728x90 AdSpace

  • Latest News

    পবিত্র কুরআন শরীফ ওপবিত্র হাদীছ শরীফ-উনাদের বর্ণনায় আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদে রসূলগণের ফযীলত




    قل لا اسئلكم عليه اجرا الا المودة فى القربى
    অর্থ: "হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকটনুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা তবে আমার নিকটজন তথা আহলেবাইতগণের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে" (সূরা শূরা-২৩)

     আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর "তাফসীরে মাযহারী" ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিতহয়েছে-
    لا اسئلكم اجرا الا ان تودوا اقربائى واهل بيتى وعترتى وذلك لانه صلى الله عليه وسلم كان خاتم النبين لا نبىبعده.
    অর্থ: "আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহলে বাইত ওবংশধরগণের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব আদায় করবে কেননা, আল্লাহ পাক উনার হাবীবহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন শেষ নবী উনার পরে কোন নবী নেই"


    আহলে বাইতের ফযীলত সম্পর্কে বহু হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে তন্মধ্যে কতিপয় হাদীছ শরীফবর্ণনা করা হলো:
    عن عائشة رضى الله تعالى عنها قالت خرج النبى صلى الله عليه وسلم غداة وعليه مرط مرحل من شعر اسودفجاء الحسن بن على فادخله ثم جاء الحسين فدخل معه ثم جاءت فاطمة فادخلها ثم جاء على فادخله ثم قال انمايريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت ويطهركم تطهيرا.
    অর্থ" "হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, একদা ভোরবেলা হুযূর পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একখানা কাল বর্ণের পশমী নকশী কম্বল শরীর মুবারকে জড়িয়ে বেরহলেন এমন সময় হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সেখানে আসলেন, তিনি তাঁকেকম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম আসলেন,তাঁকেও ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সহিত প্রবেশ করিয়ে নিলেন অতঃপর হযরতফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা আসলেন তাঁকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন তারপর হযরতআলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আসলেন, তাঁকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন অতঃপর নবীপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন শরীফ-এর এই আয়াত শরীফখানা পড়লেন, ‘হে আমারআহলে বাইত! আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে সকল প্রকার অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পবিত্র করারমত পবিত্র করবেন" (মুসলিম শরীফ)

    عن سعد بن ابى وقاص رضى الله تعالى عنه قال لما نزلت هذه الاية فقل تعالوا ندع ابناءنا وابناءكم دعا رسولالله صلى الله عليه وسلم عليا وفاطمة وحسنا وحسينا فقال اللهم هؤلاء اهل بيتى.
    অর্থ: "হযরত সা ইবনে আবি ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, যখন ندع ابناءنا وابناءكمالاية (আসো আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানগণকে  তোমাদের সন্তানগণকে) আয়াত শরীফনাযিল হলো, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহু, হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা  হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুএবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে ডাকলেন এবং বললেন, আয় আল্লাহ পাক! এরাসকলে আমার আহলে বাইত" (মুসলিম শরীফ)

    عن المسور بن مخرمة رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فاطمة بضعة منى فمناغضبها اغضبنى.
    অর্থ: "হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা আমার (দেহমুবারকেরই) একটি টুকরা যে তাঁকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো " (বুখারী,মুসলিম)

    عن زيد بن ارقم رضى الله تعالى عنه قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما فينا خطيبا بماء يدعى خما بينمكة والمدينة فحمد الله واثنى عليه ووعظ وذكر ثم قال اما بعد الا ايها الناس انما انا بشر يوشك ان ياتينى رسولربى فاجيب وانا تارك فيكم الثقلين اولهما كتاب الله فيه الهدى والنور فخذوا بكتاب الله واستمسكوا به فحث علىكتاب الله ورغب فيه ثم قال واهل بيتى اذكركم الله فى اهل بيتى اذكركم الله فى اهل بيتى.
    অর্থ: "হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একবার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা শরীফ  মদীনা শরীফ-এর মধ্যবর্তী "খোম" নামক পানির নালার নিকটদাঁড়িয়ে আমাদেরকে খুৎবা দান করলেন প্রথমে আল্লাহ পাক উনার হামদ  ছানা বর্ণনা করলেন,এরপর ওয়ায  নছীহত করলেন, অতঃপর বললেন, সাবধান! হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমিএকজন বাশার, অচিরেই আমার নিকট আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস্সালাম) আসবে, তখন আমি আমার রব তায়ালার আহবানে সাড়া দিব আমি তোমাদের মাঝে দুটিমূল্যবান সম্পদ রেখে যাচ্ছি তন্মধ্যে প্রথমটি হল, আল্লাহ পাক উনার কিতাব, এর মধ্যে রয়েছেহিদায়েত  নূর অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক উনার কিতাবকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর এবংদৃঢ়তার সাথে তার বিধি-বিধান মেনে চল (বর্ণনাকারী বলেন,) আল্লাহ পাক উনার কিতাবেরনিদের্শাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব বেশী উদ্বুদ্ধ  উৎসাহিত করলেন অতঃপরবললেন, আর দ্বিতীয়টি হলো; আমার আহলে বাইত আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইতসম্পর্কে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি আমি তোমাদেরকে আমার আহলেবাইত সম্পর্কে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি" (মুসলিম শরীফ)

    عن البراء رضى الله تعالى عنه قال رايت النبى صلى الله عليه وسلم والحسن بن على على عاتقه يقول اللهم انىاحبه فاحبه
    অর্থ: "হযরত বারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনাকে দেখেছি যে, তিনি হাসান ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে নিজের কাঁধের উপররেখে বলছেন, হে আল্লাহ পাক! আমি তাঁকে মুহব্বত করি, আপনিও তাঁকে মুহব্বত করুন"(মুত্তাফাকুন আলাইহি)

    عن جابر رضى الله تعالى عنه قال رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم فى حجته يوم عرفة وهو على ناقتهالقصواء يخطب فسمعته يقول يا ايها الناس انى تركت فيكم ما ان اخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتى اهل بيتى.
    অর্থ: "হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজ্জে আরাফাতের দিন তাঁর "কাসওয়া" নামক উষ্ট্রীর উপরসওয়ার অবস্থায় খুৎবা দান করছেন আমি শুনেছি, তিনি খুৎবায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমিতোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্তভাবে ধরে রাখ, তবে কখনওগোমরাহ হবেনা তা হলো আল্লাহ পাক উনার কিতাব  আমার ইতরত বা আহলে বাইত"(তিরমিযী শরীফ)

    عن زيد بن ارقم رضى الله تعال عنه قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لعلى وفاطمة والحسن والحسينانا حرب لمن حاربهم وسلم لمن سالمهم.
    অর্থ: "হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই রসূলে পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহা, হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামসম্পর্কে বলেছেন, যারা তাঁদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে, আমি তাদের শত্রু পক্ষান্তরে যে তাঁদেরসাথে সদ্ব্যবহার করবে, আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবো" (তিরমিযী শরীফ)

    عن ابى سعيد رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسن والحسين سيدا شباب اهلالجنة.
    অর্থ: "হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  হযরত ইমাম হুসাইনআলাইহিস সালাম দুজনই জান্নাতী যুবকগণের সাইয়্যিদ" (তিরমিযী শরীফ)

    عن ابن عمر رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الحسن والحسين هما ريحانى منالدنيا.
    অর্থ: "হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু তাঁরা দুজনেই দুনিয়াতে আমার দুটি ফুলস্বরূপ (তিরমিযী শরীফ)

    عن يعلى بن مرة رضى الله تعلى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم حسين منى وانا من حسين احب اللهمن احب حسينا حسين سبط من الاسباط.
    অর্থ: "হযরত ইয়ালা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমার থেকে আর আমিহযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে যে ব্যক্তি হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহুকে মুহব্বত করবে আল্লাহ পাক তাকে মুহব্বত করবেন হযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহু বংশসমূহের মধ্যে একটি বংশ (তিরমিযী শরীফ)

