খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই বরকতময় মক্কা শরীফ-এ মানুষের জন্য প্রথম ঘর স্থাপন করা হয়েছে।’
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মদীনা শরীফ উনার নাম মুবারক রেখেছেন ত্ব-বাহ অর্থাৎ পবিত্র।’
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মদীনা শরীফ উনার নাম মুবারক রেখেছেন ত্ব-বাহ অর্থাৎ পবিত্র।’
মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা হাজী ছাহেবসহ সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদের ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করা মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদেরকে ইহানত করারই নামান্তর। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মক্কা শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই বরকতময় মক্কা শরীফ-এ মানুষের জন্য প্রথম ঘর স্থাপন করা হয়েছে।”
, মক্কা শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতি দিন ও রাতে বাইতুল্লাহ শরীফ উনার উপর একশত বিশটি রহমত নাযিল করে থাকেন। তন্মধ্যে ষাটটি তাওয়াফকারীদের জন্য, চল্লিশটি নামায আদায়কারীদের জন্য আর বিশটি যিয়ারতকারীদের জন্য। সুবহানাল্লাহ!
, মদীনা শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মদীনা শরীফ হারাম (সম্মানিত) আইর থেকে ছাওর পর্যন্ত। এর মধ্যে যে ব্যক্তি শরীয়ত বিরোধী কাজ করবে এবং শরীয়ত বিরোধী কাজকে প্রশ্রয় দিবে, তার উপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর তার কোন নফল ও ফরয ইবাদত কবুল হবে না।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত-২৬০৮)
ইজমা হয়েছে তথা হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ঐক্যমত পোষণ করেছেন, যে মাটি মুবারক খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মুবারক তথা জিসিম মুবারক স্পর্শ করেছে তার মর্যাদা-মর্তবা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার আরশে মুয়াল্লা এমনকি কা’বা শরীফ উনার হতে লক্ষ কোটি গুণ বেশী। সুবহানাল্লাহ!
, মদীনা শরীফ উনাকে সম্মান করা জুযয়ে ঈমান। এজন্য মদীনা শরীফ উনার সংশ্লিষ্ট সমস্ত কিছুকেই অত্যন্ত মুহব্বত করতে হবে। অবমাননা করা যাবে না। কেননা অবমাননা করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কুফরী গুনাহে গুনাহগার হওয়া ও ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। সেটাই হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ফতওয়া দিয়েছেন যে, “যে ব্যক্তি মদীনা শরীফ উনার মাটি মুবারক নাপাক বলবে তাকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে এবং খালিছ তওবা-ইস্তিগফার না করা পর্যন্ত তাকে বন্দি করে রাখতে হবে।”
, মদীনা শরীফ উনার সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ের সাথে এমন কোন আচরণ করা যাবেনা যা আদবের খিলাফ। কারণ মদীনা শরীফ উনার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক বিষয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এর সম্মান-মর্যাদা ও আদব অনুরূপই।
, যেহেতু সমস্ত কাফিররা মুসলমানগণ-এর ঈমান আমলের ক্ষতি সাধনে একদল তাই তারা সম্মিলিত চক্রান্ত বা কৌশলের মাধ্যমে মুসলমানগণ-এর পবিত্র ও সম্মানিত স্থান- পবিত্র কা’বা শরীফ ও রওজা শরীফ, মসজিদে নববী শরীফ, বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ ইত্যাদি সম্মানিত স্থানসমূহ উনাদের ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ সম্মানিত স্থানসমূহ উনাদেরকে মানুষের পায়ের নিচে এনে দিয়েছে। যার ফলে মুসলমানগণ সে সমস্ত সম্মানিত স্থানগুলো পদদলিত করবে এবং ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুসলমানের শ্রদ্ধা-ভক্তি, তা’যীম-তাকরীম উঠে যাবে এবং সাথে সাথে ঈমানটাও নষ্ট হয়ে বেঈমান ও কাফিরে পরিণত হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
, যেহেতু সমস্ত কাফিররা মুসলমানগণ-এর ঈমান আমলের ক্ষতি সাধনে একদল তাই তারা সম্মিলিত চক্রান্ত বা কৌশলের মাধ্যমে মুসলমানগণ-এর পবিত্র ও সম্মানিত স্থান- পবিত্র কা’বা শরীফ ও রওজা শরীফ, মসজিদে নববী শরীফ, বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ ইত্যাদি সম্মানিত স্থানসমূহ উনাদের ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ সম্মানিত স্থানসমূহ উনাদেরকে মানুষের পায়ের নিচে এনে দিয়েছে। যার ফলে মুসলমানগণ সে সমস্ত সম্মানিত স্থানগুলো পদদলিত করবে এবং ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে মুসলমানের শ্রদ্ধা-ভক্তি, তা’যীম-তাকরীম উঠে যাবে এবং সাথে সাথে ঈমানটাও নষ্ট হয়ে বেঈমান ও কাফিরে পরিণত হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
, ছবি তোলা হারাম। এরপরেও যদি কোন ব্যক্তি তার পিতার ছবি তোলে, সেই ছবি যদি তৃতীয় কোন ব্যক্তি পা দিয়ে মাড়ায় তাহলে যার পিতার ছবি মাড়ানো হয় সে ব্যক্তি কি সেটা সম্মানজনক হিসেবে মেনে নিবে? কখনই সেটা সম্মানজনক হিসেবে গ্রহণ করবে না। বরং যার পিতার ছবি, সে ওই ব্যক্তির উপর গোস্বা করবে, যে তার পিতার ছবিকে মাড়িয়েছে। কারণ তার পিতার ছবিকে পা দিয়ে মাড়ানোর কারণে তার পিতাকে অসম্মান করা হয়েছে। ইজ্জত, সম্মান করা হয়নি।
কারো পিতার ছবি যদি পা দিয়ে মাড়ানোর কারণে ইহানত বা অসম্মান হয় তাহলে পবিত্র কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনাদেরকে যা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার শিয়া’র, উনার ছবিকে পা দিয়ে মাড়ালে কী পবিত্র কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনাদের ইহানত বা অসম্মান হবে না? অবশ্যই হবে।
, মূলকথা হলো- মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদের ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করা মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ উনাদেরকে ইহানত করারই নামান্তর। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এর থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
-০-
, মূলকথা হলো- মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ উনাদের ছবি জায়নামাযে সংযুক্ত করা মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ উনাদেরকে ইহানত করারই নামান্তর। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এর থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
-০-

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন