728x90 AdSpace

  • Latest News

    কুল-কায়িনাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বত্র হাযির ও নাযির।

    এ প্রসঙ্গে আহকামুল হাকীমীন, খালিক, মালিক, রর মহান আল্লাহ পাক তিনি অল্প কথায় ব্যপক বুঝিয়েছেন। তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
    اِنَّـاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشّـِرًا وَّنَذِيْرًا. لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَـزِّرُوْهُ وَتُوَقّـِرُوْهُ وَتُسَبّـِحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا.
    অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আমার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শাহিদ তথা (উপস্থিত, হাজির, নাযির) সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে সৃষ্টি করেছি, প্রেরণ করেছি। যেন তোমরা ঈমান আনতে পারো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি। অতএব, তোমরা যথাযথভাবে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দাও, উনার সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং সকাল-সন্ধ্যা তথা দায়িমীভাবে অনন্তকাল যাবৎ উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ফাতহ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৮-৯)
    এইখানে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শাহীদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা হিসেবে প্রেরন করেছেন। এখন যিনি সাক্ষী দিবেন, তিনি যদি হাজির বা উপস্থিত না থাকেন, যদি নাজির বা না দেখেন তবে সাক্ষী দিবেন কি করে। কারন সাক্ষী দেয়ার জন্য উপস্থিত থাকা ও সরাসরি দেখা শর্ত। এই বিষয়টিই আহকামুল হাকিমীন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে এককথায় শাহীদ বা সাক্ষ্যদাতা তথা হাজির-নাযির শান মুবারক বুঝিয়েছেন।

    "বুখারী শরীফ" ও "মুসলিম শরীফ" উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
    -انـما انا قاسم والله يعطى
    অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া করেন আর নিশ্চয়ই আমি হলাম (উক্ত হাদিয়া) বণ্টনকারী।”অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বপ্রকার নিয়ামত উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। আর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুল-মাখলূক্বাতের যাকে যতটুকু ইচ্ছা তাকে ততটুকু নিয়ামত বণ্টন করে দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এখন যিনি কুল-মাখলূক্বাতের জন্য নিয়ামত বণ্টনকারী; তিনি যদি কুল-মাখলূক্বাতের কাছে হাযির বা উপস্থিত না থাকেন এবং তাদেরকে নাযির বা দেখে না থাকেন তাহলে তিনি তাদের মাঝে কিভাবে নিয়ামত বণ্টন করবেন? কাজেই, কায়িনাতের সমস্ত সৃষ্টির জন্য তিনি যেহেতু নিয়ামত বণ্টনকারী সেহেতু বলার অপেক্ষা রাখে না তিনি সবখানেই হাযির ও নাযির। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির বা উপস্থিত ও সবকিছু নাযির বা প্রত্যক্ষকারী।
    এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম তবারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত নঈম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের থেকে একখানা হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    -ان الله قد رفع لى الدنيا فانا انظر اليها والى ما هو كائن فيها الى يوم القيامة كانـما انظر الى كفى هذه.
    অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পৃথিবীকে আমার চোখের সামনে এরূপভাবে রেখেছেন যে, আমি এ সমগ্র পৃথিবীকে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার মধ্যে যা কিছু সৃজিত বা সংঘটিত হবে তদসমূহকে ওইরূপভাবে দেখি যেরূপ আমার হাত মুবারক উনার তালু মুবারক দেখে থাকি। সুবহানাল্লাহ! (তবারানী, মিশকাত শরীফ)
    উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম ও ছূরত এ দুটির কোনো একটি হিসেবে হাযির ও নাযির নন। বরং তিনি ছিফত-অর্থাৎ ইলিম ও কুদরত মুবারক উনার দ্বারা এবং ছিফত মিছালী ছূরত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির।আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত-ইলিম ও মু’জিযা দ্বারা এবং ছিফত- নূর ও রহমত হিসেবে কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির। আর উনার যেহেতু জিসিম ও ছূরত মুবারক রয়েছে সেহেতু তিনি যে জিসিম মুবারক-এ রওযা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করছেন উনার ইখতিয়ার ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেই জিসিম মুবারক নিয়ে কোথাও হাযির হবেন না। আহলে সুন্নত ওয়াল জামা‘আত উনাদের মুজতাহিদ ইমামগণ উনারা এ বিষয়ে একমত যে, তিনি ওই জিসিম মুবারক নিয়ে রওযা শরীফ থেকে উঠলে ক্বিয়ামত হয়ে যাবে। তাই তিনি উক্ত জিসিম মুবারক উনার অনুরূপ জিসিম মুবারক ও ছূরত মুবারক ধারণ করে এবং মিছালী ছূরত মুবারক নিয়ে কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির থাকেন, যে কারণে উনার আশিকগণ উনাকে স্বপ্নে, মুরাক্বাবা-মুশাহাদার হালতে এমনকি জাগ্রত অবস্থার মধ্যেও দেখে থাকেন এবং কথোপকথনও করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    وما ارسلنك الا رحمة للعلمين.
    অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমস্ত আলমের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
    উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন, رب العلمين (রব্বুল আ’লামীন) সমস্ত আল্লমের রব। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন رحمة للعلمين (রহমাতুল্লিল আ’লামীন) সমস্ত আলমের জন্য রহমত। অর্থাৎ রব্বুল আলামীনের রুবুবিয়্যত যত কিছুর জন্য প্রযোজ্য رحمة للعلمين উনার রহমত তত কিছুর জন্যই প্রযোজ্য। মহান আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়তের বাইরে যেমন কোন কিছু নেই তেমিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার رحمة থেকে খালি কোন কিছুই নেই।
    এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    ورحمتى وسعت كل شىء
    অর্থ: “আর আমার রহমত সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে।” (সূরা আ’রাফ শরীফ - পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৬) অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি প্রদত্ত ক্ষমতায় রহমত হিসেবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাহাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টি জগতের সবকিছুতে বিরাজমান। মহান আল্লাহ পাক উনারর সৃষ্টি জীবের মধ্যে এমন কোন বিষয় নেই, এমন কোন স্থান নেই, এমন কোন বস্তু নেই যেখানে রহমত নেই। মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে বায়ুশূন্য স্থানের যেমন কোন অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না অনুরূপ রহমতশুন্য স্থানের অস্তিত্বও পাওয়া যাবে না। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমগ্র কয়িনাতকে বেষ্টন করে আছেন অর্থাৎ তিনি সমস্ত কায়িনাতে হাযির ও নাযির। সুবহানাল্লাহ!
    পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “আমি যা কিছু দেখি, আপনারোও কি তা দেখেন?” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন, 'জ্বী না।' তখন নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি পরবর্তীতে সংঘটিত ফিৎনাসমূহ বৃষ্টির ফোটার ন্যায় পড়তে দেখছি।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
    অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যর অবস্থান করেও দূর-দূরান্তে যা কিছু ঘটতো বা ঘটবে তাও দেখতে পেতেন।
    উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু সমস্ত সৃষ্টির মূল ও প্রথমে নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেন সেহেতু তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে দুনিয়াতে বাহ্যিকভাবে বরকতময় তাশরীফ মুবারক আনায়ন এবং বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ পর্যন্ত সমস্ত দুনিয়ায় সংঘটিত সমস্ত কিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন ও দেখেছেন।
    নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার প্রতি জুমুয়ার দিনে আপনারা বেশি বেশি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করুরন। নিশ্চয়ই এটা সাক্ষ্য হবে এবং হযরত ফেরেশ্‌তাগণ আলাইহিমুস সালামগন উনারাও সাক্ষী হবেন। অবশ্যই যে কেউ আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পড়ে সে তা থেকে বিরত হতে না হতেই তা আমার কাছে পৌঁছানো হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, (ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরেও কি? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উত্তরে তিনি বলেন, আমর বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরেও। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি যমীনের জন্য হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের শরীর মুবারক ভক্ষণ করাকে হারাম করেছেন। সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণ জীবিত, উনারা খাদ্যও খেয়ে থাকেন।” (বুখারী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, আয্‌যাওয়ায়েদ শরীফ)
    নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, " আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরে প্রতি সোমবার শরীফ ও প্রতি জুমুয়াহবার আমার প্রতি বেশি বেশি করে দুরূদ শরীফ পাঠ করুন। কেননা, আমি আপনাদের ছলাত মুবারক ও সালাম মুবারক বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” সুবহানাল্লাহ! (জিলাউল ইফহাম, আনিসুল জালীস)
    অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় ছলাত-সালাম মুবারক পাঠ করলে তা অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শ্রবণ করেন।
    উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত আল্লামা শাইখ মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘পবিত্র নামাযে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা যেন এ কথাই প্রকাশ পায় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন যেন তিনি তাদের মধ্যে হাযির তথা উপস্থিত থেকেই সবকিছু দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ সম্বোধনের আরো একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির শান মুবারক অনুধাবন অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও নম্রতার ভাব সৃষ্টি করে।’ সুবহানাল্লাহ
    আল্লামা হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “উম্মতের বিবিধ কর্মকাণ্ডের প্রতি দৃষ্টি রাখা, তাদের পাপরাশির ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করা, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত আনাগোনা করা ও বরকত দান করা এবং নিজ উম্মতের কোন নেক বান্দার ওফাত হলে উনার জানাযাতে অংশগ্রহণ করা- এগুলোই হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সখের কাজ। কোন কোন পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে এসব কথার সমর্থন পাওয়া যায়।”
    উপোরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা-ক্বিয়াস শরীফ দ্বারা স্পষ্ট হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির। ইহাই সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদা এবং এর বিপরীত আক্বীদা পোষণ করা বাতিল ৭২ ফিরকার অন্তর্ভূক্ত
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: কুল-কায়িনাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বত্র হাযির ও নাযির। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top