728x90 AdSpace

  • Latest News

    ‘যাবুর শরীফ-এ’ আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের সুসংবাদ ও ছানা-ছিফত

    যাবুর শরীফ-এ অন্য বর্ণনায় রয়েছে, একদা হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দরগাহে আরজি করলেন, “হে বারে ইলাহী! হক্ব ও সুন্নত যাহিরকারী একজন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করুন যাতে উনার থেকে হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে মানুষ সঠিক আক্বীদা পোষণ করতে পারে।”
    হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত সদা সর্বদাই বর্ণনা করতেন। মূলত সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল কাজই ছিলো আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করা ও তা স্বীয় উম্মতকে জানিয়ে দেয়া এবং সমস্ত মাখলুকাতের মাঝে ঘোষণা দেয়া। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর পূর্বে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনারা জ্বিন ইনসান এবং সমস্ত মাখলুকাত অপেক্ষমাণ ছিলেন। কারণ গোটা সৃষ্টির মূল আয়োজক হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ আনবেন বলে আগমন ঘটেছে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দু’লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের। এসেছেন কোটি কোটি আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং সমস্ত মাখলুকাত। তিনি সৃষ্টি না হলেতো কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না। আরশ-কুরসী, আসমান-যমীন, লৌহ-ক্বলম, বেহেশত-দোযখ, জ্বীন-ইনসান তথা কোন মাখলুকাতই সৃষ্টি হতো না।
    এ সমস্ত সংবাদ হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আগমনের পূর্বে উনাদের প্রকৃত অবস্থা যাহির করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজি করলেন, বারে ইলাহী! আপনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করুন যাতে তিনি মানুষকে হিদায়েত দান করেন আর উনার নিকট থেকে সকলেই রহমত, বরকত, ছাক্বীনা লাভ করবেন।”
    সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন এবং ছানা-ছিফত সম্পর্কে হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তিনি অসংখ্য বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য নবী, সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল ও হাবীবুল্লাহ হিসেবে মনোনীত করেছেন।
    আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত ও খুছুছিয়াত হাদিয়া করেছেন; যা অন্য কোন মাখলুককে প্রদান করা হয়নি। আল্লাহ পাক উনাকে শ্রেষ্ঠতম কামিয়াবী হাদিয়া করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতদের মধ্যে কতক উম্মতকে এমন বেমেছাল নিয়ামত দান করেছেন যে, উনারা সদা-সর্বদা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাসবীহ ও ছানা-ছিফত পাঠ করবেন।
    উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাতে ধারালো তরবারি থাকবে যাতে উহার মাধ্যমে উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমান, কাফির, মুশরিকদের প্রতিহত করতে পারেন এবং জালিম বিধর্মী রাজা বাদশাহদের বন্দী করতে পারেন এবং কাফির, মুশরিক বিধর্মীদের মধ্যে যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহ তাদের গলায় তওক পরিয়ে দিতে পারেন। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফসহ সারা কায়িনাতের নবী-রসূল হিসেবে সমস্ত মাখলুকাতের ক্বাসিম বণ্টনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। হাদীছ শরীফ-এ এসেছে-
    انما انا قاسم والله يعطى
    অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত নিয়ামত আমাকে হাদিয়া করেছেন আর আমি তা বণ্টন করে যাচ্ছি।”
    অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত সারা মাখলুকাতের মাঝে রহমত, বরকত, ছাক্বীনা, নিয়ামত, ইলম কালাম, রিযিক, দৌলত এক কথায় কায়িনাতের সবকিছুরই বণ্টনের মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ।
    বর্ণিত রয়েছে, ‘আল্লাহ পাক উনার হাবীব হবেন আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুমহান নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হবেন এবং সর্বাধিক দানশীল হবেন। সাগর থেকে সাগর পর্যন্ত, নহর থেকে যমীনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এবং সারা আলমের সকলেই উনার প্রতি রুজু থাকবেন এবং উনার প্রতি আদব-তমীজ রক্ষা করবেন। উনার যারা দুশমন, কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা সকলেই উনার শান-মান, ইজ্জত-সম্মান দেখে নিজেদের জিহ্বা দ্বারা মৃত্তিকা লেহন করবে। রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমরাহ সকলেই সিজদারত অবস্থায় উনার ক্বদম মুবারক চুম্বন করবে এবং উনার নিকট সকলেই হাযির হয়ে উনার অনুসরণ অনুকরণ বিনয় বিনতভাবে করবেন। উনার প্রতি ঈমান আনার ফলে জ্বিন-ইনসান উনার উম্মতদের হাত থেকে মুক্তি পাবে। তিনি গোলাম, ফকীর, মজলুম ব্যক্তিদের অত্যাচারীদের থেকে মুক্তি দান করবেন। দুর্বল, সহায়হীন অর্জনকে তিনি সাহায্য সহযোগিতা করবেন। দুর্বল ও মিসকিনদের প্রতি তিনি মেহেরবান হবেন। সমস্ত জ্বীন ইনসান ও মাখলুকাত উনার উপর সদা সর্বদাই দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন এবং উনার উম্মতগণ প্রতিক্ষণ দোয়া করবেন। এবং উনার আলোচনা উনার ইসম বা নাম মুবারক-এর যিকির-ফিকির অনন্তকাল পর্যন্ত চলতেই থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (মাদারিজুন নুবুওওয়াত)
    উল্লেখ্য যে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা-মর্তবা বেমেছাল যা বান্দা ও উম্মতের জন্য বর্ণনা করা সম্ভব নয়। সৃষ্টির শুরু থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে যত আলোচনা, ছানা-ছিফত হয়েছে তা মূলত বিন্দু থেকে বিন্দুমাত্র এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
    হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি নাযিলকৃত যে যাবুর শরীফ সেই কিতাবে যা বর্ণিত রয়েছে তা আসলে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলতের মধ্যে একটি মাত্র।
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ‘যাবুর শরীফ-এ’ আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের সুসংবাদ ও ছানা-ছিফত Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top