    عن على رضى الله تعالى عنه قال الحسن اشبه رسول الله صلى الله عليه وسلم ما بين الصدر الى الرأسوالحسين اشبه النبيى صلى الله عليه وسلم ما كان اسفل من ذلك.
    অর্থ: "হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুহলেন (চেহারা-আকৃতি-অবয়বে) মাথা মুবারক হতে বক্ষ মুবারক পর্যন্ত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনার সদৃশ আর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম হলেন বক্ষ মুবারক হতে নীচপর্যন্ত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদৃশ (তিরমিযী শরীফ)

    عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا الله لما يغذوكم من نعمةواحبونى لحب الله واحبوا اهل بيتى لحبى.
    অর্থ: "হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা আল্লাহ পাককে মুহব্বত কর কেননা, তিনি তোমাদের প্রতিখাদ্যসামগ্রীর মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন আর আমাকে মুহব্বত কর আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে,যেহেতু আমি আল্লাহ পাক উনার হাবীব আর আমার আহলে বাইতকে মুহব্বত কর আমারমুহব্বতে" (তিরমিযী শরীফ)

    عن ابى ذر رضى الله تعالى عنه انه قال وهو اخذ بباب الكعبة سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول الا ان مثلاهل بيتى فيكم مثل سفينة نوح من ركبها نجا ومن تخلف عنها هلك.
    অর্থ: "হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি কাবা শরীফ-এরদরজা ধরে বলেছেন, আমি নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি,সাবধান! আমার আহলে বাইত হলো তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম-এর নৌকারন্যায় যে তাতে আরোহন করবে, সে রক্ষা পাবে আর যে তা হতে পশ্চাতে থাকবে সে ধ্বংস হবে(মুসনাদে আহমদ শরীফ)

    হাদীছ শরীফ- আরো বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাথে একবার হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইমামহুসাইন আলাইহিস সালাম বসা ছিলেন এমতাবস্থায় হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ পাকউনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আসলেন

    হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঈমান আনার পর হযরত জিব্রীল আলাইহিস্সালাম সাধারণত তাঁর ছূরত মুবারকে আসতেন আর হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহু উনার আদত (অভ্যাস) ছিল তিনি যখন আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আসতেন তখন হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবংহযরত হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসতেন উনাদেরকেকোলে নিতেন যার কারণে তাঁর সাথে উনাদের আলাদা একটা মুহব্বত পয়দা হয়েছিল উনারাদুজন উনাকে দেখলেই তাঁর কাছে চলে যেতেন হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালাআনহু উনাদেরকে খাছভাবে মুহব্বত করতেন যে কারণে উনারাও উনাকে মুহব্বত করতেন

    যখন হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নিকট আসলেন হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরতমুবারকে সাধারণত: হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আসলে হযরত ইমামহাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তাঁর কাছে যেতেনতাই হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম আসা মাত্র উনারা তাঁর কাছে যেতে চাচ্ছিলেন

    হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জরুরী কিছুআলোচনা করছিলেন আর  দিকে হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরতইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার কাছে যেতে চাচ্ছিলেন আর আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে ফিরিয়ে রাখছিলেন এমনিভাবে একবার, দুবারতিনবার হয়ে গেল হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা আমার কাছে আসতে চাচ্ছেন,আপনি উনাদেরকে ফিরিয়ে রাখছেন, ব্যাপারটি কি?

    আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে ভাই হযরত জিব্রীলআলাইহিস্ সালাম! আপনি তো হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরতমুবারকে এসেছেন হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার একটা আদত রয়েছে,তিনি আমার নিকট যখনই আসেন তখনই উনাদের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসেন, উনাদেরকেকোলে নেন, মুহব্বত করেন, উনারাও তাঁর কাছে যান আপনাকে দেখে উনারা মনে করেছেন,আপনি হয়তো হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সেহেতু উনারা আপনার কাছেযেতে চাচ্ছেন তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমারবেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমাকে একটু সময় দেন, আমি এখনই আসছি এটা বলে তিনি বের হয়েগেলেন, কিছুক্ষণ পর আবার আসলেন এক থোকা আঙ্গুর নিয়ে, আঙ্গুরগুলো পেশ করলেন, হযরতইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারখিদমতে উনারা সেটা গ্রহণ করলেন আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম! আপনি এগুলো এতো তাড়াতাড়ি কোথা থেকেআনলেন? তিনি বললেন, আল্লাহ পাক উনাদের জন্য যে জান্নাত নির্ধারণ করে রেখেছেন সে জান্নাতথেকে  আঙ্গুর ফলগুলো আমি এনেছি সুবহানাল্লাহ
    আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে হযরত জিব্রীলআলাইহিস্ সালাম! আপনার হয়তো কষ্ট হয়েছে, আপনি কিছু মনে করবেন না তখন হযরত জিব্রীলআলাইহিস্ সালাম বললেন, আপনি বলেন কি, আমি কেন কিছু মনে করবো, আমরা ফেরেশ্তারা তোউনাদের খাদিম

    কেননা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাউনারা যখন ঘুমিয়ে থাকেন, আর হযরত ইমাম হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইমামহুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের যখন ঘুম আসেনা গরমের কারণে, তখন আল্লাহ পাক উনারনির্দেশে আমরা ফেরেশতারা উনাদেরকে বাতাস করে থাকি ঘুমানোর জন্য( সুবহানাল্লাহ) কাজেই,আমরা কেন কিছু মনে করবো

    সুতরাং, ফেরেশতা, জিন-ইনসান, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, তরু-লতা, জামাদাত-শাজারাত, হাজারাতযা কিছু রয়েছে সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, ‘আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করা আহলেবাইতগণকে মুহব্বত করা সকলেরই নাযাতের কারণ সেজন্য ফেরেশতারা মুহব্বত করেছেন,তাযীম-তাকরীম করেছেন, ইজ্জত-সম্মান করেছেন সেটা জিন-ইনসানের উপরও ফরয করাহয়েছে এখন যে যতটুকু মুহব্বত করবে, সে ততটুকু মর্যাদা লাভ করবে আরো বর্ণিত রয়েছে,হযরত উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রস্তাবিত বিষয়ে প্রায় ২২ খানা আয়াত শরীফনাযিল হয়েছে সেই হযরত উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছাওয়ানেহ উমরীতেবর্ণিত রয়েছে, যখন আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় নেনতখন হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বয়স মুবারক ছিল সাড়ে সাত বছর আরহযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিল সাড়ে ছয় বছর দুজনের মধ্যেহযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ছিলেন জালালী তবিয়ত আর হযরত ইমাম হাসানরদ্বিয়াল্লাহু তায়ারা আনহু ছিলেন জামালী তবিয়ত
    হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী কিতাবে বর্ণিতরয়েছে, যাঁরা সুন্নতের ইত্তিবা করতেন, সুন্নতের ইত্তিবার মধ্যে যাঁরা মশহুর রয়েছেন, বেমেছালরয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যারজন্য হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শাহাদত বরণ করার সময় অনেকছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম প্রস্তাব দিয়েছিলেন, হে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুলমুমিনীন! আপনি আপনার পরবর্তী খলীফা হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তয়ালা আনহুকেমনোনীত করুন, তাঁর যে যোগ্যতা রয়েছে, আমল-আখলাক্ব রয়েছে তা বেমেছাল

    কিন্তু হযরত উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যেহেতু ইলহাম-ইলক্বার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আরআল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগেই ফায়ছালা করেছেন, সেফায়ছালা অনুযায়ী তিনি রায় দিয়েছেন হযরত উছমান যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসম্পর্কে সেই হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে চলাচলকরতেন, উঠাবসা করতেন কোন এক প্রসঙ্গে কোন এক কারণে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিসসালাম হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলেছিলেন গোলামের ছেলেগোলাম এটা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কিছুটা অপ্রস্তুত হলেনতিনি বিষয়টা খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন যিনি উনার পিতা উনার কাছে জানালেনযে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম আমাকে গোলামের ছেলে গোলাম বলেছেন এখনএটার একটা ফায়ছালা করার প্রয়োজন রয়েছে হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুবললেন, বেশ, ভালো কথা তিনি বলেছেন, তুমি ফায়ছালা চাচ্ছ, তাহলে মুখের কথায় তো হবেনাএটা লিখিত আনতে হবে কাগজে-কলমে থাকতে হবে

    হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামউনার নিকট গিয়ে বললেন, হে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম! আপনি যে আমাকেবলেছেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম এটা লিখিত দিতে হবে আমি খলীফার কাছে ব্যাপারটা পেশকরেছি তিনি বললেন ঠিক আছে, অসুবিধা নেই, আমি তো বলেছি, আমি লিখিত দিব, তিনি সত্যিইএকটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম সেটা নিয়ে পেশ করা হলো, খলীফাতুলমুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন, হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছেতিনি বললেন, ঠিক আছে, এটার যখন ফায়ছালা চাওয়া হয়েছে, আমি এটার ফায়ছালা করবো, তবেকবে করা হবে, কোথায় করা হবে, নির্দিষ্ট দিন, তারিখ, সময় ঘোষণা করা হলো হযরত ছাহাবায়েকিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ সকলেই চিন্তিত হলেন ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তিত হলেন যে,হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জালালী তবিয়তের, তিনি ইনছাফগার হিসেবেমশহুর, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী, নবীদেরপরে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব

    একদিকে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম, আরেকদিকে হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু সকলেই চিন্তিত হলেন, বিষয়টি কি ফায়ছালা করা হবে? হযরত উমর বিন খত্তাবরদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইনছাফ করে থাকেন, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচার করে থাকেন তিনি কি বিচারকরবেন? নিদিষ্ট স্থান, সময়, তারিখ সব ঘোষণা করা হলো, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ লোক সেখানেজমা হয়ে গেলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম, হযরত তাবিয়ীনে কিরাম যাঁরা ছিলেন সকলেই সেখানেজমা হয়ে গেলেন যে, কি ফায়ছালা করা হয় সেটা জানতে হবে এর কি ফয়ছালা রয়েছে?

    এদিকে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি উপস্থিত হলেন তিনি যখন উপস্থিত হলেন,হযরত উমর ফারূক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁকে তাযীম-তাকরীম করে একটা সম্মানিত স্থানেবসালেন আর হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন আসলেন উনাকেওবসতে বললেন লোকজন সকলেই উপস্থিত বিচারের নিদিষ্ট সময় যখন উপস্থিত হলো, তিনি তাঁরপকেট থেকে কাগজটা বের করে বললেন, দেখুন একটা কাগজ আমার কাছে পৌঁছানো হয়েছে, একাগজের মধ্যে লিখিত রয়েছে গোলামের ছেলে গোলাম’, কাগজটা দিয়েছেন আমার ছেলে হযরতআব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর বক্তব্য হচ্ছে যে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামতিনি তাঁকে বলেছেন গোলামের ছেলে গোলাম

     বিষয়ে ফায়ছালার জন্য  কাগজটা আমার নিকট পেশ করা হয়েছে তখন হযরত উমররদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে জিজ্ঞাসা করলেন যে,এটা কি আপনি লিখেছেন?

    তিনি বললেন যে, হ্যাঁ এটা আমার লিখিত, আমি বলেছি এবং লিখেছি যখন জিজ্ঞাসা করা হলো,জবাব নেয়া হলো, বিষয়টা, সবাইকে জানানো হলো যে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামতিনি বলেছেন এবং লিখেছেন এটা লোকজন শুনলেন তখন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু বললেন যে, এটা এখন ফায়ছালা করা হবে কি ফায়ছালা করা হবে? সকলেই তো স্তব্ধহয়ে গেলেন, মনে হয়েছে যেন বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, সকলেই একদৃষ্টিতে খলীফাতুলমুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দিকেচেয়ে রয়েছেন যে, এটা তিনি কি ফায়ছালা করেন, এটার কি ফায়ছালা রয়েছে?

    হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঘোষণা করলেন যে, এর ফায়ছালা হচ্ছে- এই যেকাগজটা, এতে লিখিত রয়েছে, ‘গোলামের ছেলে গোলাম অর্থাৎ আহলে বাইতের যিনি হযরতইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আমার ছেলেকে বলেছেন, ‘গোলামের ছেলে গোলাম এর অর্থহচ্ছে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন তিনি হচ্ছেন গোলাম আর উনার ছেলে হচ্ছেনগোলামের ছেলে গোলাম এর ফায়ছালা হচ্ছে, আপনারা সকলেই সাক্ষী থাকুন, আমি আমারযিন্দেগীর অনেক সময় ব্যয় করেছি, অতিবাহিত করেছি, পূর্ববর্তী যিন্দেগী ত্যাগ করেছি, কুফরীযিন্দেগী বাদ দিয়েছি, আমার অতীতের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি যা ছিল সেটা আমি ত্যাগ করেছি,একাধিক স্ত্রী ছিল তাদেরকেও ত্যাগ করেছি আল্লাহ পাক  উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করে আল্লাহ পাক উনার হাবীব-এর উম্মত হয়েছি,আমি ঈমান এনেছি, মুসলমান হয়েছি আমার চাওয়া এবং পাওয়ার বিষয় এটাই ছিল যে, আল্লাহপাক উনার সন্তুষ্টি এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব-এর সন্তুষ্টি আল্লাহ পাক যতটুকু দিয়েছেনততটুকু পাওয়া হয়েছে তবে আমার একটা লিখিত দলীল প্রয়োজন ছিল, যে লিখিত দলীলের আমিপ্রত্যাশা করেছিলাম, আজকে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম এটা লিখিত দিয়েছেন এখনথেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম আমি উনাদের গোলাম

    আমি ইন্তিকাল করলে এই কাগজখানা আমার কাফনের ভিতরে, আমার সিনার মধ্যে রেখে দিতেহবে এটা আমার ওছীয়ত আমি ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব-এরকাছে আরজু করবো, দাবী করবো যে, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার যিনি লখতে যিগার, যিনি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আমাকেলিখিত দিয়েছেন যে, ‘আমি গোলাম কাজেই, আমার আমল যা কিছু রয়েছে কমপক্ষে এই দলীলেরখাতিরে আমাকে গোলাম হিসেবে কবুল করা হোক সুবহানাল্লাহ

    তিনি যখন এটা ফায়ছালা করলেন, সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবংতাবিয়ীনে কিরাম যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা লা জাওয়াব হয়ে গেলেন যারা ছাহাবায়ে কিরামতাঁরা আহলে বাইতকে কতটুক মুহব্বত করেছেন, তাযীম-তাকরীম করেছেন তা বলার অপেক্ষারাখেনা

    কুরআন  সুন্নাহ্র উপরোক্ত বর্ণনা থেকে আহলে বাইত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ যে সীমাহীনফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী  সম্মানের অধিকারী তা সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে সাথে সাথে এটাওফুটে উঠেছে যে, আল্লাহ পাক  উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি-এর সন্তুষ্টি  রেযামন্দিহাছিল করতে হলে প্রত্যেক উম্মতের জন্য দায়িত্ব হচ্ছে আহলে বাইতগণের প্রতি হুসনে জন তথাসুধারণা পোষণ করা, উনাদেরকে মুহব্বত করা এবং উনাদেরকে তাযীম-তাকরীম বা সম্মান-ইজ্জতকরা 



    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: পবিত্র কুরআন শরীফ ওপবিত্র হাদীছ শরীফ-উনাদের বর্ণনায় আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আওলাদে রসূলগণের ফযীলত Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top