আজ এক কঠিন জাহিলিয়াতের মোকাবিলায় মুসলমান উপস্থিত। মুসলিমী সর্বস্তরে তথা আমল আখলাক, আক্বীদা, আদর্শ, ইলম ও কৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিচার-আদালত, দেশ-প্রদেশ, জেলা-গ্রাম, শহর-বন্দর, শিল্পসহ গবেষণাধর্মী জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রত্যেক জায়গায় চলছে চোরাগুপ্তা সাংঘাতিক নির্দয়ী হামলা, প্রতারণামূলক ইস্যুর জালে আটকিয়ে মুসলিম সমাজে হট্টগোল, আন্দোলন, হানাহানি, মারামারি, গোলাগুলি, জ্বালাও-পোড়াও, দেশ ও দেশের সম্পদসহ ইজ্জত ও ক্ষমতা লুণ্ঠনের ক্ষেত্র তৈরি করে দেদারছে লুট করেই চলছে বিশ্ব লুটেরা যবন স্লেচ্ছ, ওই কুখ্যাত আমেরিকা, ইসরাইল, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ তামাম তাগুতি পোষ্যরা। এমতাবস্থায় মুসলমানগণ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিভ্রান্তির সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
এমনই মুহূর্তে জেগে উঠেন দিশারী আলোকবর্তিকা হয়ে আশ্রয়ের পুরোদস্তুর হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে যান শীর উঁচু করে। সাহায্যের দু’হাত প্রসারিত করে দেন। মুসলিম জাতিকে সাহসী করতে এগিয়ে আসেন ক্ষণজন্মা এক মহান সুপুরুষ, সাইয়্যিদুল আতিক, সাইয়্যিদুশ শাবীব, সাইয়্যিদুল আবীদ, সাইয়্যিদুল মজিদ, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, নকশায়ে আসাদুল্লাহিল গালিব, হায়দারুদ দ্বীন, কুতুবুল আলম, শাফিউল উমাম, রাহবারে উমাম, আওলাদে রসূল, মুহতারাম হযরত শাহ ছূফী সাইয়্যিদ শাহদামাদ আউয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। তিনি হচ্ছেন বর্তমান যামানার সোয়া তিনশ কোটি মুসলমানের মকবুল দিশারী, তিনি হচ্ছেন জাহির-বাতিনের আলোকবর্তিকা। তিনি হচ্ছেন কায়িম-মাক্বামে ইলমি দ্বার। উনিই সেই ব্যক্তি, যাঁর উসীলায় খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার বেদিশা বান্দা-বান্দীদের সুশৃঙ্খল পথের হিসাব শিক্ষা দিচ্ছেন। উনার উসীলায় মুসলিম জিন্দেগানীর স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য, নূরানী রুটিন পালনের শিক্ষা দিচ্ছেন। তিনি ১৪ই যিলক্বদ শরীফ দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ আনেন। আমরা সকল আশিকান, জাকিরীন, মুরীদীন, মুহিব্বীনগণ অত্যন্ত জওক ও শওকের সাথে পালন করছি ঈদে বিলাদতে হযরত শাহদামাদ আউয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার আজিমুশ শান ও সুমহান ওলী হযরত শাহদামাদ আউয়াল ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেকভাজন আমাদের করে দিন। আমীন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন