মুসলিম বিজ্ঞানীদের থিওরীগুলো খ্রিস্টানরা চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়েছে, এ সম্পর্কিত ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গেলে প্রথমেই বাগদাদ কিংবা স্পেনের নাম আসে। বিশেষ করে স্পেনের পতনের আগে ইউরোপের ইতিহাসে কোনো খ্রিস্টান বিজ্ঞানীরই দেখা মেলে না। যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, স্পেনে মুসলমানদের পরিত্যক্ত লাইব্রেরীগুলোর বই নকল করেই খ্রিস্টানরা তখন বিজ্ঞানী সেজেছিল। তবে শুধু স্পেন কিংবা বাগদাদ নয়, বরং ভারতবর্ষ থেকেও খ্রিস্টানরা বহু বইপত্র চুরি করেছিল। কিন্তু এ সম্পর্কিত ইতিহাসগুলো মোটেই আলোচনা করা হয় না।
ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষ দখল করলো, তখন তারা এ অঞ্চলের মুসলমানদের লাইব্রেরীগুলো লুট করে তাতে সংরক্ষিত কিতাবাদি তাদের দেশে নিয়ে যায়। যেমন কর্নেল হ্যামিলটন একাই দেড় হাজার পান্ডলিপি ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিল বলে ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। মুসলমানদের নিকট থেকে খ্রিস্টানদের লুটকৃত বহু পান্ডুলিপি ও বইপুস্তক ইউরোপের বিভিন্ন মিউজিয়াম ও লাইব্রেরীগুলোতে পাচার হয়ে গিয়েছিল। অনেক পান্ডুলিপি আবার খ্রিস্টানদের মধ্যেই অনেকের হাতে হাতে ঘুরতো। এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা রয়েছে হযরত আবদুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কেন্দ্র করে।
হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসিত করেছিল যালিম ব্রিটিশরা। সেই দ্বীপের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ব্রিটিশ সৈন্যদের যুলুম-নির্যাতনে তিনি অত্যন্ত কষ্টের সাথে দিনযাপন করছিলেন। উনাকে আন্দামানের যেই জেল খানায় রাখা হয়েছিল, সেই জেল খানার প্রধানের নিকট ছিল ভারতীয় মুসলিম জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক একটি ফারসী পা-ুলিপি। ব্রিটিশ জেলপ্রধান বহু চেষ্টা করছিল সেই পা-ুলিপির পাঠোদ্ধার করার, কিন্তু সে তা করতে সক্ষম হচ্ছিল না। তাই সে উক্ত পা-ুলিপি তার জেল খানায় বন্দি যেসব মুসলিম আলিম ছিলেন, উনাদের একজনের নিকট প্রেরণ করলো। উক্ত মুসলমান আলিম সেই পা-ুলিপিটি দেন হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট।
হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন পড়াশোনার মানুষ, সারাক্ষণ বইপুস্তক নিয়েই থাকতে পছন্দ করতেন। উনার নিজেরও ছিল বংশ পরম্পরায় সংগৃহীত কিতাবাদির বিশাল সংগ্রহ, যা ইংরেজরা লুট করে নিয়েছিল। কিন্তু আন্দামানের বন্দিজীবনে উনার পড়ালেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি উক্ত কিতাবখানা পেয়ে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে সেটার ব্যাখা-বিশ্লেষণ লিখে দেন এবং সাথে টীকাটিপ্পনীও যোগ করে দেন।
সেই ব্যাখা-বিশ্লেষণ যখন ইংরেজ জেলারের নিকট পৌঁছলো, তখন সে তার লেখকের সাথে মিলিত হতে ব্যাকুল হয়ে উঠলো। ফলশ্রুতিতে একদিন সেই ইংরেজ জেলারের নিকট হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লহি আলাইহি উনাকে দেখিয়ে দেয়া হলো। তখন উনার পরনে ছিল কয়েদীর কাপড়, হাতে টুকরি ও কোদাল। তা দেখে ইংরেজ জেলার সাথে সাথে সেই কোদাল ও টুকরি উনার হাত থেকে সরিয়ে নিলো এবং উনার ভালো থাকা-খাওয়া ও পড়াশোনার বন্দোবস্ত করে দিলো। সাথে সাথে সে ইংরেজ সরকারের নিকট আরও আবেদন করলো উনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।
শেষপর্যন্ত হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আর স্বদেশে ফিরতে পারেননি, আন্দামানেই উনার ইন্তেকাল হয়েছিল। তিনি ইংরেজ জেলারের নিকট থাকা উক্ত জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পা-ুলিপির যেই ব্যাখা-বিশ্লেষণ লিখে দিয়েছিলেন, তা হয়তো বর্তমানের পাঠ্যপুস্তকসমূহে বহুল পরিচিত কোনো তথাকথিত খ্রিস্টান বিজ্ঞানী নিজের আবিষ্কার হিসেবে প্রচার করেছে। এরকম বহু আরবী-ফারসী পান্ডুলিপি ইংরেজরা ভারতবর্ষ থেকে লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে যে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষতি হয়েছিল ভারতবর্ষের মুসলমানদের, তা তারা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি
ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষ দখল করলো, তখন তারা এ অঞ্চলের মুসলমানদের লাইব্রেরীগুলো লুট করে তাতে সংরক্ষিত কিতাবাদি তাদের দেশে নিয়ে যায়। যেমন কর্নেল হ্যামিলটন একাই দেড় হাজার পান্ডলিপি ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিল বলে ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। মুসলমানদের নিকট থেকে খ্রিস্টানদের লুটকৃত বহু পান্ডুলিপি ও বইপুস্তক ইউরোপের বিভিন্ন মিউজিয়াম ও লাইব্রেরীগুলোতে পাচার হয়ে গিয়েছিল। অনেক পান্ডুলিপি আবার খ্রিস্টানদের মধ্যেই অনেকের হাতে হাতে ঘুরতো। এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা রয়েছে হযরত আবদুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কেন্দ্র করে।
হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসিত করেছিল যালিম ব্রিটিশরা। সেই দ্বীপের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ব্রিটিশ সৈন্যদের যুলুম-নির্যাতনে তিনি অত্যন্ত কষ্টের সাথে দিনযাপন করছিলেন। উনাকে আন্দামানের যেই জেল খানায় রাখা হয়েছিল, সেই জেল খানার প্রধানের নিকট ছিল ভারতীয় মুসলিম জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক একটি ফারসী পা-ুলিপি। ব্রিটিশ জেলপ্রধান বহু চেষ্টা করছিল সেই পা-ুলিপির পাঠোদ্ধার করার, কিন্তু সে তা করতে সক্ষম হচ্ছিল না। তাই সে উক্ত পা-ুলিপি তার জেল খানায় বন্দি যেসব মুসলিম আলিম ছিলেন, উনাদের একজনের নিকট প্রেরণ করলো। উক্ত মুসলমান আলিম সেই পা-ুলিপিটি দেন হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট।
হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন পড়াশোনার মানুষ, সারাক্ষণ বইপুস্তক নিয়েই থাকতে পছন্দ করতেন। উনার নিজেরও ছিল বংশ পরম্পরায় সংগৃহীত কিতাবাদির বিশাল সংগ্রহ, যা ইংরেজরা লুট করে নিয়েছিল। কিন্তু আন্দামানের বন্দিজীবনে উনার পড়ালেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি উক্ত কিতাবখানা পেয়ে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে সেটার ব্যাখা-বিশ্লেষণ লিখে দেন এবং সাথে টীকাটিপ্পনীও যোগ করে দেন।
সেই ব্যাখা-বিশ্লেষণ যখন ইংরেজ জেলারের নিকট পৌঁছলো, তখন সে তার লেখকের সাথে মিলিত হতে ব্যাকুল হয়ে উঠলো। ফলশ্রুতিতে একদিন সেই ইংরেজ জেলারের নিকট হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লহি আলাইহি উনাকে দেখিয়ে দেয়া হলো। তখন উনার পরনে ছিল কয়েদীর কাপড়, হাতে টুকরি ও কোদাল। তা দেখে ইংরেজ জেলার সাথে সাথে সেই কোদাল ও টুকরি উনার হাত থেকে সরিয়ে নিলো এবং উনার ভালো থাকা-খাওয়া ও পড়াশোনার বন্দোবস্ত করে দিলো। সাথে সাথে সে ইংরেজ সরকারের নিকট আরও আবেদন করলো উনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।
শেষপর্যন্ত হযরত ফযলে হক খায়রাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আর স্বদেশে ফিরতে পারেননি, আন্দামানেই উনার ইন্তেকাল হয়েছিল। তিনি ইংরেজ জেলারের নিকট থাকা উক্ত জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক পা-ুলিপির যেই ব্যাখা-বিশ্লেষণ লিখে দিয়েছিলেন, তা হয়তো বর্তমানের পাঠ্যপুস্তকসমূহে বহুল পরিচিত কোনো তথাকথিত খ্রিস্টান বিজ্ঞানী নিজের আবিষ্কার হিসেবে প্রচার করেছে। এরকম বহু আরবী-ফারসী পান্ডুলিপি ইংরেজরা ভারতবর্ষ থেকে লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। ফলশ্রুতিতে যে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষতি হয়েছিল ভারতবর্ষের মুসলমানদের, তা তারা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন