কাফির
নায়েক এক লেকচারে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে যে
কোন সুন্দর নামে ডাকা যাবে। যুক্তি
হিসেবে সে হিন্দুদের বেদ থেকে কতগুলো শ্লোক তুলে ধরে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনাকে হিন্দুদের দেবতার নাম ধরেও
ডাকা যাবে। যেমনঃ ব্রহ্মা অর্থ সৃষ্টিকর্তা (খলীক্ব), বিষ্ণু অর্থ প্রতিপালক (রব)
ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক) (Concept of God in
Major religions- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তাহলে কাফির
নায়েকের যুক্তি মতে আল্লাহ পাক, উনাকে মুহম্মদ, আহমদ, হাসান
প্রভৃতি নামেও ডাকা যাবে কারণ নাম মুবারক গুলো সুন্দর (নাউযুবিল্লাহ)। মহান আল্লাহ পাক কুরআন মজিদের সুরা আ’রাফ এর ১৮০
নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন,“আর আল্লাহ পাক, উনার রয়েছে উত্তম সব নাম মুবারক। কাজেই সেইসব নাম মুবারক এ উনাকে ডাকো।” সুতরাং আল্লাহ পাক, উনাকে ৯৯টি নাম মুবারক এ ডাকা যাবে।
কাফির
নায়েক সুরা বাকারা এর আয়াত শরীফ ১০৬ ও ১০৮, সূরা আল ইমরান আয়াত শরীফ ২৯, সূরা নেহাল আয়াত শরীফ ৭৭ এবং
সূরা ফাতির আয়াত শরীফ ১ ইত্যাদি উল্লেখ করে বলেছে যে, আল্লাহ পাক, উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে
কিন্তু আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। সে আরো বলেছে যে, আল্লাহ পাক সৃষ্টি করতে অক্ষম এমন ১০০০ জিনিসের তালিকা সে তৈরী করতে পারবে। যেমনঃ আল্লাহ পাক লম্বা বেটে মানুষ তৈরী করতে
অক্ষম, আল্লাহ পাক
তাকে উনার সৃষ্টি জগতের বাহিরে নিক্ষেপ করতে অক্ষম ইত্যাদি। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Is Quraan Word of God, from the CD “Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening
Sessions)
আল্লাহ পাক
সুরা ইখলাছ এ ইরশাদ করেন,“আমি (আল্লাহ
পাক) বেনিয়াজ।” তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, আল্লাহ পাক সব কিছু সৃষ্টি করতে পারেন না? একটা সময় তো ছিল যখন সময়ই ছিল
না, আল্লাহ পাক
সময় সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ পাক পিতা-মাতা ব্যতীত হযরত আদম আলাইহিস সালাম, উনাকে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ পাক পিতা ব্যতীত হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, উনাকে সৃষ্টি করলেন। এর কি জবাব কাফির নায়েক দেবে?
কাফির
নায়েক সুরা ত্ব-হা এর আয়াত শরীফ ২৫ এর অর্থ বিকৃত করে বলেছে “হে আল্লাহ
পাক ! আমার মস্তিস্ককে (কেন্দ্র) প্রশস্ত করে দিন।” সে আরবী “ছদর” শব্দের অর্থ করেছে “মস্তিস্ক” কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, বর্তমান বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে কল্বব নয় বরং মস্তিস্কই সকল চিন্তা শক্তির উৎস। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) ( Is Quraan Word of God, from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12
Enlightening Sessions)
সূরা
মুনাফিকুন আয়াত শরীফ ৩, সূরা বাক্বারা আয়াত শরীফ ৭, সুরা আন আম আয়াত শরীফ ২৫, সূরা আ’রাফ আয়াত শরীফ ১০০, সূরা ইউনুস আয়াত শরীফ ৭৪, সূরা রূম আয়াত শরীফ ৫৯ এ মহান আল্লাহ পাক অবিশ্বাসীদের কল্ববে মোহর
প্রসঙ্গে বলেছেন এবং সূরা নাস এর আয়াত শরীফ ৫ মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে
শয়তান মানুষের ছুদুর (কল্বব) এ অসওয়াসা দেয়। তাহলে এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মানুষের চিন্তাশক্তি মুলত কল্বব থেকেই। তাই সুরা ত্ব-হা এর ২৫ নম্বর আয়াত শরীফ এর
অর্থ হবে, “হে আল্লাহ
পাক ! আমার কল্ববকে প্রশস্ত করে দিন।”
কাফির
নায়কে কুরআন শরীফ এর আয়াত শরীফ এর সাথে কবির দাস (ভারতের তথাকথিত এক মুসলমান যে
কিনা বাউলদের মত ইসলাম ধর্ম এবং হিন্দু ধর্মকে এক করার অপচেষ্টা চালিয়েছে) এর
শ্লোকের তুলনা করেছে। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক) (concept of God in major
religions- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying
Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir
Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক, উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” আবার একই সূরার ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” তাহলে একজন মুসলমান কি করে কুরআন শরীফ এর সাথে বাতিল ধর্মের সাদৃশ্য খুজতে পারে?
মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক, উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” আবার একই সূরার ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” তাহলে একজন মুসলমান কি করে কুরআন শরীফ এর সাথে বাতিল ধর্মের সাদৃশ্য খুজতে পারে?
কাফির
নায়েক তার লেকচারে যবন, ম্রেচ্ছ, অস্পৃশ্য
হিন্দুদের “ভাই” বলে সম্বোধন করেছে এবং বলেছে, “……..আমরা হিন্দু ভাইদের ভালবাসি।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (concept of God in Major religions-from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA
Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার এই
বক্তব্য স্পষ্টতঃ কুরআন শরীফ বিরোধী। মহান আল্লাহ
পাক সূরা মায়িদা এর ৮ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে
ইহুদী অতঃপর মুশরিকদেরকে।” যেখানে আল্লাহ পাক মুশরিক তথা হিন্দুদেরকে মুসলমানদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত
করে দিলেন সেখানে হিন্দু কি করে মুসলমানদের ভাই হতে পারে? কস্মিনকালেও হতে পারে না। আর শত্রুকে কেউ কখনোই ভালবাসতে পারে না।
কাফির
নায়েক এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সালাত সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বাইবেল থেকে সালাতের
ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং সালাতের শারীরিক উপকারিতা তুলে ধরেছে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (Concept of God in
Major religions, question and answer session- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media-
12 Enlightening Sessions)
প্রথমতঃ
একজন মুসলমান কখনো অন্য ধর্ম থেকে তার ধর্মীয় ব্যাখা দিতে পারে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫
নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন
ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ
করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” দ্বিতীয়তঃ সালাতের ধর্মীয়
গুরুত্ব না বুঝিয়ে শারীরিক উপকারিতা ব্যাখা করা মুলতঃ মানুষের ইবাদত নষ্টের হীন
উদ্দেশ্য বৈ কিছু নয়। কারণ আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির
নিয়ত ব্যতীত ইবাদত করলে তার কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হবেনা। কেউ যদি ব্যায়ামের জন্য সালাত আদায় করে কিংবা শরীর কমানোর জন্য রোযা রাখে
তাহলে সেই ইবাদত গ্রহনযোগ্য হবেনা।
কাফির
নায়েক শিশুদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছে যে, শিশুদের “সিরাতুম মুস্তাকিম” এর উপর দৃঢ় রাখতে হলে আধুনিক প্রযুক্তি ও
ইসলামিক খেলাধুলা প্রয়োজন।(নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক) (Dawah or
Destruction, question and answer session – from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12
Enlightening Sessions)
কাফির
নায়েক তার এই বক্তব্যে মাধ্যমে চরম জাহিলিয়তা প্রকাশ করেছে। কারণ তার বক্তব্যনুযায়ী যখন প্রযুক্তি উন্নত ছিলনা তখন মানুষ সিরাতুম
মুস্তাকিম এর উপর দৃঢ় ছিলনা এবং হারাম কাজ দ্বারা সিরাজতুম মুস্তাকিম এর উপর দৃঢ়
থাকা যায়। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সালাম “মুসতাদেরেকে হাকিম” এ ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” তাহলে “ইসলামিক খেলাধুলা” কথাটি কোন পর্যায়ের জাহিলতি তা বলার অপেক্ষাই
রাখেনা। বরং আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে সিরাতুম মুস্তাকিম
এর উপর দৃঢ় থাকা সম্ভব।
কাফির
নায়েক তার এক লেকচারে বলেছে যে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম, উনারা আল্লাহ পাক উনার মনোনীত
রসূল ছিলেন এবং একই সাথে উনারা দুনিয়ার রাজা ছিলেন। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
(Similarities between Islaam and Christianity- from
the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening
Sessions)
কাফির
