728x90 AdSpace

  • Latest News

    "সম্মানিত ক্বদম মুবারক বুছা (চুম্বন) দেয়া খাছ সুন্নত মুবারক"

    সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
    عن وازع بن زارع رضي الله عنه عن جدها وكان في وفد عبد القيس قال لما قذمنا المدينة فجعلنا نتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسوالله صلي الله عليه و سلم و رجله
    অর্থ : "হযরত ওয়াযি' ইবনে যারি' রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, আর তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন , আমরা যখন সম্মানিত মদীনা শরীফে আসতাম, তখন আমরা আমাদের সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ি অবতরন করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হাত মুবারক এবং সম্মানিত পা মুবারক-এ বুছা মুবারক (চুম্বন) দিতাম।"
    * দলীল-আদিল্লাহ: আবু দাউদ শরীফ-কিতাবুস সালাম-২য় খন্ড-৭০৯পৃষ্ঠা- হাদীস ৫২২৫ !
    √ মিশকাত শরীফ- কিতাবুল আদব- মুছাফাহ ও মুয়ানাকা অধ্যায়- হাদীস নম্বর ৪৬৮৮।
    √ ফতহুল বারী ১১ খন্ড- ৫৭ পৃষ্ঠা !
    √ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ৮০ পৃষ্ঠা।
    √ মুছান্নাফে আবী শায়বা ।
    √ বায়হাকী শরীফ।
    √ কানযুল উম্মাল শরীফ।
    √ তাফসীরে তাবারী।
    √ বজলুল মাজহুদ ৬ ষ্ঠ খন্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।
    √ মায়ালিমুস সুনান।
    √ আইনুল মা'বুদ লি হল্লি মুশকালাতি সুনানী আবু দাউদ।
    √ আশয়াতুল লুময়াত
    √ এলাউস সুনান ১৭ তম খন্ড ৪২৬ পৃষ্ঠা।

    সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরোও ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, "হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাত মুবারক-এ বুছা দিয়েছেন। তিনি এটাও বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাত মুবারক ও পা মুবারক-এ বুছা দিয়েছেন।"
    (ফাতহুল বারী-জিঃ১১ পৃঃ৫৭, তোহফাতুল আহওয়াবী শরহে তিরমিযী-জিঃ৭ পৃঃ ৫২৮).
    সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরোও ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, "নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "যে ব্যক্তি তার মায়ের ক্বদমে বুছা দিল, সে ব্যক্তি মূলতঃ সম্মানিত জান্নাত উনার চৌকাঠের উপর বুছা দিল। " সূবহানাল্লাহ! (মাবছুত লিস সারাখসী জিঃ১০ পৃঃ১৪৯).
    "আল কিরামাতু ওয়াত তাক্ববীল" এ উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুলাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম বুখারী রহমতুলাহি আলাইহি সম্পর্কিত ঘটনা। অর্থাৎ হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুলাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম বুখারী রহমতুলাহি আলাইহি উনার কপাল মুবারক-এ বুছা মুবারক দিয়েছেন এবং কদমবুছী করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এছাড়া আরও অনেক কিতাবে ইমাম ও মুজতাহিদগন ক্বদমবুছীকে জায়েয বলেছেন।
    আশ্চর্যের বিষয় হলো, আর যারা ক্বদমবুছী করা হারাম-শিরিক বলে, তাদের মুরুব্বীদের কিতাবেও উল্লেখ আছে, "ক্বদমবুছী জয়েয ও সুন্নত”।
    আশরাফ আলী থানবীর “ইমদাদুল ফতওয়া” জিঃ৫ পৃঃ৩৪৫ ও “মাওয়ায়েজে আশ্রাফিয়া” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “সুতরং ছহীহ মত হলো, মূল ক্বদমবুছী জয়েয”।
    আশরাফ আলী থানবীর “ইমদাদুল আহকাম” জিঃ১ পৃঃ১৩৫ এ উল্লেখ আছে, “আলিম, পিতা-মাতার দস্তবুছী এবং ক্বদমবুছী করা জয়েয”।
    রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর “ফতওয়ায়ে রশীদিয়া কমেল” পৃঃ ৪৫৯ উল্লেখ আছে, “দ্বীনদার আলিমদের সন্মানার্থে দাঁড়ানো জয়েয এবং তাঁদের ক্বদমবুছী করাও জায়েয। এটা হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত”।
    মুফতী শফী দেওবন্দীর “জাওয়াহিরুল ফিক্বহ” জিঃ১ পৃঃ২০২ এ উল্লেখ আছে, “নিঃসন্দেহে দস্তবুছী, ক্বদমবুছী, মুয়ানাকা, মুছাফাহা সবই জায়েয বরং সুন্নত ও মুস্তাহাবের অর্ন্তভূক্ত”।
    মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী “ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়া” জিঃ১ পৃঃ ১৭৫ এ উল্লেখ আছে, “(শরীয়তের দৃষ্টিতে) যিনি সন্মানের অধিকারী, তাঁর ক্বদমবুছী করার অনুমতি রয়েছে”।
    যারা বলে "ক্বদমবুছী" করা হারাম ও শিরিক, নিঃসন্দেহে তারা সম্মানিত হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী এবং বাতিল ৭২ ফিরকার অর্ন্তভূক্ত। কোনো সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক সম্পর্কে বলতে হলে আগে দেখতে হবে , উনার বিপরীতে কোনো সম্মানিত হাদীছ শরীফ আছে কি না। কারন "ফিকাহ উনার উসুল" হচ্ছে কোন আমল করার জন্য একটিমাত্র জয়ীফ সম্মানিত হদীছ শরীফ ই যথেষ্ট। এখন কাকে ক্বদমবুছী করা হয়?? ক্বদমবুছী করা হয় পিতা-মাতা, পরিবারের বয়স্ক-বুযুর্গ ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক বা ওস্তাদগণ, দ্বীনি বুযুর্গ বা হক্বানী আলীম, ওলীআল্লাহ এবং স্বীয় পীর বা শায়েখ বা মুর্শিদ উনাদেরকে। কোন আম মুসলমান উনাদেরকে নয়।
    যারা 'খাছ সুন্নত ক্বদমবুছী' উনার বিরোধিতা করে, তারা "তিরমিযী শরীফ" উনার একটি সম্মানিত হাদীছ শরীফ বলে যে, তিরমিযী শরীফের ২য় জিঃ ৯৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক জনৈক ব্যক্তি এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের কারো সাথে যদি তার ভাই বা বন্ধুর সাক্ষাৎ হয়, তবে কি তার সন্মানার্থে আমরা মাথা নত করবো? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন ‘না’। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, তবে কি মুয়ানাক্বা এবং বুছা দিবো? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন ‘না’। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, তবে কি মুছাফাহা করবো? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক ‘হ্যাঁ’।
    এখানে এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ দ্বারা শুধুমাত্র সাধারন মুসলমানদের ক্ষেত্রে কিরূপ করতে হবে শুধু তা বলা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে যে, কোন মুসলমানে সাথে আর একজন মুসলমানের সাথে দেখা হলে তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে কি না। বরং এই পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা এইটা প্রমাণিত হয় না যে, পিতা-মাতা, পরিবারের বয়স্ক-বুযুর্গ ব্যক্তি, ওস্তাদ , দ্বীনি বুযুর্গ বা হক্বানী আলীম উনাদেরকে ক্বদমবুছী করা যাবেনা। কিন্তু এর বিপরীত অসংখ্য সম্মানিত হাদীছ শরীফ ও বিভিন্ন র্নিভরযোগ্য ফতওয়ার কিতাবে দ্বারা এটা প্রমানিত যে পিতা-মাতা উনাদেরকে, পরিবারের বয়স্ক-বুযুর্গ ব্যক্তি, ওস্তাদ, দ্বীনি বুযুর্গ বা হক্বানী আলীম উনাদেরকে ক্বদমবুছী করা শুধু জায়েযই নয় বরং সুন্নত।
    যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ক্বদমবুছী করার অনুমতি দিয়েছেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এর আমল করেছেন।
    উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে "জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ" জিঃ২ পৃঃ ১৮৫, "আল কিরামাতু ওয়াত তাক্ববীল" কিতাবে উল্লেখ আছে, দস্তবুছী, ক্বদমবুছী শুধুমাত্র তাদের জন্যই জায়েজ যারা আলীম, পরহিযগার, ন্যয়পরায়ণ খলীফা অথবা শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সন্মানিত ব্যক্তিত্ব। উনারা ব্যতীত অন্য কারো ক্বদমবুছী করা যায়িয নাই বরং নিষেধ।
    এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় শায়েখ মুহম্মদ আবেদ সিন্ধী রহমতুলাহি আলাইহি তিনি বলেন, উল্লেখিত সম্মানিত হাদীছ শরীফ তাদের জন্যই প্রযোজ্য যাদের উপরোল্লিখিত গুনাবলী না থাকবে অর্থাৎ আলেম ইনসাফগার বাদশা, দ্বীনদার বুযুর্গ ব্যক্তি না হন, তাহলে তার সাথে মুয়ানাক্বা, দস্তবুছী, ক্বদমবুছী করা যাবে না। শুধুমাত্র মুছাফাহ'ই যথেষ্ঠ এর প্রমাণ সম্মানিত হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখিত প্রশ্নই, কেননা প্রশ্নকারী একথা বলেন নি যে, কোন বড় আলীম, বুযুর্গ লোকের সাথে সাক্ষাত হলে কি করব? বরং সাধারণ লোক অর্থাৎ কোন ভাই, বন্ধু ইত্যাদির কথাই বলেছেন, যার উত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ ব্যক্তির সাথে মোয়ানাক্বা অথবা দস্তবুছী, ক্বদমবুছী করতে নিষেধ করেছেন।
    আবার অনেকে বলে থাকে যে, "ক্বদমবুছী" করার সময় মাথা ঝুকে যায়, তাই জায়েয নাই অথবা মাথা না ঝুকিয়ে ক্বদমবুছী করা জয়েয। কারণ হিসেবে তারা বলে যে, মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি শুধুমাত্র উনার সামনেই মাথা ঝুঁকাতে বলেছেন। এর প্রেক্ষিতে তারা বলে যে, মাথা ঝুকালে বা মাথা কাত হলে বা মাথ কোনভাবে নত হলে অর্থাৎ মাথা নিম্নমুখী থাকলেই তা শিরিক হবে। নাউযুবিল্লাহ!
    তাদের এই কথা শুনলে মনে হয়, কোন মূর্খ্য ব্যক্তি ইলিমের কথা বলছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি শুধুমাত্র উনার সামনেই মাথা ঝুঁকাতে বলেছেন। এইখানে মাথা ঝুকানোর অর্থ হচ্ছে, অন্য কাউকে খোদা হিসেবে মানা, অন্য করো ইবাদত করা বা পূজা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করতে, অন্য কাউকে খোদা হিসেবে মানতে নিষেধ করেছেন, কারন তিনিই সকল সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা। মহান আল্লাহ পাক উনার কোন শরীক নেই, তিনি একক এবং অদ্বিতীয়। আবার অনেকে বলে থাকে মাথা ঝুঁকালেই সিজদাহ হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! কারণ, অনেক সময় অনেক কাজ করতে গেলে আমাদের মাথা ঝুকাতে হয়, তাহলে কি সেই কাজ করতে গিয়ে আমরা শিরিক করে ফেললাম।
    উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, অনেক সময় আমাদের কলম, কগজ, খাতা, পেন্সিল মাটিতে পরে যায় তখন আমাদেরকে মাটিতে ঝুকে তা তুলতে হয়। তাহলে কি সেটি আমাদের সিজদাহ হয়ে গেল। আবার অনেকে বলে সেটাতো কাজ করছিলাম তাই!! তো কাজ করার সময় শিরিক করলে কি তা মাফ হয়ে যায় নাকি?? আবার অনেকে বলে সেটাতো মাটি!! হিন্দুরা তাহলে কিসের পূজা করে ভাই??
    এই ধরনের কিছু গন্ডমূর্খ, জাহিলদের জন্য কিছুদিন আগে কথা উঠেছিল যে, মুসলমানরা দাবি করে তারা এক ও অদ্বিতীয় মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনাকে বিশ্বাস করে আবার সিজদাহ করে কা'বা শরীফ উনাকে। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! এই ধরনের কিছু গন্ডমূর্খ, জাহিলদের চিন্তা-চেতনা দ্বারাই এইসব সম্ভব। আরে মূর্খের দল! আমরা দাড়াই ক্বিলামুখী হয়ে কিন্তু মনেমনে নিয়ত কি করি??
    সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    “নিশ্চয়ই আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল”( বুখারী শরীফ)
    এই কারনে আমরা নামজ পড়ি ক্বিবলামুখী হয়ে কিন্তু নিয়ত করি মহান আল্লাহ পাক উনাকে সিজদাহ করতেছি। যার কারনে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সিজদাহের আয়াত শরীফ শুনলে নিয়ত না করে হাজারও সিজদাহ আদায় করলে ওয়াজিব সিজদাহ আদায় হবে না। আবার এই নিয়তের কারনে আমাদের নামাজের সামনে দিয়ে কেউ হেটে গেলে যে হেটে যায় তার কঠিন কবিরা গুনাহ হয় কিন্তু যার সামনে দিয়ে হেটে যায় তার কোন গুনাহ হয় না। আবার নিয়তের কারনে আমরা জামায়াতে নামাজ আদায় করলেও সামনের কাতারের মুসল্লিকে সিজদাহ করা হয়না বরং জামায়াতের সাথে মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনাকে সিজদাহ করার কারনে ফযিলত আরও বৃদ্ধি পায়। এখন গন্ডমূর্খদের কথা অনুযায়ী যদি মাথা ঝুকালেই শিরিক হয়, তবেতো নামাজেতো আমরা সব সময় শিরিক করি। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! মূর্খব্যক্তির কথার কোন মুল্যই নাই, কারন সে না কিছু বুঝে না বুঝতে চায়। কিন্তু মূর্খদের কাজকর্মের মধ্যে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য ইবরত, নছিহত, শিক্ষা। অনেক কথাই হল।
    মূল কথা হচ্ছে, সম্মানিত ঈমানদার উনাদের জন্য একটি দলিলই যথেষ্ঠ। আর, "সামাঝদার কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হে"। বাংলায়, "জ্ঞানি যে জন বুঝে সে জন শুধু ইশারায়"। এরপরও যারা বিরোধীতা করার তারা করবে, আর যারা মানার তারা মানবে।
    কারন মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا.
    অর্থ: "যে ব্যক্তি সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এবং সম্মানিত মু'মিনীন অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রচলিত পথ বাদ দিয়ে অন্য পথের অনুসরণ করে, আমি তাদেরকে সে দিকেই ফিরাবো যেদিকে তারা ফিরেছে এবং তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাবো, সেটা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।” (সম্মানিত সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ১১৫)
    মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
    كَيْفَ يَهْدِي اللّهُ قَوْمًا كَفَرُواْ بَعْدَ إِيمَانِهِمْ وَشَهِدُواْ أَنَّ الرَّسُولَ حَقٌّ وَجَاءهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ.
    অর্থ: "মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন জাতিকে কিভাবে হিদায়েত দান করবেন, যারা পবিত্র ঈমান আনার পর এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য রসূল বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট সুস্পষ্ট দলীল আসার পরেও কুফরীতে নিমজ্জিত হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি সীমালঙ্ঘণকারী তথা জালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন না। (সম্মানিত সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৮৬)
    মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا.
    অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে হিদায়েত দেন অর্থাৎ যে হিদায়েত চায়, সে হিদায়েত পায়। আর যে গোমরাহীতে দৃঢ় থাকে, সে ওলীয়ে-মুর্শিদ পায় না”। (সম্মানিত সূরা কাহফ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ-১৭)
    খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সূবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি আমাদের পবিত্র ঈমান, আক্বীদা ও আমল হিফাযত করুন। আল্লাহুম্মা আমীন
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: "সম্মানিত ক্বদম মুবারক বুছা (চুম্বন) দেয়া খাছ সুন্নত মুবারক" Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top