728x90 AdSpace

  • Latest News

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে সুদের লেনদেন হারাম ও তার শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন।

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে সুদের লেনদেন হারাম ও তার শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন।
    এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,


    اَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَوا ۚ
    অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক তিনি বেচা-কেনাকে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৫)
    অর্থাৎ সুদ চিরতরেই হারাম। সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
    يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَذَرُوْا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ◌ فَاِنْ لَّـمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِـحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ ۖ
    অর্থ : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর এবং সুদের যা বাকী রয়েছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা সুদ ত্যাগ না কর, তাহলে তোমরা জেনে রাখ, মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে (তোমাদের জন্য) জিহাদের ঘোষণা রয়েছে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭৯)
    অর্থাৎ সুদ ও সুদ সম্পর্কিত বিষয়াবলী যে ব্যক্তি পরিত্যাগ না করবে, মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন।
    আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
    عَنْ حَضْرَةْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اٰكِلَ الرِّبَوا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ.
    অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদাতার উপর লা’নত বা অভিসম্পাত বর্ষণ করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, উক্ত ব্যক্তিরা (লা’নত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে) সকলেই সমান।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, শরহে নববী শরীফ, ফতহুল মুলহীম শরীফ, তা’লীকুছ্ ছবীহ শরীফ, আশয়াতুল লুময়াত শরীফ, লুময়াত শরীফ, শরহুত্ ত্বীবী শরীফ)
    পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে,
    عن حَضْرَةْ عبد الله بن حنظلة غسيل الـملائكة رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ درهم ربا يأكله الرجل وهو يعلم اشد من ستة وثلثين زينة.
    অর্থ : “কোন ব্যক্তি জেনেশুনে এক দিরহাম সুদ খেল, তাহলে সে যেন ছত্রিশবারেরও অধিক যিনা করলো।” (নাউযুবিল্লাহ্) (মুসনাদে আহমদ শরীফ, দারে কুতনী শরীফ, বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
    অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
    عَنْ حَضْرَةْ اَبِـي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الربوا سبعون حوبا ايسرها ان ينكح الرجل امه.
    অর্থ : “সুদের (গুণাহের) সত্তরটি শাখা বা অংশ রয়েছে, (তার মধ্যে) সর্বনিম্ন (গুণাহ্) হলো সুদখোর ব্যক্তি তার মায়ের সাথে যিনা করা।” (নাউযুবিল্লাহ্) (ইবনে মাযাহ শরীফ্, বায়হাক্বী শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
    অর্থাৎ সুদ খাওয়া, দেয়া, সাক্ষী হওয়া এবং সুদ সংক্রান্ত দলীলের লেখক ইত্যাদি সকলের উপরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের লা’নত রয়েছে।
    অতএব, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্টরূপেই প্রমাণিত হলো যে, সুদের লেনদেন তো করাই যাবে না উপরন্তু সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে (যেমন- ব্যাংক, ইন্সুরেন্স ইত্যাদি) চাকুরী করাও জায়িয হবেনা। কেননা উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকুরী করলে সুদের লেখক, সাক্ষ্যদাতা অথবা সাহায্যকারী অবশ্যই হতে হবে।
    এখন এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা ব্যাংক, ইন্সুরেন্স কোম্পানী ইত্যাদি সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত রয়েছে এবং এ আয়ের দ্বারাই সে ব্যক্তি, তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি অর্থাৎ অধীনস্থ সকলেরই জীবিকা নির্বাহের দায়িত্ব পালন করে থাকে। সে ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব উক্ত প্রতিষ্ঠানের চাকুরী ছেড়ে দেয়া এবং সুদহীন হালাল কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নিয়ে অথবা কোন হালাল ব্যবসার মাধ্যমে নিজে ও তার পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করা।
    আর যদি কেউ ব্যাংক, ইন্সুরেন্স ইত্যাদি সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে কোন সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ব্যবস্থা করতে না পারে, কিম্বা কোন হালাল ব্যবসারও ব্যবস্থা না করতে পারে, তাহলে সে মা’জুর হিসেবে উক্ত সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেই চাকুরীরত থাকবে। যা তার জন্য মা’জুর হিসেবে মুবাহ হবে। যেমন মৃত প্রাণীর গোশ্ত খাওয়া হারাম। কিন্তু কেউ যদি তিন দিন বা তার চেয়ে বেশীদিন না খেয়ে থাকে, তাহলে তার জন্য মৃত প্রাণীর গোশ্ত জরুরত আন্দাজ খাওয়া ম’াজুর হিসেবে মুবাহ হয়ে যায়। কেননা ইসলামী শরীয়ত উনারর উছূল হচ্ছে-   

    الضرورات تبح الـمحذرات.
    অর্থ : “জরুরত হারামকে মুবাহ্ করে দেয়।” (মুজমুয়ায়ে ফতওয়ায়ে আমিনীয়া)
    তবে উক্ত ব্যক্তির জন্য শর্ত হচ্ছে, সে হালাল চাকুরী করার জন্য অথবা হালাল ব্যবসা অবলম্বনের জন্য কোশেশ করতে থাকবে। যখনই তার কোন হালাল চাকুরী বা ব্যবসার ব্যবস্থা হয়ে যাবে, তখনই সে উক্ত সুদ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে হালাল চাকুরী বা ব্যবসায় যোগ দিবে।
    আরো শর্ত হচ্ছে, যতদিন পর্যন্ত সে ব্যক্তি সুদী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত থাকবে এবং হালাল চাকুরী বা ব্যবসার ব্যবস্থা করতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত দায়িমীভাবে তাকে তওবা, ইস্তিগফার ও দোয়ার মধ্যে মশগুল থাকতে হবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে রোনাজারী করতে থাকতে হবে, যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে একটি হালাল রুজীর ব্যবস্থা করে দেন
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে সুদের লেনদেন হারাম ও তার শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে কঠোর বাণী উচ্চারণ করেছেন। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top