নায়েকের এই বক্তব্য স্পষ্টতঃ ইসলাম বিরোধী এবং ইহানতপূর্ণ। আল্লাহ পাক সূরা নমল এর ৩৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলেছেন
এবং সূরা ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ
এ ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই
আল্লাহ পাক, উনার নিকট
একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।”
কাফির
নায়েক চ্যালেঞ্জ করেছে যে, যদি কোন খৃষ্টান বাইবেল থেকে তাকে দেখাতে পারে যে, যিশু নিজেকে খোদা বলেছে তবে সে
খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করবে। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক)
(Similarties between Islaam and Christianity- from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার
বক্তব্যের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সে কত বড় ধরণের কাফির। তার বক্তব্য মতে, এখন কোন ব্যক্তি যদি ফেরাউনের মত খোদা দাবী করে তবে সে ঐ ব্যক্তিকে খোদা
হিসেবে মেনে নেবে এবং তার ধর্ম গ্রহণ করবে। মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ এ ইরশাদ করেন, “পূর্বে ওহী দ্বারা নাযিলকৃত দ্বীন এবং পূর্বে,বর্তমানে এবং পরে মানবরচিত সমস্ত
মতবাদ রদ করে সত্য দ্বীন ও হিদায়েতসহ উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন।” আবার হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম মুসনদে আহমদ ও বায়হাক্বী শরীফ এ ইরশাদ করেন, “অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট পরিপূর্ন, উজ্জ্বল ও পরিস্কার দ্বীন নিয়ে
এসেছি। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনিও যদি
দুনিয়ায় থাকতেন, তাহলে উনাকেও আমার অনুসরণ করতে হতো।” যেখানে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ওহী দ্বারা নাযিলকৃত ইঞ্জিল শরীফ রদ করে দিয়েছেন
সেখানে ইঞ্জিল শরীফ এর বিকৃতরূপ বাইবেল কি হক্ব হতে পারে?
কাফির
নায়েক বুখারী শরীফ এর হাদীস শরীফ উদ্ধতি দিয়ে বলেছে যে, মুসলমানদের জন্য দাড়ি রাখা ফরয
নয় সুন্নত। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক)
( সুত্রঃ Muhammed in various world religious scriptures – from the CD-”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার এই
বক্তব্য দ্বারা সে প্রমাণ করেছে সে কত বড় গন্ড মুর্খ! কারণ কুরআন শরীফ এর
নির্দেশমুলক বাক্য “তোমরা নামায কায়িম কর” দ্বারাই নামায ফরয সাব্যস্ত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছ শরীফ এ “তোমরা
(পুরুষরা) দাড়ি লম্বা করো” এই
নির্দেশমুলক বাক্য দ্বারাই দাড়ি রাখা ফরয সাব্যস্ত হয়েছে।
কাফির
নায়েক বলেছে যে, মুসলমানদের
জন্য টাই পরা জায়িজ। কারণ বাইবেলের কোথাও টাইকে
ক্রুশের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সে আরো বলেছে, টাই যদি ক্রুশের মত হয়ে থাকে তবে কুর্তা আরো বেশী ক্রুশের মত। সে আরো বলেছে যে, যে কোন পোশাক পরিধান করা যাবে যদি সেটি শরীয়া
বিরোধী না হয়। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক)
(Muhammed in various world religious scripture- from the CD -”Presenting Islaam
and Clarifying Misconceptions –Lecture series by
Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12
Enlightening Sessions)
কাফির
নায়েক কত বড় মাপের কাফির যে সে বাইবেলে ইসলামী আদেশ-নিষেধ খুজে বেড়ায়! মহান
আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪ নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী
যারা আদেশ-নির্দেশ করবেনা তারা কাফির।” মহান আল্লাহ পাক সূরা ইমরান এর ৮৫ নম্বর আয়াত
শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে দ্বীন
ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদের নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে সেটা তার থেকে গ্রহণ
করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থাৎ জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” আবার হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিশকাত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং তার
হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।”
কাফির
নায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সে কেন বিধর্মীদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধতি দিয়ে ইসলামের অনেক বিষয়ের ব্যাখা
করার চেষ্টা করে। জবাবে সে বলেছে, কারণ বিধর্মীরা কুরআন শরীফ
বিশ্বাস করেনা। (নাউযুবিল্লাহ
মিন যালিক)
(সুত্রঃ Muhammed in various world
religious scriptures – -”Presenting Islaam and Clarifying
Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir
Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
সে যে কত বড়
কাফির তা আরেক বার প্রমাণ করলো। যদি কোন
বিধর্মীকে তার বাতিল ধর্মগ্রন্থ থেকে দলীল পেশ করে ইসলামী বিষয় ব্যাখ্যা করা হয়
তবে অবশ্যই সেই বিধর্মী নিজের ধর্মকে হক্ব মনে করবে এবং সে তার বাতিল ধর্মের উপর
দৃঢ় হবে। মহান আল্লাহ পাক সূরা মায়িদার ৪৪
নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন,“আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা আদেশ-নির্দেশ করবেনা তারা
কাফির।” সুতরাং বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে বা যারা বাতিল ধর্মগ্রন্থ দলীল হিসেবে ব্যবহার
করে তা কোন তবকার লোক।
কাফির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা
বিশ্বাস করে না। সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probability) দ্বারা বিশ্বাস করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
(সূত্রঃ Quraan and Modern Science-
conflict or conciliation- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by
Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার এই
বক্তব্য স্পষ্টতঃ সূরা বাক্বারা এর ২ এবং ৩ নম্বর আয়াত শরীফ বিরোধী। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “এ সেই কিতাব মুবারক যাতে কোন সন্দেহ নেই। মুত্তাকিদের জন্য যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস
স্থাপন করেছে।”
কাফির নায়েক ইসলামে বহু বিবাহের কারণ হিসেবে নারীদের সাংখ্যাধিক্যকে তুলে
ধরেছে(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
(সূত্রঃ Quraan and Modern Science-
conflict or conciliation- —”Presenting Islaam and Clarifying Misconceptions –Lecture series by
Dr.Zaakir Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12 Enlightening Sessions)
তার এই
ব্যাখ্যা স্পষ্টতঃ মনগড়া ও বানোয়াট। কারণ আল্লাহ
পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বহু বিবাহের
কারণ নারীর আধিক্য এ কথা বলেননি। বুখারী ও
মুসলিম শরীফ ইরশাদ হয়েছে, “কেয়ামতের
লক্ষণ হলো- জ্ঞানচর্চা উঠে যাবে, মূর্খতা বৃদ্ধি পাবে, ব্যভিচারের প্রসার হবে, মদ্যপান বেড়ে যাবে,পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে এবং নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।” কাফির নায়েক যদি এই হাদীছ শরীফ দ্বারা ব্যাখ্যা
দিয়ে থাকে তবে ইসলামের প্রাথমিক যুগের ব্যাপারে কি বলবে?
কাফির নায়েক
আযানকে মুসলমানদের “আন্তর্জাতিক সংগীত” হিসেবে উল্লেখ করেছে।(নাউযুবিল্লাহ মিনযালিক)
(সূত্রঃ Salaah- The programming towards righteousness- —”Presenting Islaam and Clarifying
Misconceptions –Lecture series by Dr.Zaakir
Naik, Developed by AHYA Multi-Media- 12)
ইসলামে
সংগীত সম্পূর্ণ হারাম। মহান আল্লাহ পাক সূরা লুকমান এর ৬
নম্বর আয়াত শরীফ এ ইরশাদ করেন, “মানুষের
মধ্যে কিছু লোক রয়েছে যারা লাহওয়াল হাদীছ (গান-বাজনা) খরিদ করে থাকে। যেনো বিনা ইলমে মানুষদেরকে আল্লাহ পাক উনার পথ
থেকে বিভ্রান্ত করে এবং হাসি-ঠাট্টা রূপে ব্যবহার করে, তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি
রয়েছে।” হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি বাদ্যযন্ত্র ও মুর্তি ধ্বংসের জন্য প্রেরিত
হয়েছি।” তাহলে আযানকে হারাম সংগীতের সাথে তুলনা করা কত বড় কুফরী কাজ তা বলার অপেক্ষা
রাখেনা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন