প্রাণির ছবি আঁকা, তোলা এবং রাখা হারাম ও নাজায়েজ :
সৃষ্টির নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী মালানারা সবাই আজ ছবিকে জায়েজ করে দিয়েছে।অথচ প্রাণির ছবি হারাম হওয়ার ব্যাপারে অনেক হাদিস শরিফ রয়েছে।যেমন:
যারা প্রাণির ছবি তোলে,অাঁকে, রাখে কেয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি হবে:
قال حدثنا الاعمش عن مسم
قا كنا مع مسروق فى دار يساربن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال ুسمعت
النبى صلى اله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون. অর্থঃ হযরত আ’মাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত মুসলিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিনি তাঁর ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্র নিকট শুনেছি, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ৮৮০)
عن عبد الله بن عمر اخبره
ان رسو الله صلى الله عليه وسلم قال ان الذين يصنعون هذه اصور يعذبون يوم القيمة
يقال لهم احيوا ما خلقتم. অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত॥ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান কর।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ৮৮০, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ২০১)
আল্লাহ পাকের নিকট সবচেয়ে বড় জালিম ঐ ব্যক্তি যে প্রাণির ছূরত তৈরি করে। যেমনঃ এ প্রসংগে হাদিসশরিফে বলা হয়েছে
– عن ابى زرعة قال دخلت مع ابى هريرة دار بالمدينة فرأ ها اعلاها مصورا يصور قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ومن اظلم ممن ذهب يخلق كخلقى فيخلقوا حبة وليخلقوا ذرة. অর্থঃ হযরত আবু যুরয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু॥এর সঙ্গে মদীনার এক ঘরে প্রবেশ করলাম, অতঃপর তিনি ঘরের উপরে এক ছবি অংকনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে দেখতে পেলেন, এবং বললেন আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বড় জালিম, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত সৃষ্টি করে। তাকে বলা হবে একটি শস্যদানা সৃষ্টি কর অথবা একটি পিপিলিকা সৃষ্টি কর। (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)
– عن ابى زرعة قال دخلت مع ابى هريرة دار بالمدينة فرأ ها اعلاها مصورا يصور قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ومن اظلم ممن ذهب يخلق كخلقى فيخلقوا حبة وليخلقوا ذرة. অর্থঃ হযরত আবু যুরয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু॥এর সঙ্গে মদীনার এক ঘরে প্রবেশ করলাম, অতঃপর তিনি ঘরের উপরে এক ছবি অংকনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে দেখতে পেলেন, এবং বললেন আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বড় জালিম, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত সৃষ্টি করে। তাকে বলা হবে একটি শস্যদানা সৃষ্টি কর অথবা একটি পিপিলিকা সৃষ্টি কর। (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)
প্রাণির ছবি তৈরিকারী সকলেই জাহান্নামী: যেমন এ
প্রসংগে হাদিসশরিফে রয়েছে-
عن سعيد قال حاء رحل الى ابن عباس فقال انى رجل اصور هذه الصور فاقتنى فيها فقال له ادن منى فدنا منه ثم قال ادن منى فدفا حتى وضع يده على راسه وقال انبئك بما سمعت من رسول الله صلى اله عليه وسلم وسمعت رسول اله صلى الله عليه وسلم يقول كل مصور فى النار يجعل له بك صورة صورها نفسا فيعذبه فى جهنم وقال ان كنت لابد فاعلا فاصنع الشجر وما لا نفس له. অর্থঃ হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অংকন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও। সে ব্যক্তি তাঁর নিকটবর্তী হল। পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও। সে আরো নিকটবর্তী হলে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে। এবং আল্লাহ্ পাক প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবি গুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।” এবং ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে, গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁক। (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২)
عن سعيد قال حاء رحل الى ابن عباس فقال انى رجل اصور هذه الصور فاقتنى فيها فقال له ادن منى فدنا منه ثم قال ادن منى فدفا حتى وضع يده على راسه وقال انبئك بما سمعت من رسول الله صلى اله عليه وسلم وسمعت رسول اله صلى الله عليه وسلم يقول كل مصور فى النار يجعل له بك صورة صورها نفسا فيعذبه فى جهنم وقال ان كنت لابد فاعلا فاصنع الشجر وما لا نفس له. অর্থঃ হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অংকন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও। সে ব্যক্তি তাঁর নিকটবর্তী হল। পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও। সে আরো নিকটবর্তী হলে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে। এবং আল্লাহ্ পাক প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবি গুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।” এবং ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে, গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁক। (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২)
যারা প্রাণির ছুরত তৈরি করবে আল্লাহ পাক কেয়ামতের দিন সেসমস্ত ছবি বা ছিনতে প্রাণ দান করবেন এবং সেগুলো যারা তৈরি করেছে তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে:
ن سعيد قال حاء رحل الى ابن عباس فقال انى رجل اصور هذه الصور فاقتنى فيها فقال له ادن منى فدنا منه ثم قال ادن منى فدفا حتى وضع يده على راسه وقال انبئك بما سمعت من رسول الله صلى اله عليه وسلم وسمعت رسول اله صلى الله عليه وسلم يقول كل مصور فى النار يجعل له بك صورة صورها نفسا فيعذبه فى جهنم وقال ان كنت لابد فاعلا فاصنع الشجر وما لا نفس له. অর্থঃ হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অংকন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও। সে ব্যক্তি তাঁর নিকটবর্তী হল। পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও। সে আরো নিকটবর্তী হলে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে। এবং আল্লাহ্ পাক প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবি গুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।” এবং ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে, গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁক। (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২)
ن سعيد قال حاء رحل الى ابن عباس فقال انى رجل اصور هذه الصور فاقتنى فيها فقال له ادن منى فدنا منه ثم قال ادن منى فدفا حتى وضع يده على راسه وقال انبئك بما سمعت من رسول الله صلى اله عليه وسلم وسمعت رسول اله صلى الله عليه وسلم يقول كل مصور فى النار يجعل له بك صورة صورها نفسا فيعذبه فى جهنم وقال ان كنت لابد فاعلا فاصنع الشجر وما لا نفس له. অর্থঃ হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অংকন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও। সে ব্যক্তি তাঁর নিকটবর্তী হল। পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও। সে আরো নিকটবর্তী হলে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে। এবং আল্লাহ্ পাক প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবি গুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।” এবং ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে, গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁক। (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২)
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম ঘরে প্রাণির ছবি রাখতে ও তৈরি করতে নিষেধ করেছেন:
عن جابر قال نهى رسول الله صلى اله عليه وسلم عن الصورة فى البيت ونهى ان يصنع ذلك. অর্থঃ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি রাখতে নিষেধ করেছেন এবং ওটা তৈরী করতেও নিষেধ করেছেন। (তিরমিযি ১ম জিঃ পৃঃ ২০৭)
عن جابر قال نهى رسول الله صلى اله عليه وسلم عن الصورة فى البيت ونهى ان يصنع ذلك. অর্থঃ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি রাখতে নিষেধ করেছেন এবং ওটা তৈরী করতেও নিষেধ করেছেন। (তিরমিযি ১ম জিঃ পৃঃ ২০৭)
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম প্রাণির ছবি নিজ হাত মোবারকে ধ্বংস করতেন: –
عن عائشة حدنته ان انبى صلى الله عليه وسلم لم يكن يترك فى بيته شيئا فيه تصاليب الا نقضه. অর্থঃ হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেন যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সকল জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন। (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ৮৮০, মিশকাত পৃঃ ৩৮৫)
عن عائشة حدنته ان انبى صلى الله عليه وسلم لم يكن يترك فى بيته شيئا فيه تصاليب الا نقضه. অর্থঃ হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বর্ণনা করেন যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সকল জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন। (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ৮৮০, মিশকাত পৃঃ ৩৮৫)
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম প্রাণির ছবি মূর্তি নিশ্চিন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন:-
:عن جابر ان النبى صلى الله عليه وسلم امر عمربن الخطاب زمن الفتح وهو بالبطحاء ان يأتى الكعبة فيمحو ك صورة فيها فلم يد خلها النبى صلى الله عليه وسلم حتى محيت كل صورة فيها. অর্থঃ হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কে হুকুম করলেন॥ তিনি যেন পাথর দিয়ে ক্বাবা ঘরের সমস্ত মূর্তি বা চিত্রগুলি ধ্বংস করে দেন। হুযূর পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বাবা ঘরের মুর্তি বা চিত্রগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলেননা।( আবু দাউদ শরিফ দ্বিতীয় জিলদ পৃঃ:২১৯)
:عن جابر ان النبى صلى الله عليه وسلم امر عمربن الخطاب زمن الفتح وهو بالبطحاء ان يأتى الكعبة فيمحو ك صورة فيها فلم يد خلها النبى صلى الله عليه وسلم حتى محيت كل صورة فيها. অর্থঃ হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় হযরত ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কে হুকুম করলেন॥ তিনি যেন পাথর দিয়ে ক্বাবা ঘরের সমস্ত মূর্তি বা চিত্রগুলি ধ্বংস করে দেন। হুযূর পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বাবা ঘরের মুর্তি বা চিত্রগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলেননা।( আবু দাউদ শরিফ দ্বিতীয় জিলদ পৃঃ:২১৯)
তিন ব্যক্তিকে কেয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি দেয়া হবে:-
عن ابن مسعود قال اشد
الناس عذابا يوم القيامة رجل قتل نبيا او قته نبى اورجل يض الناس بغير العلم
اومصور يصور التماثيل. অর্থঃ হযরত ইবনে মাস্উদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিদের ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি হবে, যারা(১)
কোন নবী আলাইহিস সালামকে শহীদ করেছে অথবা কোন নবী আলাইহিস সালাম যাদেরকে হত্যা করেছেন এবং (২)ঐ
সমস্ত লোক যারা বিনা ইলমে মানুষদেরকে গোমরাহ করে এবং (৩) যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করে। (মুসনদে আহমদ ২য় জিঃ পৃঃ২১৭)
কেয়ামতের দিন একটা আগুনের গর্দান বের হবে সে ছবি তৈরি কারি সহ তিন প্রকারের লোককে জাহান্নামে নিয়ে যাবে:-
عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى اله عليه وسلم يخرج عنق من النار يوم القيمة لها عينان تبصران واذنان تسمعان ولسان ينطق يقول انى وكلت بثلثة بكل جبار عنيد وكل من دعا مع الله اها اخر وبالمصورين. অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত॥ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ক্বিয়ামতের দিন এমন একখানা আগুনের গর্দান বের হবে, যার দুটো চক্ষু থাকবে। যদ্বারা সে দেখতে পাবে। দুটো কান থাকবে, যদ্বারা সে শুনতে পাবে। একটি মূখ থাকবে, যদ্বারা সে কথা বলবে। গর্দানটি বলবে॥ নিশ্চয় আমাকে তিন ব্যক্তির অভিভাবক বানান হয়েছে॥ (১) প্রত্যেক অহংকারী অত্যাচার লোকের (২) যারা আল্লাহ পাক-এর সাথে অন্যকেও প্রভু ডাকে (৩) যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করে। (মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩৮৬)
عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى اله عليه وسلم يخرج عنق من النار يوم القيمة لها عينان تبصران واذنان تسمعان ولسان ينطق يقول انى وكلت بثلثة بكل جبار عنيد وكل من دعا مع الله اها اخر وبالمصورين. অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত॥ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ক্বিয়ামতের দিন এমন একখানা আগুনের গর্দান বের হবে, যার দুটো চক্ষু থাকবে। যদ্বারা সে দেখতে পাবে। দুটো কান থাকবে, যদ্বারা সে শুনতে পাবে। একটি মূখ থাকবে, যদ্বারা সে কথা বলবে। গর্দানটি বলবে॥ নিশ্চয় আমাকে তিন ব্যক্তির অভিভাবক বানান হয়েছে॥ (১) প্রত্যেক অহংকারী অত্যাচার লোকের (২) যারা আল্লাহ পাক-এর সাথে অন্যকেও প্রভু ডাকে (৩) যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করে। (মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩৮৬)
ছবিতৈরিকারি সহ তিন ব্যক্তির উপর লানত: –
عن ابى حجيفة عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الدم وثمن الكلب وكسب البغى ولعن اكل الربى وموكله والواشمة والمستوشمة والمصور. অর্থঃ হযরত আবু হুজায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাহার পিতা হতে বর্ণনা করেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রক্তের দাম, ও কুকুরের দাম নিতে এবং যেনাকারীনীর উপার্জন নিষেধ করেছেন, এবং যে ঘুষ খায়, যে ঘুষ দেয়, যে অংগে উলকি আঁকে এবং যে আঁকায়, আর যে ছবি অংকন করে, এদের সবার ওপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লা’নত দিয়েছেন।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ৮৮১)
عن ابى حجيفة عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الدم وثمن الكلب وكسب البغى ولعن اكل الربى وموكله والواشمة والمستوشمة والمصور. অর্থঃ হযরত আবু হুজায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাহার পিতা হতে বর্ণনা করেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রক্তের দাম, ও কুকুরের দাম নিতে এবং যেনাকারীনীর উপার্জন নিষেধ করেছেন, এবং যে ঘুষ খায়, যে ঘুষ দেয়, যে অংগে উলকি আঁকে এবং যে আঁকায়, আর যে ছবি অংকন করে, এদের সবার ওপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লা’নত দিয়েছেন।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ৮৮১)
আল্লাহ পাক জিহাদ ঘোষনা করেছেন ঐ জাতির বিরুদ্ধে যারা প্রাণির ছবি বা মূর্তি তৈরি করে: –
عن اسامة قال دخلت مع النبى صلى الله عليه وسلم الكعبة فرايت فى البيت صورة فامرنى فاتيته بدلو من الماء فجعل يضرب تلك الصورة ويقول قاتل الله فوما يصورون مالايخلقون. অর্থঃ হযরত উসামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে পবিত্র ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলাম। আমি ক্বাবা ঘরের ভিতরে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুকুমে আমি পাত্রে করে পানি নিয়ে আসলাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ছবিগুলিতে পানি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, “আল্লাহ্ পাক ঐ গোত্রের সাথে জ্বিহাদ ঘোষণা করেছেন, যে গোত্র এরূপ প্রাণীর ছুরত তৈরী করে। যা সে তৈরী করতে অক্ষম অর্থাৎ জীবন দিতে পারেনা।” (মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম জিঃ পৃঃ২৯৬, তাহাবী ২য় জিঃ পৃঃ৩৬৩)
عن اسامة قال دخلت مع النبى صلى الله عليه وسلم الكعبة فرايت فى البيت صورة فامرنى فاتيته بدلو من الماء فجعل يضرب تلك الصورة ويقول قاتل الله فوما يصورون مالايخلقون. অর্থঃ হযরত উসামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে পবিত্র ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলাম। আমি ক্বাবা ঘরের ভিতরে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুকুমে আমি পাত্রে করে পানি নিয়ে আসলাম। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ছবিগুলিতে পানি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, “আল্লাহ্ পাক ঐ গোত্রের সাথে জ্বিহাদ ঘোষণা করেছেন, যে গোত্র এরূপ প্রাণীর ছুরত তৈরী করে। যা সে তৈরী করতে অক্ষম অর্থাৎ জীবন দিতে পারেনা।” (মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম জিঃ পৃঃ২৯৬, তাহাবী ২য় জিঃ পৃঃ৩৬৩)
এছাড়াও প্রাণির ছবি নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে আরো শত সহস্র হাদিস শরিফ রয়েছে।এত হাদিসশরিফ থাকার পরও যারা বলে বর্তমান জামানায় ছবির প্রয়োজন আছে বা বর্তমান জামানায় এ হাদিসশরিফ গুলো মানা যাবেনা তারা উম্মত থেকে খারিজ হয়ে চির লানতগ্রস্ত মালউন হয়ে যাবে,গোমরাহ পথভ্রস্ট হয়ে যাবে।
আর যেসমস্ত মালানারা হাদিসশরিফ অস্বিকার করে ছবি তোলে তারা হচ্ছে নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী। এদেরকে বর্জন করা সকলের জন্য ফরজ-ওয়াজিব।
(সংগৃহিত)
(সংগৃহিত)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন