ক্বলব লতীফার মধ্যে সাতটি স্তর রয়েছে। তা হলো- ছুদুর, নশর, শামস, নূরী, র্কুব, মাকীন, নফসী। কেউ যখন ক্বলব লতীফার যিকির শুরু করে, তখন ক্বলবের উপরের স্তর ‘ছুদুর’-এ
র মধ্যে যিকির জারি হয়। তারপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্তরে যিকির জারি হয়।
প্রথমে যখন পশমের গোড়ায় যিকির জারি হয়। তখন সালিক বা মুরীদের মধ্যে একটি গরমীভাব বা বেপরোয়াভাব পয়দা হতে পারে, আত্মতৃপ্তি অনুভব হতে পারে। তাকে কখনই যথেষ্ট মনে করা যাবে না। কারণ নৈকট্যের শেষ নেই। পরিশুদ্ধিতার সীমা নেই। বরং আরও বেশি নৈকট্য, তায়াল্লুক, নিছবত সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় চেষ্টা কোশেশ সবসময়ই অব্যাহত বা জারি রাখতে হবে। মনে করতে হবে এবং কাজে-কর্মে পরিচয় দিতে হবে যে, এটা কোন বিষয়ই না। অন্যথায় মাহরূম বা বঞ্চিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ স্থানে কত শত ছুফী যে মাহরূম হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। শয়তান এ স্থানেও ষড়যন্ত্রের শক্ত ও কঠিন জাল বিস্তার করে রাখে।
নানাভাবে ধোঁকা দেয়ার পাঁয়তারা করে। আফযালুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, গাউছে সামদানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “এ পথের পথিকগণ যেন মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দীদার পেয়েও ক্ষ্যান্ত হননা। বরং আরও গভীর থেকে গভীরতম নৈকট্য, দীদার সন্তুষ্টি পাওয়ার প্রত্যাশায় সদা ব্যাকুল থাকেন।” তিনি আরও বলেন, “কাঙ্খিত বস্তুকে আরও উপরে আরও উপরে তালাশ করতে হবে।” তিনি এটাও বলেছেন যে, “যে তৃপ্ত সে বঞ্চিত। যে অতৃপ্ত সেই প্রাপ্ত।” (মাকতুবাত শরীফ)___
র মধ্যে যিকির জারি হয়। তারপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম স্তরে যিকির জারি হয়।
প্রথমে যখন পশমের গোড়ায় যিকির জারি হয়। তখন সালিক বা মুরীদের মধ্যে একটি গরমীভাব বা বেপরোয়াভাব পয়দা হতে পারে, আত্মতৃপ্তি অনুভব হতে পারে। তাকে কখনই যথেষ্ট মনে করা যাবে না। কারণ নৈকট্যের শেষ নেই। পরিশুদ্ধিতার সীমা নেই। বরং আরও বেশি নৈকট্য, তায়াল্লুক, নিছবত সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় চেষ্টা কোশেশ সবসময়ই অব্যাহত বা জারি রাখতে হবে। মনে করতে হবে এবং কাজে-কর্মে পরিচয় দিতে হবে যে, এটা কোন বিষয়ই না। অন্যথায় মাহরূম বা বঞ্চিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এ স্থানে কত শত ছুফী যে মাহরূম হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। শয়তান এ স্থানেও ষড়যন্ত্রের শক্ত ও কঠিন জাল বিস্তার করে রাখে।
নানাভাবে ধোঁকা দেয়ার পাঁয়তারা করে। আফযালুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, গাউছে সামদানী, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “এ পথের পথিকগণ যেন মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দীদার পেয়েও ক্ষ্যান্ত হননা। বরং আরও গভীর থেকে গভীরতম নৈকট্য, দীদার সন্তুষ্টি পাওয়ার প্রত্যাশায় সদা ব্যাকুল থাকেন।” তিনি আরও বলেন, “কাঙ্খিত বস্তুকে আরও উপরে আরও উপরে তালাশ করতে হবে।” তিনি এটাও বলেছেন যে, “যে তৃপ্ত সে বঞ্চিত। যে অতৃপ্ত সেই প্রাপ্ত।” (মাকতুবাত শরীফ)___
উনার একজন মুরীদ একদিন বললেন, হে আমার শায়েখ! আমি এ অবস্থায় পৌঁছেছি যে, আমি সারাক্ষণ আল্লাহ পাক উনাকে মিছালী ছূরত মুবারক-এ সবসময়ই দেখে থাকি। আমার দায়িমী হুযূরী হাছিল হয়েছে। আমার ছোহবত ইখতিয়ারের আরও প্রয়োজন আছে কি?
তার প্রত্যুত্তরে আফযালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, গাউসে সামদানী, মাহবূবে সুবহানী, সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে প্রিয় বৎস! তুমি তোমার বাতিনী যে হালতের (অবস্থা) বর্ণনা দিচ্ছ তাতে মনে হচ্ছে, তোমার ক্বলব লতীফার এক তৃতীয়াংশ হাছিল হয়েছে। ক্বলব লতীফার আরও দুই তৃতীয়াংশ বাকী রয়েছে। অন্যান্য নয়টি লতীফা তো রয়েছেই। কাজেই সেগুলো জারির করার ক্ষেত্রে তুমি কি করবে? তোমার আরও কতদিন ছোহবতে থাকা আবশ্যক তা তুমি ফিকির কর।
ক্বলব লতীফা জারি তথা তওবা-এর মাক্বাম হাছিল হলে গুনাহর প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না। বরং তা বিকর্ষণে পরিণত হয়। গুনাহর প্রতি ঘৃণা পয়দা হয়। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অপ্রিয় বা অপছন্দনীয় বিষয় বা বস্তুগুলো উক্ত সালিক বা মুরীদের নিকট অপ্রিয় বা অপছন্দনীয় বোধ হয়।


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন