সহি হাদিস শরীফ থেকে স্পষ্ট যে কবর
জিয়ারত করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত | কিন্তু
দুঃখের বিষয় আমাদের মাঝে অনেক নামধারী বাতিল ফেরকার মুসলমান তা স্বীকার করতে চান
না ! এটার
কারণ হয়তো কোরআন হাদিস সম্পর্কে তাদের কোন পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই নতুবা ওরা ইচ্ছা
করেই সাধারণ মুসলমানের ঈমান আমলকে নষ্ট করার জন্য জঘন্য মুনাফেকী করছে | কবর
জিয়ারত যে খাছ সুন্নত এবং সম্পূর্ণ জায়েজ তার কিছু সহি দলিল পবিত্র হাদিস শরীফ হতে
আপনাদের খেদমতে উপস্থাপন করবো ইন শাহ আল্লাহ |
পবিত্র হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে , عن ابن
عمر
رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم من زار قبري وجبت له شفاعتي
অর্থ : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বি আল্লাহু তালা আনহু হতে বর্ণিত , রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন , যে আমার রওজা শরীফ জিয়ারত করলো তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল | [ শিফাউস সিকাম ২ , জামে ছগীর ১৭১ ]
অর্থ : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বি আল্লাহু তালা আনহু হতে বর্ণিত , রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন , যে আমার রওজা শরীফ জিয়ারত করলো তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল | [ শিফাউস সিকাম ২ , জামে ছগীর ১৭১ ]
পবিত্র হাদিস শরীফে আরো এরশাদ
হয়েছে , كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها فا
نها نزهد في الدنيا وتذكرة الاخر
অর্থ : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত , রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন , আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম , এখন তোমরা তা করতে পারো | কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায় এবং আখিরাতকে স্মরন করায় | [ মিশকাত শরীফ
১৬৭৭ , ইবনে মাজাহ শরীফ ]
অর্থ : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত , রাসুল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন , আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম , এখন তোমরা তা করতে পারো | কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায় এবং আখিরাতকে স্মরন করায় | [ মিশকাত শরীফ
১৬৭৭ , ইবনে মাজাহ শরীফ ]
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস
রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত হাদিস , একদিন
নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফের কিছু কবরের নিকট গেলেন
অতঃপর তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, সালাম
হোক তোমাদের প্রতি হে কবরবাসী | [ মিশকাত
শরীফ ১৬৭৩ , তিরমিজি শরীফ ]
ফতোয়ায়ে শামী এর ভূমিকায় বর্ণিত
হাদিস , فيه يستحب ان يزور شهداء جبل احد
لماروي ابن ابي شيبة ” ان النبي صلي الله عليه وسلم كان ياء تي قبور الشهداء باحد
علي رأس كل حول فيقول السلا عليكم بما صبرتم فنعم عقبي الدار অর্থ : ওহুদ পাহাড়ের শহীদগনের ( কবর) যিয়ারত করা মোস্তাহাব | ইবনে
আবী শায়বা হতে বর্নিত আছে , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি বৎসরান্তে
ওহুদের শহীদগনের কবর যিয়ারত করতে আসতেন | অতঃপর
বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম , যেমন
তোমরা ধৈর্য ধারন করেছিলে তেমনি পরকালে উত্তম বাস স্থান লাভ করেছ | [ ফতোয়ায়ে
শামী ২য় খন্ড ২৩৪ পৃষ্ঠা ]
হাদিস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে , ইবনে
নোমান রাদ্বি আল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ,
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক জুমুয়ার দিন নিজ পিতা-মাতা অথবা তাদের মধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করবে তাকে মাফ করে দেয়া হবে | [ মিশকাত ১৬৭৬ ]
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক জুমুয়ার দিন নিজ পিতা-মাতা অথবা তাদের মধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করবে তাকে মাফ করে দেয়া হবে | [ মিশকাত ১৬৭৬ ]
অতএব উপরোক্ত সহি হাদিস শরীফ্গুলো
থেকে দিবালোকের মত পরিস্কার যে , কবর
জিয়ারত করা খাছ সুন্নত এবং অতীব ফজিলতের কাজ | কিন্তু
যারা এর বিরোধীতা করে বুঝতে হবে এরা প্রকৃত অর্থেই মুর্খ এবং বাতিল ফেরকা , যারা
সাধারণ মুসলমানের মধ্যে বিব্রান্তি সৃষ্ঠির মাধ্যমে মূল্যবান ঈমান আমল নষ্ট করার
মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে |
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন