بسم الله الر حمن الر حىم
► পোস্টার, হ্যান্ডবিল, ব্যানার, চিঠিপত্র ইত্যাদির শুরুতে ৭৮৬ (বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) লিখার ক্ষেত্রে শরয়ী ফায়সালা|
সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আ’লামীন-এর দরবারে, যিনি অসংখ্য মাখলূকাতের মধ্যে একমাত্র মানব জাতিকে তথা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দান করেছেন অর্থাৎ “আশরাফুল মাখলুকাত” করেছেন| সর্বোত্তম আখলাকের অধিকারী আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অনন্তকালের জন্য অফুরন্ত ছলাত ও সালাম|
যে কোন নেক আমলের শুরুতে ‘তাসমিয়াহ’ অর্থাৎ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বলে শুরু করা সুন্নত এবং রহমত-বরকতের কারণ| পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
كل امر ذى بال لم ىبدأ ببسم الله الر حمن الر حىم اقطع
অর্থ: যে কাজ (নেক) শুরুতে বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা হয় না তা কর্তনযুক্ত অর্থাৎ সে কাজের মধ্যে কোন কল্যাণ বা বরকত থাকে না|”
অর্থ: যে কাজ (নেক) শুরুতে বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা হয় না তা কর্তনযুক্ত অর্থাৎ সে কাজের মধ্যে কোন কল্যাণ বা বরকত থাকে না|”
দলীল-
√ আল জামিউ লিআখলাকির রাবী লিল খতীব বাগদাদী, জামউল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূতী|
√ আল জামিউ লিআখলাকির রাবী লিল খতীব বাগদাদী, জামউল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূতী|
তাই প্রত্যেক ভাল বা নেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করাটা সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুম|
স্মরণীয় যে, প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে যেমনিভাবে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা নিয়ম তদ্রুপ ভাল কাজ লিখনীর মাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচারের ক্ষেত্রেও বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা নিয়ম|
আর বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ এবং তা যদি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় আরবীতে লেখা হয় তাহলে লিখিত পোস্টার, হ্যান্ডবিল, ব্যানার চিঠিপত্র প্রত্যেকটিকে সংরক্ষণ করা অপরিহার্য হবে| কেননা তাতে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ
بسم الله الر حمن الر حىم
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) লেখা রয়েছে|
بسم الله الر حمن الر حىم
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) লেখা রয়েছে|
আরবীতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ লিখা হলে সবার পক্ষে হয়তো উক্ত লিখিত বস্তুর সম্মান রক্ষা করা সম্ভব হবে না; সেজন্য অনেকে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আরবী ভাষায় না লিখে বাংলাতে লিখে থাকে| আবার কেউ কেউ আবজাদের হিসাব অনুযায়ী ৭৮৬ অঙ্কে লিখে থাকে|
স্মরণীয় যে, আবজাদের হিসাব মতে আরবী প্রতিটি অক্ষরের যে মান বর্ণনা করা হয়েছে তা হচ্ছে-
ا -এর মান= ১
ب -এর মান= ২
ج -এর মান= ৩
د -এর মান= ৪
ه -এর মান= ৫
و -এর মান= ৬
ز -এর মান= ৭
ح -এর মান= ৮
ط -এর মান= ৯
ى -এর মান= ১০
ك -এর মান= ২০
ل -এর মান= ৩০
م -এর মান= ৪০
ن -এর মান= ৫০
س -এর মান= ৬০
ع -এর মান= ৭০
ف -এর মান= ৮০
ص -এর মান= ৯০
ق -এর মান= ১০০
ر -এর মান= ২০০
ش -এর মান= ৩০০
ت -এর মান= ৪০০
ث -এর মান= ৫০০
خ -এর মান= ৬০০
ذ -এর মান= ৭০০
ض -এর মান= ৮০০
ظ -এর মান= ৯০০
غ -এর মান= ১০০০
সুতরাং আবজাদ অক্ষর সমূহের মান হিসেবে
بسم الله الر حمن الر حىم
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) উনার সংখ্যাগত মান= ৭৮৬
بسم الله الر حمن الر حىم
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম) উনার সংখ্যাগত মান= ৭৮৬
যেমন-
ب -অক্ষরের মান= ২
س -অক্ষরের মান= ৬০
م -অক্ষরের মান= ৪০
ا -অক্ষরের মান= ১
ل -অক্ষরের মান= ৩০
ل -অক্ষরের মান= ৩০
ه -অক্ষরের মান= ৫
ا -অক্ষরের মান= ১
ل -অক্ষরের মান= ৩০
ر -অক্ষরের মান= ২০০
ح -অক্ষরের মান= ৮
م -অক্ষরের মান= ৪০
ن -অক্ষরের মান= ৫০
ا -অক্ষরের মান= ১
ل -অক্ষরের মান= ৩০
ر -অক্ষরের মান= ২০০
ح -অক্ষরের মান= ৮
ى -অক্ষরের মান= ১০
م -অক্ষরের মান= ৪০
= ৭৮৬
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন