নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমার হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতী মুবারক উনার অনুরূপ। উনার মধ্যে যাঁরা আরোহণ করেছিল উনারা নাজাত পেয়েছিল।’ অর্থাৎ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীম করবে উনারাও নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! সুমহান বরকতময় পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ- আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস; যা এ বছরের জন্য আগামী ১১ তাসি’-১৩৮২ শামসী সন, ০৯ ফেব্রুয়ারি-২০১৫ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ। হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত জুযয়ে ঈমান। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও খিদমত মুবারক করে ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করা।যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘পবিত্র মুসলিম শরীফ’ ও ‘পবিত্র মিশকাত শরীফ’ কিতাব উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি তোমাদের জন্য দুটি নিয়ামত রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব। যার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর।
তোমরা পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরো।” তিনি পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনার প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, “দ্বিতীয়টি হলো, আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। উনাাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি।” অর্থাৎ হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে ঈমান। আর হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে জুযয়ে ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম অর্থাৎ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাঁরা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বংশের বা উনাদের আওলাদ উনারাই আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ প্রসঙ্গে পবিত্র তাফসীরে আহমদ শরীফ ও পবিত্র ইবনে কাছির শরীফ উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে পবিত্র ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার বংশধর হওয়ার কারণে কুরাইশ উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” মনে রাখতে হবে যে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই কুরাইশ উনার অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে জুযে ঈমান। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘পবিত্র সিররুশ শাহাদাতাইন শরীফ’ কিতাব উনার বরাত দিয়ে বলেন, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খুছুছিয়ত, মর্যাদা, মর্তবা, বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উদাহরণ হলো- হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতী মুবারক উনার ন্যায়। যে উনার মধ্যে প্রবেশ করেছে (অর্থাৎ যে আমার আওলাদ উনাদেরকে মুহব্বত করেছে) সেই নাজাত পেয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! সেজন্যই অতীতের সকল হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও ওলীআল্লাহ উনারা সকলেই হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে প্রাণ উজাড় করে মুহব্বত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ সম্পর্কে ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল আ’যম, হাকীমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক উনার একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে দর্স দিচ্ছিলেন। দর্স প্রদানরত অবস্থায় তিনি কিছুক্ষণ পর পরই দর্স বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। যখন দর্স শেষ হলো, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করলো, হে হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার দর্স বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, এর পিছনে কি কারণ রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন যে, তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছো যে, আমাদের দর্সগাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বারবার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম। ছাত্ররা জানতে চাইলো, সেই ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেন দাঁড়িয়ে যেতেন? তখন ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, দেখ, সেই ছেলে তিনি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর। উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক অর্থাৎ নূরুন নাজাত মুবারক উনার সম্পর্ক রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! সেজন্য যখনই তিনি আমাদের দর্সগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। কেননা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা জুযয়ে ঈমান তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত জুযয়ে ঈমান। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও খিদমত করে ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
তোমরা পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধরো।” তিনি পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনার প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, “দ্বিতীয়টি হলো, আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। উনাাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি। উনাদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করছি।” অর্থাৎ হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে ঈমান। আর হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে জুযয়ে ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম অর্থাৎ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিসে তিনি এসব ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন। মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যাঁরা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বংশের বা উনাদের আওলাদ উনারাই আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ প্রসঙ্গে পবিত্র তাফসীরে আহমদ শরীফ ও পবিত্র ইবনে কাছির শরীফ উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে পবিত্র ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার বংশধর হওয়ার কারণে কুরাইশ উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” মনে রাখতে হবে যে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই কুরাইশ উনার অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত হচ্ছে জুযে ঈমান। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ‘পবিত্র সিররুশ শাহাদাতাইন শরীফ’ কিতাব উনার বরাত দিয়ে বলেন, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খুছুছিয়ত, মর্যাদা, মর্তবা, বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উদাহরণ হলো- হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতী মুবারক উনার ন্যায়। যে উনার মধ্যে প্রবেশ করেছে (অর্থাৎ যে আমার আওলাদ উনাদেরকে মুহব্বত করেছে) সেই নাজাত পেয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! সেজন্যই অতীতের সকল হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও ওলীআল্লাহ উনারা সকলেই হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে প্রাণ উজাড় করে মুহব্বত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ সম্পর্কে ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল আ’যম, হাকীমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক উনার একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে দর্স দিচ্ছিলেন। দর্স প্রদানরত অবস্থায় তিনি কিছুক্ষণ পর পরই দর্স বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। যখন দর্স শেষ হলো, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করলো, হে হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার দর্স বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, এর পিছনে কি কারণ রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন যে, তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছো যে, আমাদের দর্সগাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বারবার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম। ছাত্ররা জানতে চাইলো, সেই ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেন দাঁড়িয়ে যেতেন? তখন ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, দেখ, সেই ছেলে তিনি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর। উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক অর্থাৎ নূরুন নাজাত মুবারক উনার সম্পর্ক রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! সেজন্য যখনই তিনি আমাদের দর্সগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। কেননা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা জুযয়ে ঈমান তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত জুযয়ে ঈমান। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও খিদমত করে ইহকাল ও পরকালে নাজাত লাভ করা। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি মুবারক হাছিল করা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন