ফলে দলে দলে লোকেরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করতে লাগলো। পবিত্র ইলমে গাইব উনার মাধ্যমে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সত্যতা প্রমাণিত হলো।
স্মর্তব্য যে, কুরাইশ কাফিররা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ইলমে গাইব স্বীকার করেছে। অথচ একদল নামধারী মুসলমান তা স্বীকার করে না। এরা মূলত কাফিরের চেয়েও নিকৃষ্ট। অর্থাৎ বালহুম আদ্বল।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন