728x90 AdSpace

  • Latest News

    হযরত আউলিয়া কেরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদের মাজার শরিফ জিয়ারত করার ১১টি স্পষ্ট দলিল।

    আজকাল অনেকে গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল আর বাংলা বই আর হারাম টিভির কাটমোল্লাদের মনগড়া ব্যক্ষা আর নিজে মুফতি হয়ে অনেক কিছু কে কুফরি আর শিরিকের ফতওয়া দিয়ে মানুষকে ফায়েজ হাসিল থেকে বঞ্ছিত করছে আর মাজার শরিফ জিয়ারত উনাদের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় তাই নিচে ১১ টি স্পষ্ট দলিল দেওয়া হলো এই ব্যপারে


    প্রমাণ নং : হযরত বুরায়দা (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণিতনূরে মুজাসসাম রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এরশাদ মোবারক করেন, “ইতিপূবে আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলামএখন থেকে জিয়ারত করো (মুসলিম শরীফমেশকাত ১৫৪ পৃষ্ঠা)


    ব্যাখ্যাঃ হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শায়খ আব্দুল হক মোহাদ্দীসে দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি লিখেছেন যেঅজ্ঞতার যুগ সবেমাত্র পার হওয়ায় নূরে মুজাসসাম রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন এই আশংকায় যে মুসলমানরা পুরনো জীবনধারায় প্রত্যাবর্তন করবেন তবে মানুষেরা যখন ইসলামী ব্যবস্থার সাথে ভালভাবে পরিচিত হলেনতখন প্রিয় নবী নূরে মুজাসসাম রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর জিয়ারত উনার অনুমতি দিলেন (আশ্আতুল লোমআত১ম খন্ড৭১৭ পৃষ্ঠা)


    প্রমাণ নং : হযরত ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণিতনূরে মুজাসসাম রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এরশাদ মোবারক করেন,, “আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলামএখন থেকে কবর জিয়ারত করো” (ইবনে মাজাহমেশকাত পৃষ্ঠা ১৫৪)

    প্রমাণ নং : মোহাম্মদ বিন নোমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণিতনূরে মুজাসসাম রাসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এরশাদ মোবারক করেন, “যে ব্যক্তি প্রতি শুক্রবার তার পিতা-মাতার বা তাঁদের যে কোনো একজনের কবর জিয়ারত করে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং পুণ্যবান একজন হিসেবে তার নাম লেখা হবে” (মেশাকাত১৫৪ পৃষ্ঠা) 

    প্রমাণ নং : ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার আকিদাঃ আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার কথা উদ্ধৃত করেনযিনি বলেন, “আমি ইমাম আবু হানিফা (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার সাহায্য প্রার্থনা করি এবং উনার মাযার যেয়ারত করি আমার যখন কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় তখন আমি দুরাকাত নামায আদায় করে ইমাম আবু হানিফা (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার মাযার জিয়ারত করি এবং তৎক্ষণাৎ আমার প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায়” (রাদ্দুল মোহ্তার১ম খন্ড৩৮ পৃষ্ঠা) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনিও লিখেনঃ ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন যে হযরত মূসা কাযেমের (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার মাযারে তাৎক্ষণিক দোয়া কবুল হয়” (আশ্আতুল লোমআত১ম খন্ড৭১৫ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণনং : ইমাম সাবী মালেকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার আকিদা- বিশ্বাস আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনার নৈকট্যের জন্যে ওসীলা অন্বেষণ করো”- আল্ কুরআন উল কারিম (সুরাহ আল মায়েদাহ শরিফঃ আয়াত শরিফ ৩৫) উনার এই আয়াতটি ব্যাখ্যাকালে ইমাম সাবী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলেন আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন উনার ভিন্ন অপর কারো এবাদত- বন্দেগী করছেন মনে করে আউলিয়ায়ে কেরামের মাযার যেয়ারতকারী মুসলমানদেরকে কাফের আখ্যা দেয়া স্পষ্ট গোমরাহীতাঁদের মাযার যেয়ারত করা আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কারো এবাদত- বন্দেগী নয়এটা হলো আল্লাহ্ যাঁদেরকে ভালবাসেন তাঁদেরকে ভালবাসার নিদর্শন” (তাফসীরে সাবী১ম খন্ড২৪৫ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং : সুলতানুল মাশায়েখ হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়ার আকিদা-বিশ্বাস হযরত নিজামউদ্দীন আউলিয়া (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি বলেন যে মওলানা কাটহেলী একবার উনার নিজের ঘটনা বর্ণনা করেনঃ কোনো এক বছর দিল্লীতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় আমি একটি বাজার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম আর তখন আমার খিদে পেয়েছিল  আমি কিছু খাবার কিনে মনে মনে বল্লাম খাবার আমার একা খাওয়া উচিৎ নয়এটা কারো সাথে ভাগাভাগি করতে হবে এমতাবস্থায় আমি এক বৃদ্ধ মানুষের দেখা পেলাম যাঁর গায়ে চাদর মোড়ানো ছিল আমি তাঁকে বল্লামওহে খাজা! আমি গরিব এবং আপনাকেও গরিব মনে হচ্ছে মওলানা কাটহেলী ওই বৃদ্ধকে খাবার গ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানালেন এবং তিনি তা গ্রহণ করলেন মওলানা কাটহেলী বলেনআমরা যখন খাচ্ছিলাম তখন আমি ওই বয়স্ক মুরুব্বীকে জানালাম যে আমি ২০ টাকা (রূপী) ঋণগ্রস্ত  কথা শুনে ওই বয়স্ক মরুব্বী আমাকে খাওয়া চালিয়ে যেতে তাগিদ দিলেন এবং ওই ২০ টাকা (রূপী) এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আমি আপন মনে ভাবলামতিনি এই টাকা পাবেন কোথায়খাওয়া শেষে সেই বয়স্ক মরুব্বী উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে মসজিদে নিয়ে গেলেন, মসজিদের ভেতরে একটি মাযার অবস্থিত ছিলতিনি ওই মাযারের কাছে কী যেন চাইলেন তাঁর হাতে যে ছোট লাঠি ছিল তা দ্বারা দুবার মাযারে আলতোভাবে ছুঁয়ে তিনি বল্লেনএই লোকের ২০ টাকা প্রয়োজনতাকে তা দেবেন অতঃপর বয়স্ক মরুব্বী আমার দিকে ফিরে বল্লেন, ‘মওলানাফিরে যানআপনি আপনার ২০ টাকা পাবেন’ আমি কথা শুনে ওই মরুব্বীর হাতে চুমো খেলাম এবং শহরের দিকে ফিরে চল্লাম আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কীভাবে আমি ওই ২০ টাকা খুঁজে পাবো আমার সাথে একটা চিঠি ছিল যা কারো বাসায় আমাকে পৌঁছে দেবার কথা ছিল ওই চিঠি যথাস্থানে নিয়ে গেলে আমি জনৈক তুর্কী ব্যক্তির দেখা পাই তিনি তাঁর গৃহ-ভৃত্যদের বল্লেন আমাকে ওপর তলায় নিয়ে যাবার জন্যে আমি তাঁকে চেনার চেষ্টা করেও মনে করতে পারলাম নাকিন্তু তিনি বার বার বলছিলেন কোনো এক সময় নাকি আমি তাঁকে সাহায্য করেছিলাম আমি তাঁকে না চেনার কথা বল্লেও তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন বলে জানালেন আমরা এভাবে কিছুক্ষণ কথাবর্তা বল্লাম অতঃপর তিনি ভেতর থেকে ফিরে এসে আমার হাতে ২০ টাকা গুজে দিলেন (ফাওয়াইদ আল ফাওয়াদ১২৪ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং : আল্লামা জামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার আকিদা-বিশ্বাস আল্লামা জামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি শায়খ আবুল হারিস আওলাসী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনাকে উদ্ধৃত করেনযিনি বলেন যে হযরত যুন্নূন মিসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু শুনেছেন তাই কিছু মাসআলা সম্পর্কে জানতে আল্লামা জামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার সাথে দেখা করার কথা মনস্থ করেন কিন্তু যখন তিনি মিসর পৌঁছেন তখন জানতে পারেন যে হযরত যুন্নূন মিসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) বেসালপ্রাপ্ত (খোদার সাথে পর পারে মিলিত) হয়েছেন এমতাবস্থায় আল্লামা জামী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনার মাযারে যান এবং মোরাকাবায় বসেন কিছুক্ষণ পরে তিনি হয়রান বোধ করেন এবং ঘুমিয়ে পড়েন অতঃপর তিনি হযরত যুন্নূন মসরী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনাকে স্বপ্নে দেখেন এবং উনার নিজের প্রশ্নগুলো উত্থাপন করেন শায়খ মিসরী উনার সব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাঁর কাঁধ থেকে বোঝা নামিয়ে দেন (নাফহাত আল্ উনস্ ১৯৩ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং : ইমাম ইবনে হাজর মক্কী শাফেয়ী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার আকিদা ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) লিখেনউলামা যাদের প্রয়োজন তাঁদের মধ্যে এই আচার সবসময়ই চালু ছিল যে তাঁরা ইমাম আবু হানিফা (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার মাযারে যেতেন এবং নিজেদের অসুবিধা দূর করার জন্যে তাঁর মাধ্যমে দোয়া করতেন  সকল ব্যক্তি এটাকে সাফল্য লাভের একটা ওসীলা মনে করতেন এবং এর অনুশীলন দ্বারা বড় ধরনের পুরস্কার লাভ করতেন বাগদাদে থাকাকালীন সব সময়েই ইমাম শাফেয়ী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) ইমাম আবু হানিফা (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার মাযারে যেতেন এবং তাঁর কাছে আশীর্বাদ তালাশ করতেন যখন আমার (ইমাম ইবনে হাজর) কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়তখন আমি দুরাকাত নামায আদায় করে উনার মাযারে যাই এবং উনার ওসীলায় দোয়া করিফলে আমার অসুবিধা তক্ষণি দূর হয়ে যায় (খায়রাত আল্ হিসান১৬৬ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং : শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার আকিদা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) লিখেন: কবর জিয়ারত করা মোস্তাহাব (প্রশংসনীয়) ব্যপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” (আশআতুল লোমআত১ম খন্ড৭১৫ পৃষ্ঠা) তিনি আরও লিখেনঃ যেয়ারতের সময় কবরস্থদেরকে সম্মান প্রদর্শন করা ওয়াজিব (অবশ্য কর্তব্য)বিশেষ করে পুণ্যবান বান্দাদের ক্ষেত্রে তাঁরা যাহেরী জিন্দেগীতে থাকাকালীন তাঁদেরকে সম্মান প্রদর্শন করা যেমন প্রয়োজনীয় ছিলএকইভাবে তাঁদের মাযারেও তা প্রদর্শন করা জরুরি কেননামাযারস্থ বুযুর্গানে দ্বীন যে সাহায্য করে থাকেনতা তাঁদের প্রতি যেয়ারতকারীদের প্রদর্শিত ভক্তি-শ্রদ্ধার সম্মানের ওপরই নির্ভর করে” (আশআতুল লোমআত১ম খন্ড ৭১০ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং ১০ : শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার আকিদা- বিশ্বাস শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি লিখেন যে উনার পিতা শাহ্ আব্দুর রহীম বলেছেন, “একবার আমি হযরত খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-উনার মাযার শরীফ যেয়ারত করতে যাই এমতাবস্থায় তাঁর রূহ্ মোবারক আমার সামনে দৃশ্যমান হন এবং আমাকে বলেন যে আমার একজন পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করবেআর আমি যেন ওর নাম রাখি কুতুবউদ্দীন আহমদ ওই সময় আমার স্ত্রী বয়স্ক হয়ে গিয়েছিল এবং সন্তান ধারণের বয়স পেরিয়েছিল তাই শায়খের কথা শুনে আমি মনে মনে ভাবলাম সম্ভবত আমার নাতি হতে যাচ্ছে হযরত বখতেয়ার কাকী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) আমার মনের কথা বুঝতে পেরে সন্দেহ দূর করে দিলেন কথা বলে যে তিনি নাতির খোশ-খবরী (শুভ সংবাদ) দেন নিবরং আমার নিজের একজন পুত্র সন্তানের কথা বলেছেন কিছু কাল পরে আমি আবার বিয়ে করি এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে (শাহ্) ওয়ালিউল্লাহর জন্ম হয়” শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ বলেন, ’আমার জন্মের সময় আমার বাবা ওই ঘটনার কথা ভুলে গিয়েছিলেন আর তাই আমার নাম রেখেছিলেন ওয়ালিউল্লাহ্ উনার যখন ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়তখন তিনি আমার দ্বিতীয় নাম রাখেন কুতুবউদ্দীন আহমদ (আনফাস্ আল্ আরেফীন১১০ পৃষ্ঠা)

    প্রমাণ নং ১১ : শাহ্ আব্দুল আযীয দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) উনার আকিদা-বিশ্বাস শাহ্ আব্দুল আযীয (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তিনি লিখেনঃ শরহে মাকাসিদ গ্রন্থে লেখা আছে যে মাযার যেয়ারত করা উপকারী এবং মাযারস্থ আউলিয়ায়ে কেরাম (রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনাদের রূহ্ মোবারক উপকার সাধন করতে সক্ষম বাস্তবিকই বেসাল (খোদার সাথে পরলোকে মিলিত)-প্রাপ্ত হবার পরে আউলিয়ায়ে কেরাম (রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনাদের রূহ্ মোবারক তাঁদের শরীর মাযারের সাথে সম্পর্ক রাখেন তাই কেউ যখন কোনো ওলীর মাযার যেয়ারত করেন এবং ওই ওলীর প্রতি মনোযোগ দেনতখন উভয় রূহের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়  ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে যে আউলিয়ায়ে কেরাম জীবিতাবস্থায় বেশি সাহায্য করতে সক্ষম না বেসালপ্রাপ্ত অবস্থায় কিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেন যে বেসালপ্রাপ্ত আউলিয়া বেশি সাহায্য করতে সক্ষমআর কিছু উলামা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার একটি হাদীস শরিফ উনার মতের স্বপক্ষে পেশ করে তা প্রমাণ করেছেন;হাদীস শরিফ উনার মধ্যে এরশাদ মোবারক হয়েছে- ইযা তাহাই- ইয়্যারতুম ফীল উমুরেফাসতাঈনূ মিন আহলিল কুবূর- অর্থ: যখন তোমরা কোনো ব্যাপারে পেরেশানগ্রস্ত হওতখন মাযারস্থ (আউলিয়া)-দের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহেলভী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) শরহে মেশকাত গ্রন্থে বলেছেন যে এই বিষয়টির পরিপন্থী কোনো দালিলিক প্রমাণ পবিত্র কুরআন উল কারিম এবং সুন্নাহ্ শরিফ কিংবা সালাফবৃন্দের বাণীতে বিদ্যমান নেই (ফতোওয়ায়ে আযীযিয়া২য় খন্ড১০৮ পৃষ্ঠা)

    এতসব দলিল আদ্বিল্লার পরেও যদি কেহ নিজে নিজে মুফতি হয়ে শিরিক আর কুফরির ফতওয়া লাগায় তবে সে স্পষ্ট গোমরাহ তার সম্পর্কে আল্লাহ্পাক রাব্বুল আলামিন্ন তিনিই ভালো জানেন। আল্লাহ্সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি সবাইকে হক্ব বুঝার তৌফিক দিন আমিন। 
    (সংগৃহিত)


    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: হযরত আউলিয়া কেরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন উনাদের মাজার শরিফ জিয়ারত করার ১১টি স্পষ্ট দলিল। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top