728x90 AdSpace

  • Latest News

    ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহাপবিত্র, মহাসম্মানিত ও মহাফযীলতপূর্ণ দিন হিসেবে কায়িনাতে সাব্যস্ত হয়েছে এবং থাকবে।

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।’
    নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক তাশরীফ আনার কারণেই ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহাপবিত্র, মহাসম্মানিত ও মহাফযীলতপূর্ণ দিন হিসেবে কায়িনাতে সাব্যস্ত হয়েছে এবং থাকবে।
    আজ সেই মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র দিন।
    যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন।
    তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয হচ্ছে, সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম, মুহব্বত ও ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার দিনটি পালন করা।
    আর সকল দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।

    যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ আনেন সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ। আর একারণেই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম আর মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন- কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা পালন করা মুসলমান তো অবশ্যই জিন-ইনসানসহ সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরয এবং নাজাতেরও কারণ। যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত।
    সকল ঈদ উনাদের সেরা ঈদ। অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (১৪৩৫ হিজরী) উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শরীর মুবারক অথবা অঙ্গ-প্রতঙ্গ মুবারক উনার সাথে যা কিছু অর্থাৎ জামাদাত হাজারাত শাজারাত স্পর্শ করেছে তার সবই পবিত্র আরশে আযীম, পবিত্র কুরছী শরীফ ও পবিত্র ক্বা’বা শরীফ উনাদের চেয়েও বেশি মর্যাদাসম্পন্ন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তায়াল্লুক-নিছবত মুবারক থাকার কারণে যদি এত মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হয়ে থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে তারিখে যে দিবসে যে মাসে এসেছেন অর্থাৎ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ ও পবিত্র ১২ই শরীফ উনাদের কতটুকু মর্যাদা-মর্তবা মুবারক রয়েছে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়। এ সম্মানিত মাস সব মাস উনাদের চেয়ে বেশি সম্মানিত ও ফযীলতপ্রাপ্ত মাস অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম। আর পবিত্র ১২ই শরীফ হচ্ছেন সকল পবিত্র ঈদ উনাদের সেরা পবিত্র ঈদ মুবারক। যে পবিত্র ঈদ মুবারক পালন করা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয।
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে পবিত্র ঈদ মুবারক পালন করা বা খুশি প্রকাশ করা বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এ ব্যাপারেও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে বহু স্থানে আদেশ-নির্দেশ মুবারক রয়েছে। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ’ উনার ৫৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।”
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে ‘মাওলাহিবুল লাদুননিয়া শরীফ’ কিতাব উনার বিখ্যাত শরাহ ‘শরহুয্ যারকানী শরীফ’ কিতাব উনার ১ম খ-ের ২৬১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইবনুল জাযরী রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, “আবু লাহাবের মতো কাট্টা কাফির যার নিন্দায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র সূরা শরীফ পর্যন্ত নাযিল হয়েছে, তাকে যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার রাত্রিতে আনন্দিত হয়ে খুশি প্রকাশ করার কারণে জাহান্নামেও তার পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে, তবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত উনাদের কোনো মুসলমান যদি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তার সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা ইত্যাদি খরচ করে তাহলে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে? নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল ও করমে অবশ্যই অবশ্যই তাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” সুবহানাল্লাহ!
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হালে সরকারিভাবে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হয়। ভিআইপি রাস্তায় কিছু রঙিন পতাকা, ব্যানার ইত্যাদি টানানো হয়। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তঃসারশূন্য কিছু মাহফিল, সেমিনার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয় এবং একেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। নাউযুবিল্লাহ! অথচ তুলনামূলক তথ্যে দেখা যায়, এদেশে কাফির, মুশরিক, ফাসিক, ফুজ্জার ও সাধারণ লোকদের স্মরণসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয় তার চেয়ে অনেক কম অর্থ কেবল নয়, বরং কম উৎসাহ ও কম আয়োজনের দ্বারা যেনোতেনোভাবে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মতো মহাপবিত্র দিনকে অতিক্রান্ত করা হয়। নাউযুবিল্লাহ! অথচ পবিত্র ঈমান উনার একান্ত দাবির কারণে শুধু এ মুবারক দিনেই কেবল নয়, বরং পুরো মাসে সরকারি বেসরকারি সর্বমহলে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে অত্যান্ত খুশির সাথে, ব্যাপক আয়োজনে, বিপুল উৎসাহে, গভীর মূল্যায়নে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হওয়া ফরযের অন্তর্ভুক্ত।
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণ মুসলমান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী মুসলমান। পাশাপাশি বাংলাদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য আলাদাভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনী মাস তথা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ উপলক্ষে মাসব্যাপী সারাদেশে ব্যাপক ও শান শওকতপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও শান-শওক্বত উনাদের সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এ উপলক্ষে কমপক্ষে একমাস ছুটি প্রদান করা।
    মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র দিন। যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিন। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয হচ্ছে, সর্বোচ্চ তা’যীম-তাকরীম, মুহব্বত ও ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার দিনটি পালন করা। আর সকল দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহাপবিত্র, মহাসম্মানিত ও মহাফযীলতপূর্ণ দিন হিসেবে কায়িনাতে সাব্যস্ত হয়েছে এবং থাকবে। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top